ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 75
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফারাক ছিল বিস্তর। কিন্তু তারপরও অবহেলিত পূর্ব বাংলার মধ্যে থেকে উঠে আসেন এক উজ্জ্বল প্রতিভা—মুহাম্মদ হানিফউদ্দিন মিয়া।

সেসময় ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অ্যাডাম কার্লের অনুমান অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পঞ্চম শ্রেণীতে উঠতে সক্ষম শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এমন অবস্থায় ১৯৬৪ সালে এক বাঙালির মধ্যে কম্পিউটিং ও ট্যাবুলেটিং মেশিন পরিচালনার যোগ্যতা খুঁজে পাবে তা হয়ত কল্পনাতেই ছিল না পাকিস্তান সরকারের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (আইবিএম) পাকিস্তান সরকারের জন্য উপহার হিসেবে একটি ১৬২০ মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার পাঠায়। পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (পিএইসি) লাহোর অফিসে এটি স্থাপন করা হবে।
কিন্তু পিএইসির এই মেইনফ্রেম কম্পিউটার চালানোর জন্য পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে সেসময় কোনো কম্পিউটার অপারেটর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং পুরো পাকিস্তানে এটি চালানোর জন্য একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন ঢাকার হানিফউদ্দিন মিয়া।

তখন তরুণ হানিফউদ্দিন সোভিয়েত শাসিত চেকোস্লোভাকিয়া বিজ্ঞান একাডেমি থেকে অ্যানালগ কম্পিউটিং এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পিএইসি তাকে লাহোরে একটি আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দিলেও তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে যাব না’।

এটি ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ কারণেই পিএইসিকে কম্পিউটারটি ঢাকায় পাঠাতে হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মতে, এটি বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম পদার্পণের সূচনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে পিএইসির ঢাকার কার্যালয়ে (আণবিক কমিশন) আইবিএম ১৬২০ মডেলের মেইন ফ্রেম কম্পিউটারটি স্থাপন করে হানিফউদ্দিনকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই ছিল দ্বিতীয় কম্পিউটার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফারাক ছিল বিস্তর। কিন্তু তারপরও অবহেলিত পূর্ব বাংলার মধ্যে থেকে উঠে আসেন এক উজ্জ্বল প্রতিভা—মুহাম্মদ হানিফউদ্দিন মিয়া।

সেসময় ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অ্যাডাম কার্লের অনুমান অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পঞ্চম শ্রেণীতে উঠতে সক্ষম শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এমন অবস্থায় ১৯৬৪ সালে এক বাঙালির মধ্যে কম্পিউটিং ও ট্যাবুলেটিং মেশিন পরিচালনার যোগ্যতা খুঁজে পাবে তা হয়ত কল্পনাতেই ছিল না পাকিস্তান সরকারের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (আইবিএম) পাকিস্তান সরকারের জন্য উপহার হিসেবে একটি ১৬২০ মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার পাঠায়। পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (পিএইসি) লাহোর অফিসে এটি স্থাপন করা হবে।
কিন্তু পিএইসির এই মেইনফ্রেম কম্পিউটার চালানোর জন্য পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে সেসময় কোনো কম্পিউটার অপারেটর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং পুরো পাকিস্তানে এটি চালানোর জন্য একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন ঢাকার হানিফউদ্দিন মিয়া।

তখন তরুণ হানিফউদ্দিন সোভিয়েত শাসিত চেকোস্লোভাকিয়া বিজ্ঞান একাডেমি থেকে অ্যানালগ কম্পিউটিং এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পিএইসি তাকে লাহোরে একটি আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দিলেও তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে যাব না’।

এটি ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ কারণেই পিএইসিকে কম্পিউটারটি ঢাকায় পাঠাতে হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মতে, এটি বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম পদার্পণের সূচনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে পিএইসির ঢাকার কার্যালয়ে (আণবিক কমিশন) আইবিএম ১৬২০ মডেলের মেইন ফ্রেম কম্পিউটারটি স্থাপন করে হানিফউদ্দিনকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই ছিল দ্বিতীয় কম্পিউটার।