একজন কিংবদন্তি কর্মবীর সৈয়দ আলমগীরের গল্প

- আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
- / 46
মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েল,কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ দেশের কর্পোরেট সেক্টরে অতি পরিচিত একটি নাম সৈয়দ আলমগীর । পেশাগত ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্যের অধিকারী সৈয়দ আলমগীর ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সদালাপী, বন্ধু বৎসল মানুষ। তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার একজন কৃতি সন্তান। জীবন্ত কিংবদন্তি সৈয়দ আলমগীর বাস্তব জীবনে সত্যিকার অর্থে একজন কর্মবীর। নিজ এলাকায় তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন সৈয়দ আলমগীর নূরানী এতিম খানা মাদ্রাসা। তাঁর মায়ের নামে গড়ে তোলেছেন জোবাইদা নেওয়াজ মসজিদ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকার মানুষের মাঝে ধর্মীয় ও শিক্ষামূলক ভূমিকা রাখছে।
এই গুণী মানুষটি ছাত্র জীবন থেকেই ছিলেন অনন্য মেধার অধিকারী। তিনি কেন্দুয়া থেকে এসএসসি পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন । কলেজের পড়াশুনা শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে সেখান থেকেও সফলতার সাথে শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন । তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের মধ্যে প্রথম এমবিএ করেছিলেন। নিরহঙ্কার এই মানুষটি সময়ের কাজ সময়ে করাই শ্রেয় মনে করেন ।
সৈয়দ আলমগীর ছোটো বেলায় হতে চেয়েছিলেন একজন পাবলিক সারভেন্ট। সিএসপি অফিসার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেজন্য তাঁর কোন আফসোস হয় না। বর্তমানে সৈয়দ আলমগীর জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিপণন ক্ষেত্রে তার অবদান এবং সাফল্যের জন্য একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সম্মানিত সদস্য এবং সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা।
সৈয়দ আলমগীর ব্রিটিশ ভারতের পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের গগডী গ্রামে ১৯৫১ খ্রীস্টাব্দের ১ আগস্ট জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ নবী নেওয়াজ এবং মায়ের নাম জুবাইদা নেওয়াজ । সৈয়দ আলমগীরের দাম্পত্য সঙ্গী সালমা আলমগীর। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৩ কন্যা সন্তানের জনক। তিনি ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) সম্পন্ন করেন।
সৈয়দ আলমগীর ১৯৭৬ সালে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মে অ্যান্ড বেকারে (বর্তমানে সানোফি অ্যাভেন্টিস) কর্মজীবন শুরু করেন।
সৈয়দ আলমগীর ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত যমুনা গ্রুপে গ্রুপ বিপণন পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। কোম্পানিটি তাদের পেগাসাস জুতা মার্কা ১৯৯২ সালে চালু করেছিল। দুই বছরের মধ্যে তিনি একে বাটার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জুতা মার্কায় পরিণত করেন। ১৯৯৩ সালে, যমুনা তাদের প্রসাধনীর সুগন্ধি লাইন চালু করে। অ্যারোমেটিক সাবানকে হালাল হিসাবে বিপণন করে, যাতে কোনো পশুর চর্বি নেই, আলমগীর এটিকে প্রথম বছরেই দেশের ১৪% বাজার শেয়ার দখল করতে সাহায্য করেছিল। স্থানীয় বাজারে টিনের টুথপেস্টের টিউবগুলিকে ল্যামিনেটেড টিউব দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন, আলমগীর অ্যারোমেটিক টুথপেস্টকে বাংলাদেশে ১৫% মার্কেট শেয়ার দখল করতে সাহায্য করেছিলেন। সৈয়দ আলমগীর ১৯৯৮ সালে এসিআই লিমিটেডে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।দুই দশক ধরে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম কনজ্যুমার গুডস ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই সময়ে, এটি প্রাথমিকভাবে একটি রাসায়নিক কোম্পানি ছিল, যেখানে মাত্র দুটি ভোক্তা পণ্য ছিল, অ্যারোসোল গৃহস্থালী কীটনাশক এবং স্যাভলন অ্যান্টিসেপটিক্স। আলমগীর এসিআই-এর অধীনে ১৭টি নতুন পণ্য লাইন চালু করেছেন, যার মধ্যে এসিআই সল্ট এবং পিউর ফুড রয়েছে।
তিনি ২০১৭ সালে এসিআই কনজিউমার ব্র্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। তার নেতৃত্বে এসিআই এর পণ্য দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পায়। মার্কেটিং গুরু ফিলিপ কটলার তার ‘দ্যা প্রিন্সিপাল অফ মার্কেটিং’ বইয়ে সৈয়দ আলমগীরের হালাল সাবানের কনসেপ্টটি যোগ করেছেন।
সৈয়দ আলমগীর বাংলাদেশ ভ্যাকুয়াম সল্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্যানিটারি ন্যাপকিন অ্যান্ড ডায়াপার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-গ্রিস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে (এমজিআই) এফএমসিজি বিভাগের সিইও হিসেবে কাজ করছেন মার্কেটিং সুপারস্টার সৈয়দ আলমগীর।
সৈয়দ আলমগীর একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়িক নির্বাহী। তিনি এফএমসিজি বিভাগে হালাল ধারণা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিখ্যাত। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিখ্যাত চ্যানেলি অ্যান্ড ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক “দ্য মার্কেটিং সুপারস্টার” হিসাবে স্বীকৃত। তিনি মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম- বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের বিচারে দেশের ‘মার্কেটিং সুপারস্টার’ নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ আলমগীর। যা বাংলাদেশের মার্কেটিং সেক্টরে সর্বোচ্চ সম্মাননা।
এছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশের আরো অনেক পুরস্কার লাভ করেন। সৈয়দ আলমগীর ইউনিসেফের প্রাইভেট সেক্টর অ্যাডভাইজরি বোর্ডের একজন বিশিষ্ট সদস্য। তিনি অনেক পেশাজীবী সংস্থার সভাপতিও।
একটি শ্লোগানই কোনো পণ্যকে মার্কেট লিডারে পরিণত করতে পারে, বাংলাদেশে একমাত্র তিনিই তা প্রমাণ করেছেন। প্রায় দুই দশক আগে তিনি সৃষ্টি করেন এক কালজীয় স্লোগান, ‘একশ ভাগ হালাল’। এই স্লোগান দিয়ে তিনি দেশে হৈ চৈ ফেলে দেন। আলোচিত এই স্লোগানই অ্যারোমেটিক সাবান অন্যসব নামি ব্রান্ডের সাবানগুলোকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়। স্লোগানটির কারণেই তখন অ্যারোমেটিক সাবান মার্কেট লিডারে পরিণত হয়। তার এই সাফল্যের কারণেই তাকে বাংলাদেশের ফিলিপ কটলার বলা হয়। অবশ্য ফিলিপ কটলারও তাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ফিলিপ কটলার তার সর্বশেষ গ্রন্থের একটি চ্যাপ্টারে সৈয়দ আলমগীরের সাফল্য এবং তার কার্যক্রম নিয়ে লিখেছেন। এই অঞ্চলে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার বিপণনের সাফল্যের গল্প মার্কেটিংয়ের জনক ড. ফিলিপ কোটলারের প্রিন্সিপালস অব মার্কেটিং বইটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পাঠ্যবই বিশ্বব্যাপী শ্রেণিকক্ষে মার্কেটিং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সৈয়দ আলমগীর কর্মজীবন শুরু করে সেখানে মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে তিনি ৭টি ধাপে পরপর প্রমোশন প্রাপ্ত হন । চীফ অব মার্কেটিং, চীফ অব ডিসট্রিবিউশন সহ এই প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপুর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। একসময় তিনি মনে করেন ফার্মাসিউটিক্যাল এর কাজের ক্ষেত্রটা অনেক ছোটো। এখানে যা দেবার তিনি তা দিয়ে ফেলেছেন । পরে তিনি যমুনা গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন । তিনি যখন যোগদান করেন যমুনা গ্রুপ তখন এতো নামকরা ছিলনা। যমুনা গ্রুপে তিনি ৬ বছর ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য তার সর্বোচ্চ মেধাকে কাজে লাগিয়েছেন । উঁনার ধারণা চেয়ারম্যান যা চেয়েছিলেন তিনি তার থেকে অনেক বেশিই দিয়েছেন।
যমুনা গ্রুপ থেকে তিনি এসিআই কনজ্যুমার ব্রান্ড এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি মাত্র ২টা প্রডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। এখন প্রডাক্ট এর সংখ্যা অসংখ্য। এছাড়াও তিনি দুটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতাও করেছেন।
সৈয়দ আলমগীরের এত সফলতার পিছনে মূল স্পীডটা হল তাঁর ইচ্ছা শক্তিটা বেশ প্রবল। নিজের যোগ্যতার ব্যাপারে তিনি বেশ আস্থাশীল। তিনি একটা জিনিস যখন ধরেন তখন তিনি ভেবেই নেন যে তিনি তা পারবে। ফেইলর শব্দটা উঁনার অভিধানে নাই। তিনি যখন যা করতে চেয়েছেন তাই করতে পেরেছেন । ছাত্র জীবনে ভালো রেজাল্ট করে বাবা-মাকে খুশি করার কথা ভেবেছিলেন এবং তা করেছেন। তিনি কৃতিত্বের সাথে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেছেন। অথচ চাকরি জীবনে কখনই উঁনার সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে নাই।
অনেকদিন পূর্বে তিনি সংবাদ পত্রের এক সাক্ষাতকারে বলেন-আমার শিক্ষাজীবনের সার্টিফিকেট আসলে কোথায় আছে তাও জানি না। আমি দুইটা ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াই। পর্যায়ক্রমে ৩টা প্রতিষ্ঠানের বড় পদে আমি দায়িত্ব পালন করেছি। আমার কোনো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে নাই। কেউ আমার সার্টিফিকেট চায়ও নাই। ৩টি প্রতিষ্ঠানেই আমাকে ডেকে নিয়ে অনেক অনুরোধ করে চাকরিতে যোগদান করানো হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার গর্ব সৈয়দ আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ক্যাসেল, ইউএসএ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
সৈয়দ আলমগীর মূলত আইবিএতে পড়াশোনার পর যুক্তরাজ্যের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেডের সঙ্গে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯২ সালে যমুনা গ্রুপের গ্রুপ মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন এবং এসিআই লিমিটেডে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। পরে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উন্নীত হন।
এছাড়াও তিনি এসিআই কনজিউমার ব্র্যান্ডস, এসিআই সল্ট লিমিটেড, এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার লিমিটেড এবং এসিআই ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি এসিআই-এর ফরেন জয়েন্ট ভেঞ্চারসহ আরো কয়েকটি কোম্পানির বোর্ড সদস্য। সর্বশেষ তিনি আকিজ ভেঞ্চারসের গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এফএমসিজি ক্যাটাগরিতে ১০০% হালাল সাবান কনসেপ্ট তারই উদ্ভাবিত।
সৈয়দ আলমগীর বেশ কয়েক বছর ধরে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পার্টটাইম ফ্যাকাল্টি ছিলেন। সফল এবং কিংবদন্তি বিপণন ব্যক্তিত্ব মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে কাজ করছেন। এমজিআই পরিবার বিশ্বাস করে তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে ও ব্যবসায়িক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আগামীদিনে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ঐতিহাসিক গ্লোবাল এসএমই সামিট ২০২৫ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে গ্লোবাল এসএমই বিজনেস হোম (জিএসবিএইচ)। আগমী ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল দাভোস কংগ্রেস সেন্টারে এই সামিটটি অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবিশ্বের সবচেয়ে বড় এসএমই এবং ব্যবসায়িক নেতাদের ৫০০+ এর বেশি সমাগোম। এই ইভেন্টে স্পিকার হিসেবে থাকবে ৫০টিরও বেশি শীর্ষ কর্পোরেট ও ব্যবসায়ী নেতারা। বাংলাদেশ থেকে স্পিকার হিসাবে থাকবেন কর্পোরেট জগৎ এর আইকন “সৈয়দ আলমগীর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডক্টর_সৈয়দ_আলমগীর এমবিএ; বাংলাদেশ নিয়ে খুবই আশাবাাদী। তাঁর মতে বাংলাদেশের মানুষ খুব বুদ্ধিমান। চরম বিপদেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের মানুষ। তাই বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।
কর্মবীর এই মানুষটি আগামীতে দেশের মানুষের কল্যাণে আরো অনেক বড় কাজ করতে চান। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। মানুষের সেবা করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করতে চান।
সম্প্রতি জনমানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার মনোভাবে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন সৈয়দ আলমগীর এবং আগামীদিনে নিজ এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান বলে বিভিন্ন সভায় তার বক্তব্যে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।