ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তসলিমার ‘চুম্বন’ প্রকাশকের জয় বাংলা স্লোগান, মব জাস্টিস উস্কে দেয়ার ভারতীয় প্ল্যান? জরুরি ওষুধেও ব্যবসার ফাঁদ:ওষুধের বাজারে অরাজকতা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৩২: প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মাদ প্রায় শেখ হাসিনা বেনজীরকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারিতে নির্দেশনা শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস শেখ হাসিনার সঙ্গে কী পরিকল্পনা করছিলেন শাওন ? এবার আটক অভিনেত্রী সোহানা সাবা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক শেখ হাসিনার ফাঁদে পড়ে আরও ক্ষয়ে যাচ্ছে আ. লীগ হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী রুবাইয়াত হাসিনার ভাষণের মুখোমুখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন! শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী বলছে আওয়ামী লীগ? হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবন, শানবাঁধানো ঘাট, পুকুর বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ তিতুমীর আন্দোলনের পেছনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনাকে রেখেই ফিরছে আওয়ামী লীগ? শেখ হাসিনাকন্যা পুতুলের আড়াই মিনিটের নাচের ভিডিও ভাইরাল হাসিনার সাথে ভারতে গোপন বৈঠক করলেন ওবায়দুল কাদের

কেন্দুয়ায় দুই পক্ষে সংর্ঘের শংকা ; বোরো উৎপাদন ব্যাহতের আশংকা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 82
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাঈন উ্দ্দিন সরকার রয়েল,কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ
কেন্দুয়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামে সেচ নিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দুপক্ষের একজন হলেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুকুল এবং অপরপক্ষে রয়েছেন গ্রামটির অর্ধশতাধিক কৃষক। এ অবস্থায় বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় অর্ধশত কৃষক। গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, বিগত সরকারের সময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুকুল দলীয় প্রভাব বিস্তার করে একটি সেচ লাইনের অনুমোদন নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করেন। পরবর্তীতে গ্রামের যাদের জমির পরিমাণ বেশি রয়েছে, তাদের জমিতে ঠিকমত সেচের পানি না দেওয়া এবং কৃষকদের কাছে সেচের পানির বিল হিসেবে অতিরিক্ত চার্জ দাবি করেন। এ নিয়ে রফিকুল ইসলাম মুকুলের সাথে অধিকাংশ কৃষকদের বনিবনা হচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে একপর্যায়ে গ্রাম্য সালিশ বসে। এতেও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় গ্রামের লোকজন কৃষক বাবুল মিয়ার নামে একটি সেচ লাইলের অবেদন করে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে এবং অনুমোদন নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করেন তারা। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম মুকুলের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুল মিয়ার সেচ লাইনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন।
কৃষক বাবুল মিয়া বলেন, রফিকুল ইসলাম মুকুল ব্যবসার উদ্দেশ্য নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করে আমাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। এ নিয়ে তার সাথে আমাদের বেশ কয়েকবার আলোচনা করেও কোনো সমাধান না হওয়ায় প্রায় ৩৫ একর জমির মালিক কৃষকদের সম্মতিতে আমার নামে একটি সেচ লাইন অনুমোদন নিয়ে আমার জমিতে স্থাপন করি। পরবর্তী সময়ে মুকুল অভিযোগ করে আমার লাইন বিচ্ছিন্ন করায়। এ অবস্থায় আমিসহ গ্রামের অধিকাংশ কৃষক ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে কোনো রকম জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করেছি। কিন্তু এখন মুকুল ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে জমিতে সেচের পানি দিতে দিচ্ছে না। কৃষক এখলাস উদ্দিন জানান, এই হাওরে আমাদের গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকের অন্তত ৩৫ একর জমি রয়েছে। আর রফিকুল ইসলাম মুকুলের নিজের ৪ শতক জায়গা ছাড়া অন্য কোনো জমি নেই। তার পক্ষের কিছু লোকের প্রায় ১০ একরের মতো জমি রয়েছে। মুকুল আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে সেচ লাইন স্থাপন করে আমাদের জমিতে সেচের পানি না দেওয়ায় আমরা বাবুলের নামে সেচ লাইন অনুমোদন এনে স্থাপন করেছিলাম। এখন এই লাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লাইন কেটে ফেলেছে। আমাদের ধানের জমি পানির অভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলাম মুকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আর বাবুল মিয়ার সেচ লাইনটি যেখানে অনুমোদন করিয়েছিল সেই স্থানে স্থাপন না করে আমার সেচ লাইনের পাশে স্থাপন করায় আমি তাদের সেচ লাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেন্দুয়ায় দুই পক্ষে সংর্ঘের শংকা ; বোরো উৎপাদন ব্যাহতের আশংকা

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাঈন উ্দ্দিন সরকার রয়েল,কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ
কেন্দুয়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামে সেচ নিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দুপক্ষের একজন হলেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুকুল এবং অপরপক্ষে রয়েছেন গ্রামটির অর্ধশতাধিক কৃষক। এ অবস্থায় বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় অর্ধশত কৃষক। গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, বিগত সরকারের সময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুকুল দলীয় প্রভাব বিস্তার করে একটি সেচ লাইনের অনুমোদন নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করেন। পরবর্তীতে গ্রামের যাদের জমির পরিমাণ বেশি রয়েছে, তাদের জমিতে ঠিকমত সেচের পানি না দেওয়া এবং কৃষকদের কাছে সেচের পানির বিল হিসেবে অতিরিক্ত চার্জ দাবি করেন। এ নিয়ে রফিকুল ইসলাম মুকুলের সাথে অধিকাংশ কৃষকদের বনিবনা হচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে একপর্যায়ে গ্রাম্য সালিশ বসে। এতেও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় গ্রামের লোকজন কৃষক বাবুল মিয়ার নামে একটি সেচ লাইলের অবেদন করে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে এবং অনুমোদন নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করেন তারা। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম মুকুলের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুল মিয়ার সেচ লাইনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন।
কৃষক বাবুল মিয়া বলেন, রফিকুল ইসলাম মুকুল ব্যবসার উদ্দেশ্য নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করে আমাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। এ নিয়ে তার সাথে আমাদের বেশ কয়েকবার আলোচনা করেও কোনো সমাধান না হওয়ায় প্রায় ৩৫ একর জমির মালিক কৃষকদের সম্মতিতে আমার নামে একটি সেচ লাইন অনুমোদন নিয়ে আমার জমিতে স্থাপন করি। পরবর্তী সময়ে মুকুল অভিযোগ করে আমার লাইন বিচ্ছিন্ন করায়। এ অবস্থায় আমিসহ গ্রামের অধিকাংশ কৃষক ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে কোনো রকম জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করেছি। কিন্তু এখন মুকুল ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে জমিতে সেচের পানি দিতে দিচ্ছে না। কৃষক এখলাস উদ্দিন জানান, এই হাওরে আমাদের গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকের অন্তত ৩৫ একর জমি রয়েছে। আর রফিকুল ইসলাম মুকুলের নিজের ৪ শতক জায়গা ছাড়া অন্য কোনো জমি নেই। তার পক্ষের কিছু লোকের প্রায় ১০ একরের মতো জমি রয়েছে। মুকুল আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে সেচ লাইন স্থাপন করে আমাদের জমিতে সেচের পানি না দেওয়ায় আমরা বাবুলের নামে সেচ লাইন অনুমোদন এনে স্থাপন করেছিলাম। এখন এই লাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লাইন কেটে ফেলেছে। আমাদের ধানের জমি পানির অভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলাম মুকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আর বাবুল মিয়ার সেচ লাইনটি যেখানে অনুমোদন করিয়েছিল সেই স্থানে স্থাপন না করে আমার সেচ লাইনের পাশে স্থাপন করায় আমি তাদের সেচ লাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।