এই সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র আছিয়া তথা সিনেমাটির নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন চিত্রনায়িকা আরশি হোসেন। বলা যায়, তিনি রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। ২০১৭ সালে যখন রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ক্রেকডাউন হয়, তখন স্রোতের মতো রোহিঙ্গারা এদেশের দিকে ছুটতে শুরু করে।
আরশি হোসেনকে রোহিঙ্গা সাজিয়ে তখনই সেই অঞ্চলগুলোতে আশ্রয়ের আশায় ছুটে আসা রোহিঙ্গাদের চিত্র ধারণ করেন পরিচালক। কথা প্রসঙ্গে আরশি হোসেন শুটিংয়ের এসব কথা ট্রেলার রিলিজের দিন এফডিসি চত্বরে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বলছিলেন। তাকে এমনভাবে রোহিঙ্গার গেট আপ দেওয়া হয়, তাতে এদেশের নিরাপত্তা বাহিনীও অবাক হয়। নিরাপত্তাকর্মীরা চেকপোস্টে তাকে একবার আটকেও দিয়েছিল।
এরপর যখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুটিং হয়, তখন একজন লোক রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় আছিয়া তথা আরশি হোসেনের হাতেও ২০ টাকার একটি নোট দেন। আরশি যখন টাকাটা নিতে ইতস্তত করছিলেন তখন লোকটি বলে, নাও মা, এর বেশি তিনি দিতে পারবেন না। তখন পরিচালক ইঙ্গিতে তাকে টাকাটা নিতে বললেন। সেই ২০ টাকার নোটটি এখনো স্মৃতি হিসেবে গচ্ছিত রয়ে গেছে বলে জানালেন।
আরশি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সিনেমাটিতে কাজ করার সময় আমি আরশি হোসেন ছিলাম না। গেট-আপ, সাজগোজে আমাকে রোহিঙ্গা জাতির আছিয়া করে তোলা হয়েছিল।’
সিনেমাটি সেন্সরে দেখার পর সদস্যদের কেউ কেউ আরশি হোসেনকে নিয়ে উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছেন। আরশি সকলকে সিনেমাটি দেখার আহবান জানিয়েছেন।