ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব

জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব যে কারণে উঠেছিল একাধিকবার

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 128
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উঠেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর স্বৈরাচার সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের প্রস্তাব করে, যার মধ্যে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বিষয়টিও উঠে আসে।

বুধবার, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী সংবিধানের সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানালে, এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর, খন্দকার মোশতাক আহমেদের সরকার কর্তৃক। তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাদ দিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ অথবা ফররুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরী’ কবিতার কোনো একটি গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে প্রস্তাব করতে বলেন। তবে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ প্রস্তাব কার্যকর হয়নি।

এরপর ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবর্তন করে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটিকে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের একটি গোপন চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে ভারতের নাগরিক হিসেবে দেখিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হলে, এ উদ্যোগও থেমে যায়।

২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের তৃতীয় দফার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০২ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের সুপারিশপত্র জমা দেন। তবে, এ প্রস্তাবও কার্যকর হয়নি।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশেও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় নয়। বিভিন্ন সময়ে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অন্য দেশগুলোও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করেছে, যেমন নেপাল, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক এবং আফগানিস্তান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব যে কারণে উঠেছিল একাধিকবার

আপডেট সময় : ০৩:৪১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উঠেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর স্বৈরাচার সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের প্রস্তাব করে, যার মধ্যে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বিষয়টিও উঠে আসে।

বুধবার, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী সংবিধানের সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানালে, এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর, খন্দকার মোশতাক আহমেদের সরকার কর্তৃক। তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাদ দিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ অথবা ফররুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরী’ কবিতার কোনো একটি গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে প্রস্তাব করতে বলেন। তবে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ প্রস্তাব কার্যকর হয়নি।

এরপর ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবর্তন করে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটিকে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের একটি গোপন চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে ভারতের নাগরিক হিসেবে দেখিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হলে, এ উদ্যোগও থেমে যায়।

২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের তৃতীয় দফার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০২ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের সুপারিশপত্র জমা দেন। তবে, এ প্রস্তাবও কার্যকর হয়নি।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশেও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় নয়। বিভিন্ন সময়ে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অন্য দেশগুলোও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করেছে, যেমন নেপাল, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক এবং আফগানিস্তান।