নজরুলের না পাওয়া ভালবাসা

- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
- / 138
কবি নজরুল বেগম ফজিলাতুন্নেসা জোহাকে এতই ভালবেসেছিলেন যে তাকে বিখ্যাত ❝সঞ্চিতা❞ কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করতে চেয়েছেন।তবে ফজিলাতুন্নেসা তা কঠোরভাবে প্রত্যাখান করায় পরে তা রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন নজরুল।
কবির জীবনে অনেকবারই প্রেম এসেছিল।এদের মধ্যে অন্যতম ৩ জন হলেন নাগির্স আক্তার,প্রমিলা দেবি এবং ফজিলাতুন্নেসা।
সবার কাছ থেকে ভালবাসা পেলেও ফজিলাতুন্নেসা প্রথম নিবেদনেই কবিকে প্রত্যাখান করে ছিলেন।কবি হার না মেনে তাকে লিখে ফেলেন ৮ টি চিঠি।১ টি চিঠিতে ফজিলাতুন্নেসা কবিকে খুবই বিদ্রুপ,কঠোর ভাষায় আর চিঠি না লিখতে বলেন।
দু:খ ভারাক্রান্ত মনে কবি লিখেন,❝‘তুমি বসে রবে ঊর্ধ্বে মহিমা শিখরে নিঃপ্রাণ
পাষাণ দেবী?
কভু মোর তরে নামিবে না প্রিয়ারূপে ধরার
ধুলায়?
লো কৌতুকময়ী! শুধু কৌতুক লীলায়?
দোলাবে আমারে লয়ে? আর সবি ভুল❞?
পরে ফজিতুন্নেসা অন্যত্র বিয়ে করেন এবং বিদেশ গমন করেন।তার বিদায়ে কবি লিখেছেন ❝বর্ষা বিদায়❞ কবিতা।
নজরুলের একপাক্ষিক ভালবাসায় নজরুল ফজিলাতুন্নেসার ভালবাসা না পেলেও আমরা পেয়েছি অসাধারন সব গান,কবিতা,কাব্যসংকলন!
ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী।তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ের কথা বলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল।নজরুল প্রথম দেখায়ই ফজিলাতুন্নেছার সাথে কথা বলে এই প্রথা ভেঙ্গে দেন।ফলস্বরুপ নজরুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।নজরুল কখনো আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাননি।তবে মৃত্যুর পর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই শায়িত করা হয় এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
স্বাধীনচেতা কবি নার্গিসের বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।কারন নার্গিসের পরিবার কবিকে ঘরজামাই করে রাখতে চেয়েছিল।আর কবি সবচেয়ে বেশি ভালবাসা পেয়েছেন তার স্ত্রী প্রমিলা দেবী থেকে।মৃত্যু অবধি সুখে-দুখে তারা একসাথে ছিলেন।।