ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
রাজধানীর সব বাস চলবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে সবচেয়ে বড় মশকরা হচ্ছে ছাত্রদের সাথে: হাসনাত আবদুল্লাহ ‘মুজিব’ সিনেমায় তিশার অভিনয় নিয়ে সমালোচনা, মুখ খুললেন ফারুকী প্রবাসীরা বিমানবন্দরে অতিথির মতো সম্মান পাবেন: প্রধান উপদেষ্টা ‘গতি বাড়াতে’ উপদেষ্টা পরিষদের আকার বেড়েছে: রিজওয়ানা প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা লোভনীয়, না বলাটা মুশকিল: ফারুকী উপদেষ্টা সেখ বশির বাণিজ্যে, ফারুকী সংস্কৃতিতে, স্থানীয় সরকারে এলেন সজীব ভূঁইয়া শপথ নিতে ডাক পেয়েছেন ডা. সায়েদুর, সেখ বশির, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও মাহফুজ আলম শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করবে সরকার: আসিফ নজরুল উপদেষ্টা হচ্ছেন আরো ৫ জন, সন্ধ্যায় হতে পারে শপথ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি রাতেই জিরো পয়েন্ট দখলে নিল ছাত্র-জনতা ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ যে তিন ইস্যুতে বিতর্কের মুখে ছাত্ররা সওজের ২৬ সেতুতে ব্যয়ের বহুগুণ আয়, তবু টোল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হবে: আইন উপদেষ্টা সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দাদের আত্মীয়রাও যেতে পারছে না দ্বীপে মাফিয়া ছিলেন ঢাকার এমপিরা বাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন পথে হাটতে যাচ্ছে সরকার সেন্ট মার্টিন ডুবে গেলে স্থানীয়রা কী করবে: রিজওয়ানা

দিল্লির কেন এত গোপনীয়তা হাসিনাকে নিয়ে !

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়ে চরম নাটকীয় পরিস্থিতিতে ভারতে পদার্পণ করেন শেখ হাসিনা– এর পর প্রায় তিন মাস হতে চললো। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, শেখ হাসিনাকে আপাতত এ দেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে– শুধু এটুকু ‘কনফার্ম’ করা ছাড়া ভারত সরকার তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি।

মানে শেখ হাসিনাকে কোথায় বা কীভাবে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে আজ পর্যন্ত ভারত সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য নেই। তার ইমিগ্রেশন ‘স্ট্যাটাস’ বা কীসের ভিত্তিতে তিনি ভারতে আছেন, তা নিয়েও দিল্লি যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে।

গত তিন মাসে শেখ হাসিনাকে নিয়ে সব প্রশ্নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাঁধাধরা জবাব ছিল, ‘আপনারা জানেন খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে তাকে এ দেশে সাময়িকভাবে চলে আসতে হয়েছিল। তিনি এখনও সেভাবেই আছেন।’ শুধু একবার মুখপাত্র বলেছিলেন, তাকে ‘সুরক্ষার কারণে’ ভারতে চলে আসতে হয়।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তাকে বাংলাদেশের ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ বলেও একাধিকবার উল্লেখ করেছেন। যা থেকে স্পষ্ট, ভারতের চোখেও তিনি এখন আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ৬ আগস্ট বিকালে দেশের পার্লামেন্টে বলেছিলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে’ প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েই শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন।

কিন্তু তিনি যদি প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েও থাকেন, সেটা কীভাবে দিয়েছেন বা সেই প্রক্রিয়ার বৈধতা কতটা, তা নিয়েও ভারত সরকার তাদের অবস্থান একবারের জন্যও স্পষ্ট করেনি।

সোজা কথায়, শেখ হাসিনাকে ঘিরে পুরো বিষয়টাতেই ভারত সরকার চরম গোপনীয়তা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর প্রায় তিন মাস ধরে সেটা বজায় রাখতে সফলও হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো– এটা কেন করা হচ্ছে? কেন ভারতে তার উপস্থিতি নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করা হচ্ছে না?

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া, তা সে সাময়িকই হোক বা দীর্ঘকালীন, সেই সিদ্ধান্ত যে একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আজকের যুগে এরকম একজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিকে গোপনে আশ্রয় দেওয়া সম্ভবও নয়– ভারতে সেটা করতেও যায়নি। প্রথম সুযোগেই তাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই পুরো ইস্যুটাতে এক ধরনের ‘কঠিন নীরবতা’ বজায় রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দিল্লির কেন এত গোপনীয়তা হাসিনাকে নিয়ে !

আপডেট সময় : ১০:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

 

বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়ে চরম নাটকীয় পরিস্থিতিতে ভারতে পদার্পণ করেন শেখ হাসিনা– এর পর প্রায় তিন মাস হতে চললো। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, শেখ হাসিনাকে আপাতত এ দেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে– শুধু এটুকু ‘কনফার্ম’ করা ছাড়া ভারত সরকার তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি।

মানে শেখ হাসিনাকে কোথায় বা কীভাবে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে আজ পর্যন্ত ভারত সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য নেই। তার ইমিগ্রেশন ‘স্ট্যাটাস’ বা কীসের ভিত্তিতে তিনি ভারতে আছেন, তা নিয়েও দিল্লি যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে।

গত তিন মাসে শেখ হাসিনাকে নিয়ে সব প্রশ্নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাঁধাধরা জবাব ছিল, ‘আপনারা জানেন খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে তাকে এ দেশে সাময়িকভাবে চলে আসতে হয়েছিল। তিনি এখনও সেভাবেই আছেন।’ শুধু একবার মুখপাত্র বলেছিলেন, তাকে ‘সুরক্ষার কারণে’ ভারতে চলে আসতে হয়।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তাকে বাংলাদেশের ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ বলেও একাধিকবার উল্লেখ করেছেন। যা থেকে স্পষ্ট, ভারতের চোখেও তিনি এখন আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ৬ আগস্ট বিকালে দেশের পার্লামেন্টে বলেছিলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে’ প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েই শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন।

কিন্তু তিনি যদি প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েও থাকেন, সেটা কীভাবে দিয়েছেন বা সেই প্রক্রিয়ার বৈধতা কতটা, তা নিয়েও ভারত সরকার তাদের অবস্থান একবারের জন্যও স্পষ্ট করেনি।

সোজা কথায়, শেখ হাসিনাকে ঘিরে পুরো বিষয়টাতেই ভারত সরকার চরম গোপনীয়তা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর প্রায় তিন মাস ধরে সেটা বজায় রাখতে সফলও হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো– এটা কেন করা হচ্ছে? কেন ভারতে তার উপস্থিতি নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করা হচ্ছে না?

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া, তা সে সাময়িকই হোক বা দীর্ঘকালীন, সেই সিদ্ধান্ত যে একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আজকের যুগে এরকম একজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিকে গোপনে আশ্রয় দেওয়া সম্ভবও নয়– ভারতে সেটা করতেও যায়নি। প্রথম সুযোগেই তাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই পুরো ইস্যুটাতে এক ধরনের ‘কঠিন নীরবতা’ বজায় রাখা হয়েছে।