ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব

নজরুলের না পাওয়া ভালবাসা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 138
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কবি নজরুল বেগম ফজিলাতুন্নেসা জোহাকে এতই ভালবেসেছিলেন যে তাকে বিখ্যাত ❝সঞ্চিতা❞ কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করতে চেয়েছেন।তবে ফজিলাতুন্নেসা তা কঠোরভাবে প্রত্যাখান করায় পরে তা রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন নজরুল।

কবির জীবনে অনেকবারই প্রেম এসেছিল।এদের মধ্যে অন্যতম ৩ জন হলেন নাগির্স আক্তার,প্রমিলা দেবি এবং ফজিলাতুন্নেসা।

সবার কাছ থেকে ভালবাসা পেলেও ফজিলাতুন্নেসা প্রথম নিবেদনেই কবিকে প্রত্যাখান করে ছিলেন।কবি হার না মেনে তাকে লিখে ফেলেন ৮ টি চিঠি।১ টি চিঠিতে ফজিলাতুন্নেসা কবিকে খুবই বিদ্রুপ,কঠোর ভাষায় আর চিঠি না লিখতে বলেন।

দু:খ ভারাক্রান্ত মনে কবি লিখেন,❝‘তুমি বসে রবে ঊর্ধ্বে মহিমা শিখরে নিঃপ্রাণ
পাষাণ দেবী?
কভু মোর তরে নামিবে না প্রিয়ারূপে ধরার
ধুলায়?
লো কৌতুকময়ী! শুধু কৌতুক লীলায়?
দোলাবে আমারে লয়ে? আর সবি ভুল❞?

পরে ফজিতুন্নেসা অন্যত্র বিয়ে করেন এবং বিদেশ গমন করেন।তার বিদায়ে কবি লিখেছেন ❝বর্ষা বিদায়❞ কবিতা।

নজরুলের একপাক্ষিক ভালবাসায় নজরুল ফজিলাতুন্নেসার ভালবাসা না পেলেও আমরা পেয়েছি অসাধারন সব গান,কবিতা,কাব্যসংকলন!

ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী।তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ের কথা বলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল।নজরুল প্রথম দেখায়ই ফজিলাতুন্নেছার সাথে কথা বলে এই প্রথা ভেঙ্গে দেন।ফলস্বরুপ নজরুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।নজরুল কখনো আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাননি।তবে মৃত্যুর পর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই শায়িত করা হয় এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

স্বাধীনচেতা কবি নার্গিসের বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।কারন নার্গিসের পরিবার কবিকে ঘরজামাই করে রাখতে চেয়েছিল।আর কবি সবচেয়ে বেশি ভালবাসা পেয়েছেন তার স্ত্রী প্রমিলা দেবী থেকে।মৃত্যু অবধি সুখে-দুখে তারা একসাথে ছিলেন।।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নজরুলের না পাওয়া ভালবাসা

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

 

কবি নজরুল বেগম ফজিলাতুন্নেসা জোহাকে এতই ভালবেসেছিলেন যে তাকে বিখ্যাত ❝সঞ্চিতা❞ কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করতে চেয়েছেন।তবে ফজিলাতুন্নেসা তা কঠোরভাবে প্রত্যাখান করায় পরে তা রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন নজরুল।

কবির জীবনে অনেকবারই প্রেম এসেছিল।এদের মধ্যে অন্যতম ৩ জন হলেন নাগির্স আক্তার,প্রমিলা দেবি এবং ফজিলাতুন্নেসা।

সবার কাছ থেকে ভালবাসা পেলেও ফজিলাতুন্নেসা প্রথম নিবেদনেই কবিকে প্রত্যাখান করে ছিলেন।কবি হার না মেনে তাকে লিখে ফেলেন ৮ টি চিঠি।১ টি চিঠিতে ফজিলাতুন্নেসা কবিকে খুবই বিদ্রুপ,কঠোর ভাষায় আর চিঠি না লিখতে বলেন।

দু:খ ভারাক্রান্ত মনে কবি লিখেন,❝‘তুমি বসে রবে ঊর্ধ্বে মহিমা শিখরে নিঃপ্রাণ
পাষাণ দেবী?
কভু মোর তরে নামিবে না প্রিয়ারূপে ধরার
ধুলায়?
লো কৌতুকময়ী! শুধু কৌতুক লীলায়?
দোলাবে আমারে লয়ে? আর সবি ভুল❞?

পরে ফজিতুন্নেসা অন্যত্র বিয়ে করেন এবং বিদেশ গমন করেন।তার বিদায়ে কবি লিখেছেন ❝বর্ষা বিদায়❞ কবিতা।

নজরুলের একপাক্ষিক ভালবাসায় নজরুল ফজিলাতুন্নেসার ভালবাসা না পেলেও আমরা পেয়েছি অসাধারন সব গান,কবিতা,কাব্যসংকলন!

ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী।তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ের কথা বলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল।নজরুল প্রথম দেখায়ই ফজিলাতুন্নেছার সাথে কথা বলে এই প্রথা ভেঙ্গে দেন।ফলস্বরুপ নজরুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।নজরুল কখনো আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাননি।তবে মৃত্যুর পর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই শায়িত করা হয় এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

স্বাধীনচেতা কবি নার্গিসের বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।কারন নার্গিসের পরিবার কবিকে ঘরজামাই করে রাখতে চেয়েছিল।আর কবি সবচেয়ে বেশি ভালবাসা পেয়েছেন তার স্ত্রী প্রমিলা দেবী থেকে।মৃত্যু অবধি সুখে-দুখে তারা একসাথে ছিলেন।।