ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

কনডমের আবিষ্কার, ব্যবহার ও ইতিহাস

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 27
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কনডম কী? কত সালে আবিষ্কার হয়েছিলো কনডম। কনডম কিভাবে জনপ্রিয় হলো এসব নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কিন্তু জানার উপায় থাকে না। আবার লোক লজ্জার ভয়েও অনেকে বিষয়টি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। তবে আজকে প্রবাসীর দিগন্তর পাঠকদের জন্য কনডম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

কনডম নিয়ে কথা বললে প্রথমেই আসা যাক কনডম কী?
কনডম প্রধানত যৌনসংগমকালে ব্যবহৃত এক প্রকার জন্মনিরোধক বস্তু। যা মূলত গর্ভধারণ ও গনোরিয়া, সিফিলিস ও এইচআইভি-এর মতো যৌনরোগের প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীকে যৌন রোগ থেকে রক্ষা করে। যে কোনও মেডিকেল শপে আপনি সহজেই কনডম পেতে পারেন।

রবার ও উৎপাদনপ্রক্রিয়ার উন্নতি
১৮৪৪ সালে চার্লস গুডইয়ার তাপপ্রয়োগ করে রবারে গন্ধক মিশিয়ে তা শক্ত করার প্রক্রিয়াটির পেটেন্ট নেন। ১৮৫৫ সালে প্রথম রবার কনডম তৈরি হয়। অনেক দশক ধরে শিশ্নাকৃতি মণ্ডে কাচা রবার মাখিয়ে এবং তারপর রবারকে শোধন করার জন্য মণ্ডটিকে রাসায়নিক দ্রবণে ডুবিয়ে কনডম প্রস্তুত করা হত। ১৯১২ সালে জুলিয়াস ফ্রম নামে এক জার্মান কনডম উৎপাদনের একটি নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন: তিনি কাচা রবারের দ্রবণে কাচের মণ্ড ডুবিয়ে কনডম উৎপাদন শুরু করেন। সিমেন্ট ডিপিং নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে রবারকে তরল করতে তার সঙ্গে গ্যাসোলিন বা বেনজিন মেশাতে হত।

জলাভেদ্য রবার তরুক্ষীর কনডম আবিষ্কৃত হয় ১৯২০ সালে। সিমেন্ট-ডিপড রবার কনডমের তুলনায় তরুক্ষীর কনডম উৎপাদন প্রক্রিয়া ছিল অনেক সহজ। রবার কনডম ঘষে ঘষে মসৃণ করতে হত। তাছাড়া গ্যাসোলিন ও বেনজিনের বদলে তরুক্ষীর কনডম উৎপাদনে জল ব্যবহারের ফলে কনডম কারখানায় আগুন জ্বালানোর সমস্যার সমাধান হয়। ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেও তরুক্ষীর কনডম অনেক বেশি কার্যকরী: এগুলি রবার কনডমের তুলনায় অনেক শক্ত অথচ পাতলা। ব্যবহার না করা অবস্থায় এগুলি পাঁচ বছর পর্যন্ত রেখে দেওয়া যায়; যেখানে রবার কনডম রাখা যায় মাত্র তিন মাস।

১৯২০-এর দশক পর্যন্ত সকল প্রকার কনডমই অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের দ্বারা হাতে তৈরি হত। কিন্তু এই দশকে যন্ত্রের মাধ্যমে কনডম উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৩০ সালে প্রথম সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত কনডমের পেটেন্ট নেওয়া হয়। ফলত, বড়ো বড়ো কনডম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিই কনডম উৎপাদন চালিয়ে যেতে থাকে, ছোটোখাটো সংস্থাগুলি ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। তরুক্ষীর কনডমের চেয়ে অনেক বেশি দামী স্কিন কনডমের বাজারও ছোটো হয়ে আসে।

কনডম কিভাবে তৈরি করা হয়:

কনডমের আবিষ্কার করেছিলেন চার্লস গোদিয়ার। ১৮৩৯ সাল নাদাগ প্রথম কনডম আবিষ্কার করেন চার্লস গোদিয়ার। প্রাচীনকাল থেকেই অবশ্য কনডমের প্রচলন ছিল। তখন পশুর চামরাকে কনডম হিসাবে ব্যবহার করা হত। পঞ্চাদশ শতকে ধাতব কনডমের প্রচলন ছিল।এক্ষেত্রে একটা ধাতব পদার্থ কনডম হিসাবে ব্যবহার করা হত। ষষ্ঠদশ শতকে ইউরোপে যৌন রোগ ঠেকানোর জন্য ইতালির চিকিৎসক গ্যাব্রিয়েলি ফ্যালোপিয়ো পেনিসের জন্য একটি আবরণ বানান। ১৮৫৮ সাল নাগাদ প্রথম আধুনিক রাবার কনডমের আবিষ্কার হয়।

কনডমের ধরণ:
পুরুষের কনডমের অনেক ফ্লেবারে পাওয়া যায় । যার মধ্যে কলা, চকোলেট, ভ্যানিলা, আপেল, স্ট্রবেরি, কফি ইত্যাদি রয়েছে। এই জাতীয় কনডম ওরাল সেক্সের সময় এসটিডিটির ঝুঁকি হ্রাস করে।

কনডম কীভাবে ব্যবহার করবেন?

কনডমটি সাবধানতার সাথে খুলুন এবং সঠিকভাবে কনডমটি যাচাই করে মোড়ক থেকে সরান।
সোজা, শক্ত  লিঙ্গের মাথায় কনডম রাখুন। যদি সুন্নত না করা হয় তবে প্রথমে ফোরস্কিনটি আবার টানুন।
কনডমের ডগা থেকে এক চিমটি বায়ু সরান।
লিঙ্গ টি কনডমে ঢুকিয়ে নিন।
যৌনতার পরে বাইরে বের করার আগে কনডমটি বেসে ধরে রাখুন। তারপরে কনডমটি টানুন এবং সঠিক ভাবে জায়গায় রাখুন।
কনডম সাবধানে খুলে ফেলুন এবং এটিকে আবর্জনায় ফেলে দিন।
কনডম ফেটে গেলে গর্ভাবস্থা এড়াতে পাঁচ দিনের মধ্যে পিল্স ব্যবহার করুন।

কনডম ব্যাবহারে সুবিধা কী?

আপনি যে কোন ফার্মেসি তে সহজেই কনডম পাবেন এবং আপনি এটি অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন।
কনডমের নিম্নলিখিত সুবিধা রয়েছে যা এইডস-এর মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করে।
কনডম জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধে সহায়তা করে। যৌন সংক্রমণ রোধ করে।
আপনি সহজেই এটি কেমিস্টের দোকানে নিতে পারেন। কনডমের বেশি দাম হয় না এবং কনডম পাওয়ার জন্য আপনার কোনও প্রেসক্রিপশন লাগে না।
কনডম বিভিন্ন স্বাদ এবং আকারে পাওয়া যায়। কনডম যৌন আনন্দকে উৎসাহ দেয়। এটিতে তৈলাক্ত লুব্রিকেন্ট থাকে।
কনডমের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে, ভুল আকার ব্যবহার করলে ফেটে যেতে পারে। তাই সঠিক আকারের কনডম ব্যবহার করুন।

কনডম ব্যবহারে অসুবিধাগুলি কী কী?

অনেক পুরুষের অভিযোগ, কনডম ব্যবহার উত্তেজনা হ্রাস করে। এর কারণ হ’ল আপনি সঠিক আকারের কনডম ব্যবহার করেন না।
কনডম ভুলভাবে ব্যবহারের ফলে কনডম নষ্ট হয়ে যায় এবং ফেটে যায়।
কিছু পুরুষের মতে, কনডম মেজাজ এবং উত্তেজনা হ্রাস করে এবং প্রথম ক্রিয়ায় ফিরে আসে।
কনডম বীর্যপাত বৃদ্ধি করে এবং আরও বেশি বীর্যপাত পুরুষাঙ্গের অনুপ্রবেশকে হ্রাস করে।
ল্যাটেক্স অ্যালার্জি হ’ল কনডম ব্যবহার এবং একটি সীমাবদ্ধতা। আপনি তেল ব্যবহার করার পরে কনডমের ব্যবহার সঠিক নয়।

কনডম প্রায় ৪০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই কনডম ব্যবহার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় জন্মনিরোধ পদ্ধতি। আধুনিক সমাজে কনডমের ব্যবহার ব্যাপক মান্যতা লাভ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কনডমের আবিষ্কার, ব্যবহার ও ইতিহাস

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

 

কনডম কী? কত সালে আবিষ্কার হয়েছিলো কনডম। কনডম কিভাবে জনপ্রিয় হলো এসব নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কিন্তু জানার উপায় থাকে না। আবার লোক লজ্জার ভয়েও অনেকে বিষয়টি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। তবে আজকে প্রবাসীর দিগন্তর পাঠকদের জন্য কনডম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

কনডম নিয়ে কথা বললে প্রথমেই আসা যাক কনডম কী?
কনডম প্রধানত যৌনসংগমকালে ব্যবহৃত এক প্রকার জন্মনিরোধক বস্তু। যা মূলত গর্ভধারণ ও গনোরিয়া, সিফিলিস ও এইচআইভি-এর মতো যৌনরোগের প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীকে যৌন রোগ থেকে রক্ষা করে। যে কোনও মেডিকেল শপে আপনি সহজেই কনডম পেতে পারেন।

রবার ও উৎপাদনপ্রক্রিয়ার উন্নতি
১৮৪৪ সালে চার্লস গুডইয়ার তাপপ্রয়োগ করে রবারে গন্ধক মিশিয়ে তা শক্ত করার প্রক্রিয়াটির পেটেন্ট নেন। ১৮৫৫ সালে প্রথম রবার কনডম তৈরি হয়। অনেক দশক ধরে শিশ্নাকৃতি মণ্ডে কাচা রবার মাখিয়ে এবং তারপর রবারকে শোধন করার জন্য মণ্ডটিকে রাসায়নিক দ্রবণে ডুবিয়ে কনডম প্রস্তুত করা হত। ১৯১২ সালে জুলিয়াস ফ্রম নামে এক জার্মান কনডম উৎপাদনের একটি নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন: তিনি কাচা রবারের দ্রবণে কাচের মণ্ড ডুবিয়ে কনডম উৎপাদন শুরু করেন। সিমেন্ট ডিপিং নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে রবারকে তরল করতে তার সঙ্গে গ্যাসোলিন বা বেনজিন মেশাতে হত।

জলাভেদ্য রবার তরুক্ষীর কনডম আবিষ্কৃত হয় ১৯২০ সালে। সিমেন্ট-ডিপড রবার কনডমের তুলনায় তরুক্ষীর কনডম উৎপাদন প্রক্রিয়া ছিল অনেক সহজ। রবার কনডম ঘষে ঘষে মসৃণ করতে হত। তাছাড়া গ্যাসোলিন ও বেনজিনের বদলে তরুক্ষীর কনডম উৎপাদনে জল ব্যবহারের ফলে কনডম কারখানায় আগুন জ্বালানোর সমস্যার সমাধান হয়। ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেও তরুক্ষীর কনডম অনেক বেশি কার্যকরী: এগুলি রবার কনডমের তুলনায় অনেক শক্ত অথচ পাতলা। ব্যবহার না করা অবস্থায় এগুলি পাঁচ বছর পর্যন্ত রেখে দেওয়া যায়; যেখানে রবার কনডম রাখা যায় মাত্র তিন মাস।

১৯২০-এর দশক পর্যন্ত সকল প্রকার কনডমই অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের দ্বারা হাতে তৈরি হত। কিন্তু এই দশকে যন্ত্রের মাধ্যমে কনডম উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৩০ সালে প্রথম সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত কনডমের পেটেন্ট নেওয়া হয়। ফলত, বড়ো বড়ো কনডম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিই কনডম উৎপাদন চালিয়ে যেতে থাকে, ছোটোখাটো সংস্থাগুলি ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। তরুক্ষীর কনডমের চেয়ে অনেক বেশি দামী স্কিন কনডমের বাজারও ছোটো হয়ে আসে।

কনডম কিভাবে তৈরি করা হয়:

কনডমের আবিষ্কার করেছিলেন চার্লস গোদিয়ার। ১৮৩৯ সাল নাদাগ প্রথম কনডম আবিষ্কার করেন চার্লস গোদিয়ার। প্রাচীনকাল থেকেই অবশ্য কনডমের প্রচলন ছিল। তখন পশুর চামরাকে কনডম হিসাবে ব্যবহার করা হত। পঞ্চাদশ শতকে ধাতব কনডমের প্রচলন ছিল।এক্ষেত্রে একটা ধাতব পদার্থ কনডম হিসাবে ব্যবহার করা হত। ষষ্ঠদশ শতকে ইউরোপে যৌন রোগ ঠেকানোর জন্য ইতালির চিকিৎসক গ্যাব্রিয়েলি ফ্যালোপিয়ো পেনিসের জন্য একটি আবরণ বানান। ১৮৫৮ সাল নাগাদ প্রথম আধুনিক রাবার কনডমের আবিষ্কার হয়।

কনডমের ধরণ:
পুরুষের কনডমের অনেক ফ্লেবারে পাওয়া যায় । যার মধ্যে কলা, চকোলেট, ভ্যানিলা, আপেল, স্ট্রবেরি, কফি ইত্যাদি রয়েছে। এই জাতীয় কনডম ওরাল সেক্সের সময় এসটিডিটির ঝুঁকি হ্রাস করে।

কনডম কীভাবে ব্যবহার করবেন?

কনডমটি সাবধানতার সাথে খুলুন এবং সঠিকভাবে কনডমটি যাচাই করে মোড়ক থেকে সরান।
সোজা, শক্ত  লিঙ্গের মাথায় কনডম রাখুন। যদি সুন্নত না করা হয় তবে প্রথমে ফোরস্কিনটি আবার টানুন।
কনডমের ডগা থেকে এক চিমটি বায়ু সরান।
লিঙ্গ টি কনডমে ঢুকিয়ে নিন।
যৌনতার পরে বাইরে বের করার আগে কনডমটি বেসে ধরে রাখুন। তারপরে কনডমটি টানুন এবং সঠিক ভাবে জায়গায় রাখুন।
কনডম সাবধানে খুলে ফেলুন এবং এটিকে আবর্জনায় ফেলে দিন।
কনডম ফেটে গেলে গর্ভাবস্থা এড়াতে পাঁচ দিনের মধ্যে পিল্স ব্যবহার করুন।

কনডম ব্যাবহারে সুবিধা কী?

আপনি যে কোন ফার্মেসি তে সহজেই কনডম পাবেন এবং আপনি এটি অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন।
কনডমের নিম্নলিখিত সুবিধা রয়েছে যা এইডস-এর মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করে।
কনডম জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধে সহায়তা করে। যৌন সংক্রমণ রোধ করে।
আপনি সহজেই এটি কেমিস্টের দোকানে নিতে পারেন। কনডমের বেশি দাম হয় না এবং কনডম পাওয়ার জন্য আপনার কোনও প্রেসক্রিপশন লাগে না।
কনডম বিভিন্ন স্বাদ এবং আকারে পাওয়া যায়। কনডম যৌন আনন্দকে উৎসাহ দেয়। এটিতে তৈলাক্ত লুব্রিকেন্ট থাকে।
কনডমের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে, ভুল আকার ব্যবহার করলে ফেটে যেতে পারে। তাই সঠিক আকারের কনডম ব্যবহার করুন।

কনডম ব্যবহারে অসুবিধাগুলি কী কী?

অনেক পুরুষের অভিযোগ, কনডম ব্যবহার উত্তেজনা হ্রাস করে। এর কারণ হ’ল আপনি সঠিক আকারের কনডম ব্যবহার করেন না।
কনডম ভুলভাবে ব্যবহারের ফলে কনডম নষ্ট হয়ে যায় এবং ফেটে যায়।
কিছু পুরুষের মতে, কনডম মেজাজ এবং উত্তেজনা হ্রাস করে এবং প্রথম ক্রিয়ায় ফিরে আসে।
কনডম বীর্যপাত বৃদ্ধি করে এবং আরও বেশি বীর্যপাত পুরুষাঙ্গের অনুপ্রবেশকে হ্রাস করে।
ল্যাটেক্স অ্যালার্জি হ’ল কনডম ব্যবহার এবং একটি সীমাবদ্ধতা। আপনি তেল ব্যবহার করার পরে কনডমের ব্যবহার সঠিক নয়।

কনডম প্রায় ৪০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই কনডম ব্যবহার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় জন্মনিরোধ পদ্ধতি। আধুনিক সমাজে কনডমের ব্যবহার ব্যাপক মান্যতা লাভ করেছে।