ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

জীবন সংগ্রামে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা ইউসুফ খান পাঠান

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 71
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের জীবন সংগ্রামে একজন ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা মোঃ আবু ইউসুফ খান পাঠান।
ইউসুফ খান ১৯৮৭ সালের ২ জানুয়ারী বাট্টা মধ্যপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তা্র পিতার নাম আব্দুস সোবহান খান এবং মাতার নাম গ্যানেদা আক্তার। ৩ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ইউসুফ। কেন্দুয়া আশরাফিয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। সেখান থেকে এইচ এস সি ও বি এ পাস করেন ইউসুফ খান।
ছাত্রজীবনে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়েই বড় ভাইদের সাথে ছাত্রদলের মিটিং মিছিলে অংশ গ্রহন করেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শকে ভালবেসে তৎকালীন সময়ের ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম শফিক,মাহবুব আলম খান জরিপ,মামুনুর রশীদ মামুন,মাজহারুল ইসলাম উজ্জ্বল,তারেক আহমেদ তুষার তাদের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রাণিত হয়ে পরিপূর্ণ ভাবে রাজনীতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতি যুক্ত হয়ে ২০০২ সালে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হন। ২০২১ সালে কেন্দুয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মনোনীত হয়ে অদ্যাবধি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
ইউসুফ খান একান্ত সাক্ষাতকারে জানান,রাজনীতিতে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২৮ টি মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছেন এবং ৮ বার কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন,দীর্ঘদিন হামলা মালা হয়রানী নির্যাতনসহ তার বৃদ্ধ পিতাকে সাথে নিয়ে একসাথে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হয়েছে। যা তার জীবনে সবচেয়ে বড় কষ্টের একটি স্বরণীয় ঘটনা। যা,তার হৃদয়ে আজও দাগ কেটে আছে।
এছাড়াও ইউসুফ খান আরও বলেন, মামলার আসামী হওয়াতে স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজনকে ছেড়ে দীর্ঘদিন ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়েছে। ফেরারী জীবনে আমার জীবনের মূল্যবান অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় পারিবারিক,সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে আমার চরম ক্ষতি সাধন হয়েছে।
দলের দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন মিটিং মিছিল করেছি। ফলে পুলিশী হয়রানীর কারণে বার বার আপনজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।
ইউসুফ খান আরও বলেন-২০০১ সালে তার বাবা আব্দুস সোবহান চিরাং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তার পিতা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতি তার রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
ত্যাগী ও নির্যাতীত নেতা মোঃ ইউসুফ খান পাঠান ২০০৮ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে সে দুই পুত্র সন্তানের জনক।
সাক্ষাতকারে বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে ইউসুফ খান আরও বলেন-যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আমার এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনমানুষের কল্যাণে আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই। এছাড়াও তিনি আরও বলেন,আমি মনে প্রাণে বিশ্নাস করি,”জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস” তাই জনগণের উপকার করে;তাদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আগামীদিনে সকলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই। পরিশেষে তিনি আগামীদিনে পথ চলায় সকলের আন্তরিক ভালবাসা ও সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জীবন সংগ্রামে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা ইউসুফ খান পাঠান

আপডেট সময় : ১১:১৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের জীবন সংগ্রামে একজন ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা মোঃ আবু ইউসুফ খান পাঠান।
ইউসুফ খান ১৯৮৭ সালের ২ জানুয়ারী বাট্টা মধ্যপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তা্র পিতার নাম আব্দুস সোবহান খান এবং মাতার নাম গ্যানেদা আক্তার। ৩ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ইউসুফ। কেন্দুয়া আশরাফিয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। সেখান থেকে এইচ এস সি ও বি এ পাস করেন ইউসুফ খান।
ছাত্রজীবনে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়েই বড় ভাইদের সাথে ছাত্রদলের মিটিং মিছিলে অংশ গ্রহন করেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শকে ভালবেসে তৎকালীন সময়ের ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম শফিক,মাহবুব আলম খান জরিপ,মামুনুর রশীদ মামুন,মাজহারুল ইসলাম উজ্জ্বল,তারেক আহমেদ তুষার তাদের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রাণিত হয়ে পরিপূর্ণ ভাবে রাজনীতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতি যুক্ত হয়ে ২০০২ সালে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হন। ২০২১ সালে কেন্দুয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মনোনীত হয়ে অদ্যাবধি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
ইউসুফ খান একান্ত সাক্ষাতকারে জানান,রাজনীতিতে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২৮ টি মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছেন এবং ৮ বার কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন,দীর্ঘদিন হামলা মালা হয়রানী নির্যাতনসহ তার বৃদ্ধ পিতাকে সাথে নিয়ে একসাথে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হয়েছে। যা তার জীবনে সবচেয়ে বড় কষ্টের একটি স্বরণীয় ঘটনা। যা,তার হৃদয়ে আজও দাগ কেটে আছে।
এছাড়াও ইউসুফ খান আরও বলেন, মামলার আসামী হওয়াতে স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজনকে ছেড়ে দীর্ঘদিন ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়েছে। ফেরারী জীবনে আমার জীবনের মূল্যবান অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় পারিবারিক,সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে আমার চরম ক্ষতি সাধন হয়েছে।
দলের দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন মিটিং মিছিল করেছি। ফলে পুলিশী হয়রানীর কারণে বার বার আপনজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।
ইউসুফ খান আরও বলেন-২০০১ সালে তার বাবা আব্দুস সোবহান চিরাং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তার পিতা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতি তার রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
ত্যাগী ও নির্যাতীত নেতা মোঃ ইউসুফ খান পাঠান ২০০৮ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে সে দুই পুত্র সন্তানের জনক।
সাক্ষাতকারে বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে ইউসুফ খান আরও বলেন-যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আমার এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনমানুষের কল্যাণে আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই। এছাড়াও তিনি আরও বলেন,আমি মনে প্রাণে বিশ্নাস করি,”জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস” তাই জনগণের উপকার করে;তাদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আগামীদিনে সকলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই। পরিশেষে তিনি আগামীদিনে পথ চলায় সকলের আন্তরিক ভালবাসা ও সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা কামনা করেছেন।