ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’ উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন সি আর আবরার

কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে গেইট নির্মাণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 74
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দুয়া( নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের দক্ষিন প্বার্শের বাউন্ডারী ওয়াল সংলগ্ন একটি গেইট নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জানা গেছে,সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী কোভিড-১৯ এর সময়ে বন্ধ করা গেইটটি খুলে দেওয়ার আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি ইস্যু করা হয়। ফলে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে পকেট গেইট নির্মাণ করে দেওয়া হয় । জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্দেশনা মোতাবেক পকেট গেইটটি খুলে দেওয়া হয়। পকেট গেইটটি খুলে দেওয়ার দুইদিন পর একই স্থানে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে রিক্সা,মাইক্রোবাস,গাড়ি,ফায়ার সার্ভিস, এম্বুলেন্স প্রবেশের উপযোগী করে একই স্থানে একটি বড় গেইট নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়। এছাড়াও জানা গেছে বর্তমানে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরের মূল ফটক ছাড়াও দুইটি বড় গেইট,দুইটি পকেট গেইট,একটি ইনডোর স্টেডিয়াম ও ইনডোর স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ বাউন্ডারি ওয়াল ভেংগে রাস্তা নির্মাণের আবেদন রয়েছে।
বর্তমান পরিষদ সূত্র হতে জানানো হয়েছে , স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন ছাড়া গেইট করা যায়না। যে ব্যাক্তিরা পকেট গেইটের আবেদন করল, একই ব্যাক্তিরা আবার বড় গেইটের আবেদন করাটা রসহ্যজনক এবং আমাদের আইন পরিপন্থি ও পরিষদের সকল সদস্য এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। পরিষদের সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন ব্যাতীত গেইট করা যায়না। ওদিক দিয়ে এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস যাবার রাস্তা নেই। ভেতরে সব সরু রাস্তা। আরও অনেক গেইট আর ইনডোর স্টেডিয়ানের জন্যও আবেদন রয়েছে। ওদিক দিয়ে গেইট দিতে হলে বাকিদেরও গেইট দিতে হবে যা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ অনুমোদন দেবেনা। পুরো বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের মতামত চেয়ে চিঠি লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় কাজ করে প্রশাসন। পরিষদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের আগেই চতুর্পাশে বেশকটি গেট ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার সার্থে সেগুলো বন্ধ করা হয়। এখন লিখিত দাবি ও কমিশনার কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশনায় পকেট গেইট পুন:নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বড় ও ছোট গেইট স্থাপনে একাধিক আবেদন পরেছে। পক্ষে বিপক্ষে মতামত রয়েছে। যাচাই বাছাই করে উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পদক্ষেপ গ্রহণে মতামত দিয়েছে উপজেলা কৃষি ও সমবায় কর্মকর্তা সহ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
এছাড়াও জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারে বসবাসরত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জানান,উপজেলা পরিষদের ভিতরে আবাসিক কোয়ার্টারে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটে। তাই উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নতুন গেইট নির্মাণ না করা এবং পূর্বের গেইট নির্ধারিত সময়ে তালাবন্ধ করে দেওয়ার আবেদন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে গেইট নির্মাণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৬:০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

কেন্দুয়া( নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের দক্ষিন প্বার্শের বাউন্ডারী ওয়াল সংলগ্ন একটি গেইট নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জানা গেছে,সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী কোভিড-১৯ এর সময়ে বন্ধ করা গেইটটি খুলে দেওয়ার আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি ইস্যু করা হয়। ফলে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে পকেট গেইট নির্মাণ করে দেওয়া হয় । জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্দেশনা মোতাবেক পকেট গেইটটি খুলে দেওয়া হয়। পকেট গেইটটি খুলে দেওয়ার দুইদিন পর একই স্থানে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে রিক্সা,মাইক্রোবাস,গাড়ি,ফায়ার সার্ভিস, এম্বুলেন্স প্রবেশের উপযোগী করে একই স্থানে একটি বড় গেইট নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়। এছাড়াও জানা গেছে বর্তমানে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরের মূল ফটক ছাড়াও দুইটি বড় গেইট,দুইটি পকেট গেইট,একটি ইনডোর স্টেডিয়াম ও ইনডোর স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ বাউন্ডারি ওয়াল ভেংগে রাস্তা নির্মাণের আবেদন রয়েছে।
বর্তমান পরিষদ সূত্র হতে জানানো হয়েছে , স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন ছাড়া গেইট করা যায়না। যে ব্যাক্তিরা পকেট গেইটের আবেদন করল, একই ব্যাক্তিরা আবার বড় গেইটের আবেদন করাটা রসহ্যজনক এবং আমাদের আইন পরিপন্থি ও পরিষদের সকল সদস্য এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। পরিষদের সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন ব্যাতীত গেইট করা যায়না। ওদিক দিয়ে এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস যাবার রাস্তা নেই। ভেতরে সব সরু রাস্তা। আরও অনেক গেইট আর ইনডোর স্টেডিয়ানের জন্যও আবেদন রয়েছে। ওদিক দিয়ে গেইট দিতে হলে বাকিদেরও গেইট দিতে হবে যা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ অনুমোদন দেবেনা। পুরো বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের মতামত চেয়ে চিঠি লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় কাজ করে প্রশাসন। পরিষদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের আগেই চতুর্পাশে বেশকটি গেট ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার সার্থে সেগুলো বন্ধ করা হয়। এখন লিখিত দাবি ও কমিশনার কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশনায় পকেট গেইট পুন:নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বড় ও ছোট গেইট স্থাপনে একাধিক আবেদন পরেছে। পক্ষে বিপক্ষে মতামত রয়েছে। যাচাই বাছাই করে উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পদক্ষেপ গ্রহণে মতামত দিয়েছে উপজেলা কৃষি ও সমবায় কর্মকর্তা সহ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
এছাড়াও জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারে বসবাসরত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জানান,উপজেলা পরিষদের ভিতরে আবাসিক কোয়ার্টারে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটে। তাই উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নতুন গেইট নির্মাণ না করা এবং পূর্বের গেইট নির্ধারিত সময়ে তালাবন্ধ করে দেওয়ার আবেদন করেছেন।