কেন্দুয়ার জালাল মঞ্চ একটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদন চর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হবে-ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার
- আপডেট সময় : ০৩:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / 304
কেন্দুয়ার জালাল মঞ্চ একটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদন চর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হবে-ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার
মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েল:নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার প্রয়াত মরমী বাউল কবি একুশে পদকপ্রাপ্ত জালাল উদ্দীন খাঁ এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গত ১৪ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ‘জালাল মঞ্চ’ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
এ মঞ্চ নির্মাণের পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করেছেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার। পরিকল্পনাকারী হিসেবে জালাল মঞ্চ নির্মিত হওয়ার পর তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন-এক কথায় অসাধারণ।
কেন্দুয়া পৌরসভার এডিপি খাত হতে ইজিপি অনলাইন টেন্ডারের মাধ্যমে ষোল লক্ষ আটত্রিশ হাজার ছয়শত এগারো টাকা পয়তাল্লিশ পয়সা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এ জালাল মঞ্চ।
কেন্দুয়া পৌর নাগরিকবৃন্দ ও জালাল প্রেমিদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ মঞ্চ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার মঞ্চ নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন-লোকসংস্কৃতির রাজধানী কেন্দুয়ার সকল শিল্পীরা এই মঞ্চে তাদের চর্চা করার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে পৌছে দেবে কেন্দুয়ার লোকসংস্কৃতিকে। এছাড়াও এটিকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদন চর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হবে।
এছাড়াও তিনি জানান- জালাল মঞ্চের নকশা প্রণয়নকারী বা স্থাপত্য শিল্পী হলেন রবিউল ইসলাম রুদ্র। কেন্দুয়ার লোক সংস্কৃতির সমৃদ্ধতায় মুগ্ধ হয়ে তিনি এ কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য-নব নির্মিত সদ্য উদ্বোধনকৃত জালাল মঞ্চের পেছনের বিশাল দেয়াল পুরোটাই আর সি সি এবং কার্ভ হওয়াতে আলাদা ফর্মা বানিয়ে কাজ করানো হয়েছে। মুর্যাল করা হয়েছে ঢাকায় চারুকলার বিশেষজ্ঞ দিয়ে। মাঝের বাঁকা দেয়াল করা হয়েছে দামি মার্ভেল পাথর দিয়ে।
‘জালাল মঞ্চ’ উদ্বোধন শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক, নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি ও জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম, সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক কবি তানভীর জাহান চৌধুরী, বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি, অন্ধ বাউল শিল্পী সুনীল কর্মকার, বাউল শিল্পী সালাম সরকার প্রমুখ।
লৌকিক ঐতিহ্যের অবিস্মরণীয় এক নাম জালাল উদ্দিন খাঁ। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আসদহাটি গ্রামে ১৮৯৪ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সদরুদ্দীন খাঁ। বিংশ শতাব্দীর বিশ থেকে ষাটের দশক অবধি প্রাকৃত বাঙালিজনের এই গীতিকবি তার সাধনায় সক্রিয় ছিলেন। আত্মতত্ত্ব, পরমতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব, লোকতত্ত্ব, দেশতত্ত্ব ও বিরহতত্ত্বের জালাল উদ্দিন প্রায় সহস্রাধিক গান রচনা করেছিলেন।





















