গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য না দিয়ে বিতর্কে কেন্দুয়ার কৃষি কর্মকর্তা
- আপডেট সময় : ১১:১৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 53
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার খুঁটির জোর কোথায়? গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্যদিতে গড়িমসি
কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের একাধিক অনুরোধের পরেও তিনি তার অফিসের বিল সাবমিশন সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান করতে গড়িমসি করছেন।
গত দুই দিন ধরে গন মাধ্যম কর্মীরা এই বিতর্কিত বিলের পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি অফিসের এক অনুপস্থিত স্টাফের দোহাই দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ফলে কৃষি কর্মকর্তার সাবমিট করা বিল সমুহে দূর্নীতির সন্দেহ দানা বাধছে এবং
জনমনে সন্ধেহের মাত্রা দিন দিন বেরেই চলেছে। তার অফিস গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে তার আচরণ শোভনীয় ছিলো না এবং সঠিক তথ্য না দিয়ে ভীন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দেন, এমন কি কৃষি অফিসের নিন্ম শ্রেণির অন্যান্য স্টাফ গন গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। কৃষি কর্মকর্তা একসময় সাব ইন্সপেক্টর সহ অন্যান্য পেশায় কাজ করেছেন বলে দাম্ভিকতার সাথে বলেন তিনি কাউকে কেয়ার করেন না।
পর পর তিনদিন বিল সংক্রান্ত তথ্য চাইলে আজ অবধি গন মাধ্যম কর্মীদের তিনি বিল সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন নি। তিনি কথায় কথায় হাই কোর্ট দেখান। যা সুশীল সমাজে কখনই কাম্য নয়।
সূত্র অনুযায়ী, কেন্দুয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল ছাড় করতে ৫% কমিশন দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার।
তিনি আরো জানান, এর আগে কোনো অফিসে তিনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। তার কথায়, “আমার আগে যারা এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হয়তো ৫% কমিশন দিয়ে বিল পাশ করিয়েছেন, তাই তাদের বিল আটকায়নি।আমি সেই অর্থ দিতে অস্বীকার করায় আমার বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। তার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আয়কর ব্যাতিত বাড়তি কোন ধরনের ঘুষ বা অতিরিক্ত পার্সেন্টেজ দাবীর কথা তার জানা নেই।
এই পরিস্থিতিতে তিনি আরো জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর একটি ফোন আসার পরই তার বিল আংশিকভাবে ছাড় করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারায় সন্দেহ বাড়ছে।
উল্লেখ্য, কেন্দুয়া উপজেলার সাধারণ জনগণ ও কৃষকরা সরকারি সেবা পেতে যেন কোনোরকম দুর্নীতির শিকার না হন, সেজন্য বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ঘটনা আমাদের দেশের স্থানীয় প্রশাসনিক কাজকর্মে স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং দায়িত্বশীলদের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে আসে।