ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য না দিয়ে বিতর্কে কেন্দুয়ার কৃষি কর্মকর্তা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 53
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার খুঁটির জোর কোথায়? গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্যদিতে গড়িমসি

কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের একাধিক অনুরোধের পরেও তিনি তার অফিসের বিল সাবমিশন সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান করতে গড়িমসি করছেন।
গত দুই দিন ধরে গন মাধ্যম কর্মীরা এই বিতর্কিত বিলের পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি অফিসের এক অনুপস্থিত স্টাফের দোহাই দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ফলে কৃষি কর্মকর্তার সাবমিট করা বিল সমুহে দূর্নীতির সন্দেহ দানা বাধছে এবং
জনমনে সন্ধেহের মাত্রা দিন দিন বেরেই চলেছে। তার অফিস গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে তার আচরণ শোভনীয় ছিলো না এবং সঠিক তথ্য না দিয়ে ভীন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দেন, এমন কি কৃষি অফিসের নিন্ম শ্রেণির অন্যান্য স্টাফ গন গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। কৃষি কর্মকর্তা একসময় সাব ইন্সপেক্টর সহ অন্যান্য পেশায় কাজ করেছেন বলে দাম্ভিকতার সাথে বলেন তিনি কাউকে কেয়ার করেন না।
পর পর তিনদিন বিল সংক্রান্ত তথ্য চাইলে আজ অবধি গন মাধ্যম কর্মীদের তিনি বিল সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন নি। তিনি কথায় কথায় হাই কোর্ট দেখান। যা সুশীল সমাজে কখনই কাম্য নয়।

সূত্র অনুযায়ী, কেন্দুয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল ছাড় করতে ৫% কমিশন দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার।
তিনি আরো জানান, এর আগে কোনো অফিসে তিনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। তার কথায়, “আমার আগে যারা এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হয়তো ৫% কমিশন দিয়ে বিল পাশ করিয়েছেন, তাই তাদের বিল আটকায়নি।আমি সেই অর্থ দিতে অস্বীকার করায় আমার বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। তার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আয়কর ব্যাতিত বাড়তি কোন ধরনের ঘুষ বা অতিরিক্ত পার্সেন্টেজ দাবীর কথা তার জানা নেই।

এই পরিস্থিতিতে তিনি আরো জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর একটি ফোন আসার পরই তার বিল আংশিকভাবে ছাড় করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারায় সন্দেহ বাড়ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দুয়া উপজেলার সাধারণ জনগণ ও কৃষকরা সরকারি সেবা পেতে যেন কোনোরকম দুর্নীতির শিকার না হন, সেজন্য বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই ঘটনা আমাদের দেশের স্থানীয় প্রশাসনিক কাজকর্মে স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং দায়িত্বশীলদের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে আসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য না দিয়ে বিতর্কে কেন্দুয়ার কৃষি কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ১১:১৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার খুঁটির জোর কোথায়? গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্যদিতে গড়িমসি

কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের একাধিক অনুরোধের পরেও তিনি তার অফিসের বিল সাবমিশন সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান করতে গড়িমসি করছেন।
গত দুই দিন ধরে গন মাধ্যম কর্মীরা এই বিতর্কিত বিলের পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি অফিসের এক অনুপস্থিত স্টাফের দোহাই দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ফলে কৃষি কর্মকর্তার সাবমিট করা বিল সমুহে দূর্নীতির সন্দেহ দানা বাধছে এবং
জনমনে সন্ধেহের মাত্রা দিন দিন বেরেই চলেছে। তার অফিস গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে তার আচরণ শোভনীয় ছিলো না এবং সঠিক তথ্য না দিয়ে ভীন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দেন, এমন কি কৃষি অফিসের নিন্ম শ্রেণির অন্যান্য স্টাফ গন গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। কৃষি কর্মকর্তা একসময় সাব ইন্সপেক্টর সহ অন্যান্য পেশায় কাজ করেছেন বলে দাম্ভিকতার সাথে বলেন তিনি কাউকে কেয়ার করেন না।
পর পর তিনদিন বিল সংক্রান্ত তথ্য চাইলে আজ অবধি গন মাধ্যম কর্মীদের তিনি বিল সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন নি। তিনি কথায় কথায় হাই কোর্ট দেখান। যা সুশীল সমাজে কখনই কাম্য নয়।

সূত্র অনুযায়ী, কেন্দুয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল ছাড় করতে ৫% কমিশন দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার।
তিনি আরো জানান, এর আগে কোনো অফিসে তিনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। তার কথায়, “আমার আগে যারা এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হয়তো ৫% কমিশন দিয়ে বিল পাশ করিয়েছেন, তাই তাদের বিল আটকায়নি।আমি সেই অর্থ দিতে অস্বীকার করায় আমার বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। তার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আয়কর ব্যাতিত বাড়তি কোন ধরনের ঘুষ বা অতিরিক্ত পার্সেন্টেজ দাবীর কথা তার জানা নেই।

এই পরিস্থিতিতে তিনি আরো জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর একটি ফোন আসার পরই তার বিল আংশিকভাবে ছাড় করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারায় সন্দেহ বাড়ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দুয়া উপজেলার সাধারণ জনগণ ও কৃষকরা সরকারি সেবা পেতে যেন কোনোরকম দুর্নীতির শিকার না হন, সেজন্য বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই ঘটনা আমাদের দেশের স্থানীয় প্রশাসনিক কাজকর্মে স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং দায়িত্বশীলদের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে আসে।