অনেকের কাছে BRTA মানে বিড়ম্বনার অপর নাম , কোন কাজ করতে গেলে সারাদিন সময় লাগে এই চিন্তা করে অনেকেই BRTA তে সহজে যেতে চান না। কিন্তু আপনি জানেন কি অল্প সময়ের মধ্যে BRTA এর কাজগুলো শেষ করা যায় ? এর জন্য আপনাকে কোন দালাল এর সাহায্য নিতে হবে না। আপনি যদি কিছু জিনিস জানেন এবং সেগুলো ফলো করেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত আপনার কাজগুলো নিজেই শেষ করতে পারবেন। আজ আমি আপনাদের সাথে অল্প সময়ের মধ্যে BRTA এর কাজগুলো শেষ করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
অল্প সময়ের মধ্যে BRTA এর কাজগুলো শেষ করার পদ্ধতি
১- লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজ
লাইসেন্স করতে গেলে সবার আগে আপনার লার্নার করতে হয়, অনেকেই আছেন যারা এই লার্নার করতে দালালের কাছে যান। কিন্তু এই কাজটি এমন কোন কঠিন আজ না। আপনি কিন্তু ঘরে বসেই আপনার লার্নার এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এতে করে আপনার বিআরটিএ তে গিয়ে সময় নষ্ট হবে না এবং অযথা আপনি হয়রানির সম্মুখীন ও হবেন না।লার্নার কার্ড পাওয়ার পর আসল কাজ শুরু। আপনি যদি নিজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে চান তাহলে আপনার পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স নিতে হবে। তবে এর জন্য আপনাকে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।
২- বাইকের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজ
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ শোরুম বাইকের কাগজ করে দিয়ে থাকে। তবে আপনি যদি চান আপনি নিজে কাজটি করাবেন তাহলে তা করাতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছুটা শ্রম দিতে হবে। বাইকের রেজিস্ট্রেশন নিজে করাতে চাইলে আপনাকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিতে হবে। যেগুলা পেতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
৩- ট্যাক্স টোকেন রিনিউ সংক্রান্ত কাজ
ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার জন্য অনেকেই বিআরটিএ ( বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ) তে যান, যেখানে গিয়ে ব্যাংকে দীর্ঘ লাইন অতিক্রম করে ট্যাক্স টোকেন রিনিউ ফি জমা দেন। এতে করে আপনার যেমন সময় নষ্ট হয় ঠিক তেমন অনেক শ্রম যায়। কিন্তু আপনি চাইলে আপনার বাসার আশেপাশে থেকে কাজটি করতে পারেন।
৪- মালিকানা বদলী সংক্রান্ত কাজ
আপনি যদি আপনার বাইকটি বিক্রয় করতে চান অথবা পুরাতন বাইক কিনতে চান তাহলে আপনার উক্ত যানের মালিকানা বদলী করে নিতে হবে। অনেকেই ভাবেন এই কাজটি অনেক ঝামেলার তাই অনেক বেশি টাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে কাজটি করিয়ে থাকেন। কিন্তু আমি আমার বাইকগুলোর মালিকানা বদলী নিজে গিয়ে করিয়েছি কয়েকবার, এতে সময় ও অনেক কম লেগেছে আর টাকা খরচ কম হয়েছে।
আপনি যদি আগের দিন মালিকানা ফাইল কিনে সেটা রেডি করে নোটারি করে রাখেন তাহলে আপনার BRTA তে গিয়ে অযথা ছুটাছুটি করতে হবে না। জাস্ট ফাইলটা হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন, বাইক পরিদর্শন করাবেন আপনার মূল কাজ শেষ। তবে অবশ্যই ফাইল আপনাকে ঠিকভাবে রেডি করতে হবে, এবং সব কিছু আপনাকে সঠিক নিয়মে সংযুক্ত করতে হবে।
সতর্কতাঃ
আপনি যখন BRTA তে লেনদেন করেন তখন টাকাগুলো সাবধানে রাখুন, কারণ আপনার টাকার উপর কিছু খারাপ মানুষের নজর থাকে। আপনি থাকবেন কাজে ব্যস্ত আর এই ফাঁকে তারা সুযোগ নেয়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সেরে ফেলেন।
একজন বাইকারের মূলত এই কাগগুলো করতে বিআরটিএ তে যেতে হয়। আপনি যদি এই নিয়মগুলো মেনে চলেন তাহলে আশাকরি আপনি আপনার মূল্যবান সময় কিছুটা হলেও সেভ করতে পারবেন।