ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

কেন্দুয়ার জল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 132
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার জল্লী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে চরম অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের গভার্নিং বডির সভাপতি পদে থেকে তার পুত্র, বোন এবং চাচাতো ভাইকে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে নাটকীয়তার আশ্রয় নেয়া হয়। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিন পদত্যাগের নাটক সাজিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৩ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির একটি সভায় পদটি শূন্য দেখানো হয়। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ তারিখে মোহাম্মদ আব্দুল হককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, উক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভায় সভাপতির বাইরে অন্য সকলের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছিল।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিবুর রহমান বাচ্ছু, যিনি প্রধান শিক্ষকের আপন চাচাতো ভাই, তার ক্ষেত্রেও নিয়োগ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে স্বাক্ষর করেন, অথচ তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখে। ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে অবস্থান করলেও তিনি ছয় বছর পর স্বপদে বহাল হন।

অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষকের সহোদর ভাই আবুল খায়ের, যিনি বি.কম পাস, তাকে জনবল কাঠামোর পরিপন্থীভাবে ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন দাতা সদস্য নূর মোহাম্মদ স্বপন জানান, “নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি।”

এমন অনিয়মের ঘটনায় বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরাও শিক্ষার পরিবেশ এবং বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

জল্লী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেন্দুয়ার জল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

 

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার জল্লী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে চরম অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের গভার্নিং বডির সভাপতি পদে থেকে তার পুত্র, বোন এবং চাচাতো ভাইকে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে নাটকীয়তার আশ্রয় নেয়া হয়। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিন পদত্যাগের নাটক সাজিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৩ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির একটি সভায় পদটি শূন্য দেখানো হয়। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ তারিখে মোহাম্মদ আব্দুল হককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, উক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভায় সভাপতির বাইরে অন্য সকলের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছিল।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিবুর রহমান বাচ্ছু, যিনি প্রধান শিক্ষকের আপন চাচাতো ভাই, তার ক্ষেত্রেও নিয়োগ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে স্বাক্ষর করেন, অথচ তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখে। ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে অবস্থান করলেও তিনি ছয় বছর পর স্বপদে বহাল হন।

অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষকের সহোদর ভাই আবুল খায়ের, যিনি বি.কম পাস, তাকে জনবল কাঠামোর পরিপন্থীভাবে ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন দাতা সদস্য নূর মোহাম্মদ স্বপন জানান, “নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি।”

এমন অনিয়মের ঘটনায় বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরাও শিক্ষার পরিবেশ এবং বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

জল্লী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা জরুরি।