ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই কে ফোন করে ইউনূসের কাছে! শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে যা বললেন ড. ইউনূস বাংলাদেশের যে সিদ্ধান্তের কারণে মাথায় হাত ভারতের ১০ হাজার আওয়ামী কর্মী মাঠে নামলেই তো সরকার পরে যাবে সরকার উৎখাতে চক্রান্ত! কারাগারে বসেই চলছে নানা তৎপরতা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা কানাডার নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুতুল দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি, হবে না সরাসরি ভোট চাল-মুরগির দাম চড়া, অন্য সব আগের মতো দেশের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: সাংবাদিকদের নামে মামলা নতুন অডিও ফাঁস : কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন শেখ হাসিনা

৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 54
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিল্লিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে যান।

বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “আজকের তারিখে আমাদের কোনো পক্ষেরই আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমার সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ আছে।”

তিনি আরো বলেন, “বস্তুত সে দেশে যখন পালাবদল ঘটল, তখনও আমরা নিজেদের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলছিলাম। এরপর গত ২০ নভেম্বরও আমাদের মধ্যে একটা ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

৫ অগাস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়ে বাংলাদেশের একটি মিলিটারি এয়ারক্র্যাফটে করে দিল্লির কাছে হিন্ডন এয়ারবেসে এসে অবতরণ করেন। তখন থেকে আজ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি ভারতেই রয়েছেন।

ভারতের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার এই প্রক্রিয়াটা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখেই সম্পন্ন হয়েছিল।

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আরো বলেন, “উনি যেমন বলেছেন ভারত তাদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কথাটা আমাদের দিক থেকেও সত্যি।

আমরা পরস্পরের প্রতিবেশী, আমাদের একসঙ্গেই থাকতে হবে ও পরস্পরকে বুঝতে হবে– যে কোনো ধরনের শত্রুতা আমাদের উভয়ের জন্যই হানিকর হবে।”
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাও আগের মতোই অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন একটি ‘নির্বাচিত সরকার’ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসবে।

উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “যদি আপনারা (দুই দেশের) সম্পর্কের কথা বলেন, সেটা ওখানে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক একদম ঠিক আছে, সব মসৃণভাবে চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিল্লিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে যান।

বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “আজকের তারিখে আমাদের কোনো পক্ষেরই আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমার সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ আছে।”

তিনি আরো বলেন, “বস্তুত সে দেশে যখন পালাবদল ঘটল, তখনও আমরা নিজেদের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলছিলাম। এরপর গত ২০ নভেম্বরও আমাদের মধ্যে একটা ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

৫ অগাস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়ে বাংলাদেশের একটি মিলিটারি এয়ারক্র্যাফটে করে দিল্লির কাছে হিন্ডন এয়ারবেসে এসে অবতরণ করেন। তখন থেকে আজ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি ভারতেই রয়েছেন।

ভারতের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার এই প্রক্রিয়াটা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখেই সম্পন্ন হয়েছিল।

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আরো বলেন, “উনি যেমন বলেছেন ভারত তাদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কথাটা আমাদের দিক থেকেও সত্যি।

আমরা পরস্পরের প্রতিবেশী, আমাদের একসঙ্গেই থাকতে হবে ও পরস্পরকে বুঝতে হবে– যে কোনো ধরনের শত্রুতা আমাদের উভয়ের জন্যই হানিকর হবে।”
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাও আগের মতোই অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন একটি ‘নির্বাচিত সরকার’ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসবে।

উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “যদি আপনারা (দুই দেশের) সম্পর্কের কথা বলেন, সেটা ওখানে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক একদম ঠিক আছে, সব মসৃণভাবে চলছে।