ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এ বছর শীত কম হবে, নাকি বেশি হবে? শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম, যা জানাল মোদি সরকার আসিফ নজরুলকে ‘র’ এজেন্ট বলার প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন আসিফ মাহমুদ সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মি, কী প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে? শেখ পরিবারের কে কোথায় আছেন? শেখ পরিবারের সিনেমায় ৩৭৮ কোটি রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে: নাহিদ ইসলাম স্বেচ্ছায় সরে গেলে সাধারণ ক্ষমা পাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা: উপদেষ্টা শেখ হাসিনার সরব হওয়াকে যেভাবে দেখছে সরকার, বিএনপি ও জামায়াত জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের কীর্তিগাঁথা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা ইজতেমায় ১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসা দিতে সতর্কতা ‘শেখ হাসিনা উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন’ দিল্লিকে ঢাকা লন্ডনে দেখা মিলল পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী-এমপিদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের মন্তব্য ‘সমীচীন’ নয়: দিল্লিকে ঢাকা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠ’: ড. ইউনূস ইইউ’র ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 31
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফারাক ছিল বিস্তর। কিন্তু তারপরও অবহেলিত পূর্ব বাংলার মধ্যে থেকে উঠে আসেন এক উজ্জ্বল প্রতিভা—মুহাম্মদ হানিফউদ্দিন মিয়া।

সেসময় ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অ্যাডাম কার্লের অনুমান অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পঞ্চম শ্রেণীতে উঠতে সক্ষম শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এমন অবস্থায় ১৯৬৪ সালে এক বাঙালির মধ্যে কম্পিউটিং ও ট্যাবুলেটিং মেশিন পরিচালনার যোগ্যতা খুঁজে পাবে তা হয়ত কল্পনাতেই ছিল না পাকিস্তান সরকারের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (আইবিএম) পাকিস্তান সরকারের জন্য উপহার হিসেবে একটি ১৬২০ মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার পাঠায়। পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (পিএইসি) লাহোর অফিসে এটি স্থাপন করা হবে।
কিন্তু পিএইসির এই মেইনফ্রেম কম্পিউটার চালানোর জন্য পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে সেসময় কোনো কম্পিউটার অপারেটর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং পুরো পাকিস্তানে এটি চালানোর জন্য একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন ঢাকার হানিফউদ্দিন মিয়া।

তখন তরুণ হানিফউদ্দিন সোভিয়েত শাসিত চেকোস্লোভাকিয়া বিজ্ঞান একাডেমি থেকে অ্যানালগ কম্পিউটিং এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পিএইসি তাকে লাহোরে একটি আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দিলেও তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে যাব না’।

এটি ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ কারণেই পিএইসিকে কম্পিউটারটি ঢাকায় পাঠাতে হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মতে, এটি বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম পদার্পণের সূচনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে পিএইসির ঢাকার কার্যালয়ে (আণবিক কমিশন) আইবিএম ১৬২০ মডেলের মেইন ফ্রেম কম্পিউটারটি স্থাপন করে হানিফউদ্দিনকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই ছিল দ্বিতীয় কম্পিউটার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফারাক ছিল বিস্তর। কিন্তু তারপরও অবহেলিত পূর্ব বাংলার মধ্যে থেকে উঠে আসেন এক উজ্জ্বল প্রতিভা—মুহাম্মদ হানিফউদ্দিন মিয়া।

সেসময় ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অ্যাডাম কার্লের অনুমান অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পঞ্চম শ্রেণীতে উঠতে সক্ষম শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এমন অবস্থায় ১৯৬৪ সালে এক বাঙালির মধ্যে কম্পিউটিং ও ট্যাবুলেটিং মেশিন পরিচালনার যোগ্যতা খুঁজে পাবে তা হয়ত কল্পনাতেই ছিল না পাকিস্তান সরকারের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (আইবিএম) পাকিস্তান সরকারের জন্য উপহার হিসেবে একটি ১৬২০ মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার পাঠায়। পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (পিএইসি) লাহোর অফিসে এটি স্থাপন করা হবে।
কিন্তু পিএইসির এই মেইনফ্রেম কম্পিউটার চালানোর জন্য পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে সেসময় কোনো কম্পিউটার অপারেটর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং পুরো পাকিস্তানে এটি চালানোর জন্য একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন ঢাকার হানিফউদ্দিন মিয়া।

তখন তরুণ হানিফউদ্দিন সোভিয়েত শাসিত চেকোস্লোভাকিয়া বিজ্ঞান একাডেমি থেকে অ্যানালগ কম্পিউটিং এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পিএইসি তাকে লাহোরে একটি আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দিলেও তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে যাব না’।

এটি ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ কারণেই পিএইসিকে কম্পিউটারটি ঢাকায় পাঠাতে হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মতে, এটি বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম পদার্পণের সূচনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে পিএইসির ঢাকার কার্যালয়ে (আণবিক কমিশন) আইবিএম ১৬২০ মডেলের মেইন ফ্রেম কম্পিউটারটি স্থাপন করে হানিফউদ্দিনকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই ছিল দ্বিতীয় কম্পিউটার।