ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

কেন্দুয়ায় কৃষি কর্মকর্তার বিল বিতর্ক:কমিশনের দাবি বনাম ডকুমেন্ট ঘাটতি

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 60
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহ আলী তৌফিক রিপন

কেন্দুয়া, নেত্রকোনা:

সম্প্রতি কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের একটি বিল নিয়ে গুরুতর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার অভিযোগ করেছেন যে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল ছাড় করতে ৫% কমিশন দিতে হয়। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনসহ জনমনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

হুমায়ুন দিলদার দাবি করেন, “আমার আগে যারা এই পদে ছিলেন, তারা হয়তো ৫% কমিশন দিয়ে বিল ছাড় করিয়েছেন। কিন্তু আমি সেই অর্থ দিতে অস্বীকার করায়, আমার বিল আটকে দেওয়া হয়।” তার আরও অভিযোগ, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপের পর তার বিল আংশিক ছাড়া হয়। কর্মকর্তার এই বক্তব্যে সরকারি দপ্তরের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে।

তবে, এই প্রসঙ্গে কেন্দুয়ায় পূর্ববর্তী কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, তিনি কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। তার বক্তব্য, “আমার সময়ে কোনো ঘুষ বা কমিশনের দাবি কখনো করা হয়নি।” তার এই বক্তব্য বর্তমান কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

অন্যদিকে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কৃষি কর্মকর্তার বিলে সাপোর্টিং ডকুমেন্টের ঘাটতি ছিল, সে কারণেই বিল ফেরত দেওয়া হয়। এখানে কোনো অনৈতিক কমিশনের প্রশ্নই আসে না।” তিনি দাবি করেন, নিয়ম মেনেই বিল যাচাই করা হয় এবং সেটি পাস করতে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে।
ঘটনার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী কৃষি কর্মকর্তার কাছে তার সাবমিট করা বিলের পরিমাণ জানতে চাইলে, তিনি অফিসের এক অনুপস্থিত স্টাফের উল্লেখ করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এতে করে বিলগুলো নিয়ে দুর্নীতির সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন মহল থেকে এ বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি উঠে আসছে।
এই ঘটনার ফলে জনমনে সন্দেহের মাত্রা বেড়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, যদি সত্যিই কমিশন নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তবে সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। অন্যদিকে, যদি কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগ মিথ্যা হয়, তবে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কেন্দুয়া উপজেলায় এ ধরনের অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দুদকের হস্তক্ষেপে বিলের আংশিক ছাড় করা হলেও পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এখন সময়ের দাবি। জনমনে সংশয়ের মেঘ সরিয়ে প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং সব পক্ষের বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেন্দুয়ায় কৃষি কর্মকর্তার বিল বিতর্ক:কমিশনের দাবি বনাম ডকুমেন্ট ঘাটতি

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

শাহ আলী তৌফিক রিপন

কেন্দুয়া, নেত্রকোনা:

সম্প্রতি কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের একটি বিল নিয়ে গুরুতর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার অভিযোগ করেছেন যে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল ছাড় করতে ৫% কমিশন দিতে হয়। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনসহ জনমনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

হুমায়ুন দিলদার দাবি করেন, “আমার আগে যারা এই পদে ছিলেন, তারা হয়তো ৫% কমিশন দিয়ে বিল ছাড় করিয়েছেন। কিন্তু আমি সেই অর্থ দিতে অস্বীকার করায়, আমার বিল আটকে দেওয়া হয়।” তার আরও অভিযোগ, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপের পর তার বিল আংশিক ছাড়া হয়। কর্মকর্তার এই বক্তব্যে সরকারি দপ্তরের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে।

তবে, এই প্রসঙ্গে কেন্দুয়ায় পূর্ববর্তী কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, তিনি কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। তার বক্তব্য, “আমার সময়ে কোনো ঘুষ বা কমিশনের দাবি কখনো করা হয়নি।” তার এই বক্তব্য বর্তমান কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

অন্যদিকে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কৃষি কর্মকর্তার বিলে সাপোর্টিং ডকুমেন্টের ঘাটতি ছিল, সে কারণেই বিল ফেরত দেওয়া হয়। এখানে কোনো অনৈতিক কমিশনের প্রশ্নই আসে না।” তিনি দাবি করেন, নিয়ম মেনেই বিল যাচাই করা হয় এবং সেটি পাস করতে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে।
ঘটনার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী কৃষি কর্মকর্তার কাছে তার সাবমিট করা বিলের পরিমাণ জানতে চাইলে, তিনি অফিসের এক অনুপস্থিত স্টাফের উল্লেখ করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এতে করে বিলগুলো নিয়ে দুর্নীতির সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন মহল থেকে এ বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি উঠে আসছে।
এই ঘটনার ফলে জনমনে সন্দেহের মাত্রা বেড়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, যদি সত্যিই কমিশন নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তবে সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। অন্যদিকে, যদি কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগ মিথ্যা হয়, তবে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কেন্দুয়া উপজেলায় এ ধরনের অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দুদকের হস্তক্ষেপে বিলের আংশিক ছাড় করা হলেও পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এখন সময়ের দাবি। জনমনে সংশয়ের মেঘ সরিয়ে প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং সব পক্ষের বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।