ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা! শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ঘোষণা আসছে? টিউলিপকে দেশে ফেরত চান ড. ইউনূস? যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র হাসিনা যেভাবে সৌদিকে দমিয়ে রাখতো

“চাকুরী, বেতন বৃদ্ধি, ডোপামিন এবং এন্ডোরফিন”

ফাহিম শাহরিয়ার
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • / 77
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রথমেই একটা Myth Busting, ডোপামিনের সাথে খুশি থাকার সম্পর্ক নেই। এই খুশি থাকাটা আসলে হয় Endorphins এর কারণে। ডোপামিনের কারণে একচুয়ালি পুরষ্কার জেতার অনুভূতি তৈরি হয়। কোনো কাজ করার আগে আপনি জানবেন যে এই কাজটা করলে আপনার ভালো একটা অনুভূতি তৈরি হবে। আর সেই অনুভূতিটা পাওয়ার জন্যই আপনি সেই কাজটা করবেন । আর আপনি যখন সেই কাজটা করবেন, তখন আপনার ব্রেইন থেকে ডোপামিন রিলিজ হবে । কারণ আপনার ব্রেইন তখন সেই ভালো অনুভূতিটাই চায় । এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । কেউ প্রথমবার ড্রাগস নিলে তার ব্রেইন থেকেও ডোপামিন রিলিজ হবে, যেটা সাময়িক সময়ের জন্য তাকে ভালো লাগার অনুভূতি দিবে।

ব্যাপারটা চাকুরীর ক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রফেশনাল লাইফেও হয়।ধরুন আপনি ৫০ কিংবা ৬০ হাজার টাকা সেলারিতে একটি দেশীয় কিংবা বহুজাতিক কোম্পানিতে জয়েন করলেন। প্রথম মাসে আপনি সেলারিটা নিলেন । স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার ব্রেইন থেকে ডোপামিন রিলিজ হবে, যেটা সাময়িক সময়ের জন্য আপনাকে ভালো লাগার অনুভূতি দিবে। দ্বিতীয় মাসেও নিলেন, তৃতীয় মাসেও নিলেন।এভাবে আপনি ধরুন এক টানা এক বছর এই টাকাটা নিলেন। এখন খেয়াল করুন, প্রথম মাসে সেলারি নেয়ার আগে আপনার যতটা ভালো লাগবে , এক বছর পরে ওই একই সেলারিটা নেয়ার আগে আপনার ঠিক ততোটা ভালো লাগবে না। আপনার মন ভরবে না। কেন? কারণ আপনার ব্রেইন জেনে যাবে এটা সে প্রতিমাসেই পাবে, তাই তার কাছে আর সেটা ততোটা এক্সাইটিং থাকবে না । বুঝতে পারছেন বিষয়টা কোথায় আসছে ? আগে যে পরিমাণ টাকা সেলারি পেলে আপনার এত ভালো লাগতো, সেটা এখন আর আপনার ভালো লাগছে না। অর্থাৎ আপনি আবার সেই আগের স্টেজে চলে গেছেন, যেখানে সেলারি পাওয়ার আগে আর ডোপামিন রিলিজ হচ্ছে না। কিন্তু আপনার তো ভালো লাগার অনুভূতি দরকার, তাই না ? এটার জন্য আপনি তখন বেতন বৃদ্ধি চাইবেন। আরও ৫ কিংবা ১০ হাজার টাকা বেশি পেলে তখন আপনার আবার আগের মতো ভালো লাগবে। অর্থাৎ আপনার একই পরিমাণ ডোপামিন রিলিজ করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। এটাকে সাইকোলজিতে বলা হয় Hedonic Treadmill।

এখন আমরা বুঝতে চেষ্টা করবো বেতন বৃদ্ধির বাসনা ত্যাগ করা কতোটা কঠিন? কারণ এইটা ছাড়তে হলে অনেকটা বছর সময় দিতে হয় । কিন্তু আপনার ব্রেইন তো চায় ইন্সট্যান্ট পুরষ্কার। সে তাৎক্ষণিকভাবে ভালো লাগার অনুভূতি পেতে চায়। যখন কয়েক মাস পরেও দেখবে সে তার পুরষ্কার পাচ্ছে না, তখন সে তো ডোপামিন রিলিজ করবে না। আর সেটা রিলিজ না করলে আপনি ভালো লাগার অনুভূতি পাবেন না। কিন্তু আপনার তো অনুভূতিটা প্রয়োজন।

অনুভূতিটা কিভাবে পাবেন? ঠিক ধরেছেন , One & Only বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমেই তা সম্ভব।

আর যদি বেতন বৃদ্ধি কোন কারনে বন্ধ হয়ে যায় , তখন আপনার ভালো লাগার অনুভূতিটা থেমে যাবে। । কারণ ব্রেইন তখন জানে এরপরে আর কোনো পুরষ্কার নেই। এই স্টেটকে বলা হয় “Chronic Dopamine Deficiency State”। কারণ আপনি এখন বুঝতে পারছেন এটা আপনাকে আর ভালো লাগার অনুভূতি দিবেনা। আর ভালো লাগার অনুভূতি না থাকলে ভালো কিছু করার প্রেরনাও থাকে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

“চাকুরী, বেতন বৃদ্ধি, ডোপামিন এবং এন্ডোরফিন”

আপডেট সময় : ০৫:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

 

প্রথমেই একটা Myth Busting, ডোপামিনের সাথে খুশি থাকার সম্পর্ক নেই। এই খুশি থাকাটা আসলে হয় Endorphins এর কারণে। ডোপামিনের কারণে একচুয়ালি পুরষ্কার জেতার অনুভূতি তৈরি হয়। কোনো কাজ করার আগে আপনি জানবেন যে এই কাজটা করলে আপনার ভালো একটা অনুভূতি তৈরি হবে। আর সেই অনুভূতিটা পাওয়ার জন্যই আপনি সেই কাজটা করবেন । আর আপনি যখন সেই কাজটা করবেন, তখন আপনার ব্রেইন থেকে ডোপামিন রিলিজ হবে । কারণ আপনার ব্রেইন তখন সেই ভালো অনুভূতিটাই চায় । এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । কেউ প্রথমবার ড্রাগস নিলে তার ব্রেইন থেকেও ডোপামিন রিলিজ হবে, যেটা সাময়িক সময়ের জন্য তাকে ভালো লাগার অনুভূতি দিবে।

ব্যাপারটা চাকুরীর ক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রফেশনাল লাইফেও হয়।ধরুন আপনি ৫০ কিংবা ৬০ হাজার টাকা সেলারিতে একটি দেশীয় কিংবা বহুজাতিক কোম্পানিতে জয়েন করলেন। প্রথম মাসে আপনি সেলারিটা নিলেন । স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার ব্রেইন থেকে ডোপামিন রিলিজ হবে, যেটা সাময়িক সময়ের জন্য আপনাকে ভালো লাগার অনুভূতি দিবে। দ্বিতীয় মাসেও নিলেন, তৃতীয় মাসেও নিলেন।এভাবে আপনি ধরুন এক টানা এক বছর এই টাকাটা নিলেন। এখন খেয়াল করুন, প্রথম মাসে সেলারি নেয়ার আগে আপনার যতটা ভালো লাগবে , এক বছর পরে ওই একই সেলারিটা নেয়ার আগে আপনার ঠিক ততোটা ভালো লাগবে না। আপনার মন ভরবে না। কেন? কারণ আপনার ব্রেইন জেনে যাবে এটা সে প্রতিমাসেই পাবে, তাই তার কাছে আর সেটা ততোটা এক্সাইটিং থাকবে না । বুঝতে পারছেন বিষয়টা কোথায় আসছে ? আগে যে পরিমাণ টাকা সেলারি পেলে আপনার এত ভালো লাগতো, সেটা এখন আর আপনার ভালো লাগছে না। অর্থাৎ আপনি আবার সেই আগের স্টেজে চলে গেছেন, যেখানে সেলারি পাওয়ার আগে আর ডোপামিন রিলিজ হচ্ছে না। কিন্তু আপনার তো ভালো লাগার অনুভূতি দরকার, তাই না ? এটার জন্য আপনি তখন বেতন বৃদ্ধি চাইবেন। আরও ৫ কিংবা ১০ হাজার টাকা বেশি পেলে তখন আপনার আবার আগের মতো ভালো লাগবে। অর্থাৎ আপনার একই পরিমাণ ডোপামিন রিলিজ করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। এটাকে সাইকোলজিতে বলা হয় Hedonic Treadmill।

এখন আমরা বুঝতে চেষ্টা করবো বেতন বৃদ্ধির বাসনা ত্যাগ করা কতোটা কঠিন? কারণ এইটা ছাড়তে হলে অনেকটা বছর সময় দিতে হয় । কিন্তু আপনার ব্রেইন তো চায় ইন্সট্যান্ট পুরষ্কার। সে তাৎক্ষণিকভাবে ভালো লাগার অনুভূতি পেতে চায়। যখন কয়েক মাস পরেও দেখবে সে তার পুরষ্কার পাচ্ছে না, তখন সে তো ডোপামিন রিলিজ করবে না। আর সেটা রিলিজ না করলে আপনি ভালো লাগার অনুভূতি পাবেন না। কিন্তু আপনার তো অনুভূতিটা প্রয়োজন।

অনুভূতিটা কিভাবে পাবেন? ঠিক ধরেছেন , One & Only বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমেই তা সম্ভব।

আর যদি বেতন বৃদ্ধি কোন কারনে বন্ধ হয়ে যায় , তখন আপনার ভালো লাগার অনুভূতিটা থেমে যাবে। । কারণ ব্রেইন তখন জানে এরপরে আর কোনো পুরষ্কার নেই। এই স্টেটকে বলা হয় “Chronic Dopamine Deficiency State”। কারণ আপনি এখন বুঝতে পারছেন এটা আপনাকে আর ভালো লাগার অনুভূতি দিবেনা। আর ভালো লাগার অনুভূতি না থাকলে ভালো কিছু করার প্রেরনাও থাকে না।