ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

কেন্দুয়ার ইউএনও ড.ইমদাদুল হক তালুকদারের জীবন কথা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • / 140
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েল,কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ
ড. ইমদাদুল হক তালুকদার একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা, যিনি বর্তমানে কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত। তিনি ৩৫তম বিসিএস ব্যাচের একজন কর্মকর্তা, এবং এর আগে তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। তিনি উন্নয়ন মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রিধারী। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক তালুকদার । তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর সদরের মোহনপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ৪ আগস্ট ১৯৮৭ ইং ( অফিসিয়ালি: ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৮ইং)
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ শামছুল হক তালুকদার বাশচড়া এসবিজি মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ বছর প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ইমদাদুল হক তালুকদারের মাতা মাহফুজা খাতুন মোহনপুর খুপিবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন । ইমদাদুল হক তালুকদারের প্রাথমিক শিক্ষার হাতে খড়ি হয় নিজ মা যে বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ছিলেন সে বিদ্যাপীঠে। মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন বাশচড়া এসবিজও মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন ঢাকা স্টেট কলেজে পরবর্তীতে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে বিএসসি (সাইকোলজি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমএসএস ও পিএইচডি, ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজি, Abo Akademi University, Finland, এমএসসি ইন মেডিক্যাল সায়েন্স (মেজর ইন হেলথ ইকনমিক্স, পলিসি এন্ড ম্যানেজমেন্ট, Karolinska Instirute, Sweden.সম্পন্ন করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি স্বোপার্জিতা হক তালুকদার অধরা নামে এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি শৈশব কৈশোর থেকেই বহু গুনের অধিকারী। শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের পাশাপাশি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন বহু। এছাড়াও তিনি নিজেকে সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রেখেছেন সময়। মানবিক গুনাবলীর বহিঃ প্রকাশ ঘটিয়েছেন বিভিন্ন কর্মকান্ডে।
তন্মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি ও এফএইচ হল ডিবেটিং সোসাইটিতে বিতার্কিক হিসেবে অংশগ্রহণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচীর আওতায় রক্তদান ও ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ, ইউএসএইডের অর্থায়নে ফিল্ম ফর ফ্রিডম প্রকল্পের আওতায় শর্ট ফিল্ম মেকার হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে জনসচেতনতা ও জননান্দনিকতা সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করেছেন। ছাত্র জীবন থেকে কর্মজীবন, সংসার জীবন সর্ব জায়গাতেই তিনি অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও উঁনার রয়েছে বহুমাত্রিক প্রতিভা। রয়েছে বিচিত্র অভিজ্ঞতা। তিনি দীর্ঘদিন কালের কন্ঠের ফিচার বিভাগের নিয়মিত লেখালেখি করেছেন, আমাদের সময়ের বিনোদন বিভাগে ফিচার লেখক হিসেবে কাজ করেছেন, জাতীয় রম্য টেবলয়েড “বিচ্ছু” ও “ঘোড়ার ডিম” এর এক সময়কার নিয়মিত লেখক। এছাড়াও, কালের খেয়া, গল্পকার সহ জাতীয় সাহিত্য অঙ্গণে ছোটগল্প, কবিতা প্রকাশ। এক সময় প্রায় নিয়মিত জতীয় দৈনিকে উপসম্পাদকীয় ও কলাম লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখনো সকল জাতীয় মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ততা ও সু সম্পর্ক রয়েছে। ড.ইমদাদুল হক তালুকদারের প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হল -পরানপোড়া ছাই (ঐতিহ্য প্রকাশনী, কবিতার বই), শাখের করাত (রম্য রচনা) এছাড়াঔ তিনি মরমী কবি সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ কে নিয়ে ভাব তরঙ্গ নামে একটি পুস্তক সম্পাদনা করেছেন। তিনি যেমন লেখালেখিতে স্বিদ্ধ হস্ত তেমনি কন্ঠ সংগীতেও পারদর্শী। তাঁর সুরেলা কন্ঠের গান মানুষকে বিমোহিত করে। মুগ্ধ তাঁর গান শোনে শ্রোতারা এমন নজীর রয়েছে বহু। মঞ্চে টেলিভিশনেও উঁনার গান ব্যাপকভাবে সমাধৃত হয়েছে দর্শক শ্রোতার কাছে। উঁনার সংগীত ও লেখালেখির হাতে খড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান-নিজ আগ্রহে সংগীত শিক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তবে সংগীতের তাত্ত্বিক ও কারিগরী দিক নিয়ে প্রচুর পড়াশোনার অভ্যাস রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস থেকেই স্কুল জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারির একটি দেয়াল পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে লেখালেখিতে হাতেখড়ি।
উঁনার সম্পর্কে জানতে গিয়ে আরও জানা গেছে-
ড. ইমদাদুল হক তালুকদার উন্নয়ন মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল “বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ”। তিনি ফিনল্যান্ডের Åbo Academi University থেকে এই ডিগ্রি লাভ করেন।  উঁনার থিথিস মূলক গ্রন্থ ইংরেজী ভাষায় ফিলল্যান্ডের অ্যাবো একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কর্মজীবনে
ড. ইমদাদুল হক তালুকদার বিভিন্ন সরকারি পদে কাজ করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), কেন্দুয়া, নেত্রকোণা। সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব।অন্যান্য আরও সামাজিক কর্মকান্ডেও সময় দিয়েছেন।
পিএইডি চলাকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসে ২০১৬ সালে International Society for Research on Agression (ISRA) এর আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে সারা পৃথিবীর সেরা ১০ জন যুব গবেষকদের একজন হিসেবে Young Investigator 2016 পদক পেয়েছিলেন তিনি। তিনি এখন ISRA র একজন আন্তর্জাতিক ফেলো সদস্য।
বহু প্রতিভার অধিকারী ড.ইমদাদুল হক তালুকদার। কালক্রমে শৈশব কৈশোর পেরিয়ে মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক গন্ডী পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে। উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য পাড়ি জমান বিদেশের মাটিতে। ফিনল্যান্ডের অ্যাবো একাডেমী তে বিজ্ঞান উন্ননয়ন মূলক মনোবিজ্ঞান, শান্তি,মধ্যস্থতা দ্বন্দ্ব গবেষণা সহ সাংগঠনিক,মনোবিজ্ঞান, লিঙ্গ এবং রাজনীতি,সাইকেমেস্টি এবং স্বাস্থ্যনীতি ও অর্থায়ন নিয়ে করেছেন বিস্তর গবেষনা। সম্প্রতি তিনি এক গবেষনায় জাপানের আমন্ত্রণে গিয়ে জাপান সফর শেষ করে নিজ কর্মস্থল কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্বে মনোনিবেশন করেছেন এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেননা তিনি একাধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা প্রশাসক,পৌর প্রশাসক হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলার সামগ্রিক বিষয় দূরদর্শিতা,বিচক্ষণতার সাথে খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
বহু প্রতিভার অধিকারী ড.ইমদাদুল হক তালুকদার বাস্তব জীবনে ভাবাগের চেয়ে নীতিবোধটাকেই বড় করে দেখেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেন্দুয়ার ইউএনও ড.ইমদাদুল হক তালুকদারের জীবন কথা

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েল,কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ
ড. ইমদাদুল হক তালুকদার একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা, যিনি বর্তমানে কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত। তিনি ৩৫তম বিসিএস ব্যাচের একজন কর্মকর্তা, এবং এর আগে তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। তিনি উন্নয়ন মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রিধারী। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক তালুকদার । তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর সদরের মোহনপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ৪ আগস্ট ১৯৮৭ ইং ( অফিসিয়ালি: ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৮ইং)
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ শামছুল হক তালুকদার বাশচড়া এসবিজি মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ বছর প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ইমদাদুল হক তালুকদারের মাতা মাহফুজা খাতুন মোহনপুর খুপিবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন । ইমদাদুল হক তালুকদারের প্রাথমিক শিক্ষার হাতে খড়ি হয় নিজ মা যে বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ছিলেন সে বিদ্যাপীঠে। মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন বাশচড়া এসবিজও মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন ঢাকা স্টেট কলেজে পরবর্তীতে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে বিএসসি (সাইকোলজি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমএসএস ও পিএইচডি, ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজি, Abo Akademi University, Finland, এমএসসি ইন মেডিক্যাল সায়েন্স (মেজর ইন হেলথ ইকনমিক্স, পলিসি এন্ড ম্যানেজমেন্ট, Karolinska Instirute, Sweden.সম্পন্ন করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি স্বোপার্জিতা হক তালুকদার অধরা নামে এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি শৈশব কৈশোর থেকেই বহু গুনের অধিকারী। শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের পাশাপাশি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন বহু। এছাড়াও তিনি নিজেকে সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রেখেছেন সময়। মানবিক গুনাবলীর বহিঃ প্রকাশ ঘটিয়েছেন বিভিন্ন কর্মকান্ডে।
তন্মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি ও এফএইচ হল ডিবেটিং সোসাইটিতে বিতার্কিক হিসেবে অংশগ্রহণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচীর আওতায় রক্তদান ও ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ, ইউএসএইডের অর্থায়নে ফিল্ম ফর ফ্রিডম প্রকল্পের আওতায় শর্ট ফিল্ম মেকার হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে জনসচেতনতা ও জননান্দনিকতা সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করেছেন। ছাত্র জীবন থেকে কর্মজীবন, সংসার জীবন সর্ব জায়গাতেই তিনি অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও উঁনার রয়েছে বহুমাত্রিক প্রতিভা। রয়েছে বিচিত্র অভিজ্ঞতা। তিনি দীর্ঘদিন কালের কন্ঠের ফিচার বিভাগের নিয়মিত লেখালেখি করেছেন, আমাদের সময়ের বিনোদন বিভাগে ফিচার লেখক হিসেবে কাজ করেছেন, জাতীয় রম্য টেবলয়েড “বিচ্ছু” ও “ঘোড়ার ডিম” এর এক সময়কার নিয়মিত লেখক। এছাড়াও, কালের খেয়া, গল্পকার সহ জাতীয় সাহিত্য অঙ্গণে ছোটগল্প, কবিতা প্রকাশ। এক সময় প্রায় নিয়মিত জতীয় দৈনিকে উপসম্পাদকীয় ও কলাম লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখনো সকল জাতীয় মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ততা ও সু সম্পর্ক রয়েছে। ড.ইমদাদুল হক তালুকদারের প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হল -পরানপোড়া ছাই (ঐতিহ্য প্রকাশনী, কবিতার বই), শাখের করাত (রম্য রচনা) এছাড়াঔ তিনি মরমী কবি সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ কে নিয়ে ভাব তরঙ্গ নামে একটি পুস্তক সম্পাদনা করেছেন। তিনি যেমন লেখালেখিতে স্বিদ্ধ হস্ত তেমনি কন্ঠ সংগীতেও পারদর্শী। তাঁর সুরেলা কন্ঠের গান মানুষকে বিমোহিত করে। মুগ্ধ তাঁর গান শোনে শ্রোতারা এমন নজীর রয়েছে বহু। মঞ্চে টেলিভিশনেও উঁনার গান ব্যাপকভাবে সমাধৃত হয়েছে দর্শক শ্রোতার কাছে। উঁনার সংগীত ও লেখালেখির হাতে খড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান-নিজ আগ্রহে সংগীত শিক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তবে সংগীতের তাত্ত্বিক ও কারিগরী দিক নিয়ে প্রচুর পড়াশোনার অভ্যাস রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস থেকেই স্কুল জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারির একটি দেয়াল পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে লেখালেখিতে হাতেখড়ি।
উঁনার সম্পর্কে জানতে গিয়ে আরও জানা গেছে-
ড. ইমদাদুল হক তালুকদার উন্নয়ন মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল “বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ”। তিনি ফিনল্যান্ডের Åbo Academi University থেকে এই ডিগ্রি লাভ করেন।  উঁনার থিথিস মূলক গ্রন্থ ইংরেজী ভাষায় ফিলল্যান্ডের অ্যাবো একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কর্মজীবনে
ড. ইমদাদুল হক তালুকদার বিভিন্ন সরকারি পদে কাজ করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), কেন্দুয়া, নেত্রকোণা। সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব।অন্যান্য আরও সামাজিক কর্মকান্ডেও সময় দিয়েছেন।
পিএইডি চলাকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসে ২০১৬ সালে International Society for Research on Agression (ISRA) এর আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে সারা পৃথিবীর সেরা ১০ জন যুব গবেষকদের একজন হিসেবে Young Investigator 2016 পদক পেয়েছিলেন তিনি। তিনি এখন ISRA র একজন আন্তর্জাতিক ফেলো সদস্য।
বহু প্রতিভার অধিকারী ড.ইমদাদুল হক তালুকদার। কালক্রমে শৈশব কৈশোর পেরিয়ে মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক গন্ডী পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে। উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য পাড়ি জমান বিদেশের মাটিতে। ফিনল্যান্ডের অ্যাবো একাডেমী তে বিজ্ঞান উন্ননয়ন মূলক মনোবিজ্ঞান, শান্তি,মধ্যস্থতা দ্বন্দ্ব গবেষণা সহ সাংগঠনিক,মনোবিজ্ঞান, লিঙ্গ এবং রাজনীতি,সাইকেমেস্টি এবং স্বাস্থ্যনীতি ও অর্থায়ন নিয়ে করেছেন বিস্তর গবেষনা। সম্প্রতি তিনি এক গবেষনায় জাপানের আমন্ত্রণে গিয়ে জাপান সফর শেষ করে নিজ কর্মস্থল কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্বে মনোনিবেশন করেছেন এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেননা তিনি একাধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা প্রশাসক,পৌর প্রশাসক হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলার সামগ্রিক বিষয় দূরদর্শিতা,বিচক্ষণতার সাথে খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
বহু প্রতিভার অধিকারী ড.ইমদাদুল হক তালুকদার বাস্তব জীবনে ভাবাগের চেয়ে নীতিবোধটাকেই বড় করে দেখেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি।