নতুন নিয়মে ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দেয়ার নিয়ম
- আপডেট সময় : ১০:১৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
নতুন আয়কর আইন গত জুন মাস থেকে চালু হয়েছে। দেশের করব্যবস্থা এত দিন ধরে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ দিয়ে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে সেই আয়কর অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়েছে। নতুন আইনে অটোমেশনে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রিটার্ন জমা, করপোরেট কর, কর কর্মকর্তাদের ক্ষমতার বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
করদাতাদের আয়কে কয়টি খাতে ভাগ করা হয়েছে
করদাতাদের সব ধরনের আয়কে সাতটি খাতে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে–চাকরি থেকে আয়, ভাড়া থেকে আয়, কৃষি থেকে আয়, ব্যবসা থেকে আয়, মূলধনি আয়, আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয় এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয়। সব খাতের আয় যোগ করে মোট আয় নির্ধারণ করতে হবে এবং তার ওপর প্রদেয় কর পরিগণনা করতে হবে।
আয়কর কী ও আয়করসীমা
আয়কর আইনের অধীনে আরোপযোগ্য বা পরিশোধযোগ্য কোনো প্রকারের কর বা সারচার্জ হলো আয়কর। আয়কর পরিগণনার নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে বার্ষিক মোট আয় নিরূপণ করতে হবে। নিরূপিত গ্রস করদায় থেকে বিনিয়োগ রেয়াত বাদ দিয়ে প্রদেয় কর নির্ধারণ করতে হবে। স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য করহার হচ্ছে–প্রথম ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর শূন্য কর। অর্থাৎ এটি হচ্ছে করমুক্ত ব্যক্তি আয়ের সীমা।
পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এর পরের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ১০ শতাংশ। পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ১৫ শতাংশ। এর পরের ৫ লাখ পর্যন্ত কর দিতে হবে ২০ শতাংশ হারে। অবশিষ্ট যা মোট আয় থাকবে সেটার ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। নারী এবং ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত ব্যক্তি আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা। তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা।
রিটার্ন কী
আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে একজন করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে রিটার্ন। আয়কর আইন অনুযায়ী, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার রিটার্নে সব ধরনের আয়ের বিবরণী, বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত সব ধরনের পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী এবং ক্ষেত্রমতো, জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যয়ের বিবরণী সংবলিত হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
রিটার্ন কারা দাখিল করবেন
আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের দুই ভাগে চিহ্নিত করা যায়। যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে ও যাদেরকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে তারা আয়কর দাখিল করবেন।
যেমন-
১. কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার (individual) আয় যদি বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়;
২. মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ টাকার বেশি হয়;
৩. তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি হয়;
৪. গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৫ লাখ টাকার বেশি হয়।
রিটার্ন ফরম কোথায় পাওয়া যায়
সব আয়কর অফিসে রিটার্ন ফরম পাওয়া যায়। একজন করদাতা সারা বছর বিনামূল্যে আয়কর অফিস থেকে রিটার্ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট (nbr.gov.bd) থেকে রিটার্ন ফরম download করা যাবে।
রিটার্ন দাখিলের সময়
করদাতা কর্তৃক রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ হলো করদিবস। করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করলে কোনো প্রকার জরিমানা বা অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। আয়কর আইন অনুযায়ী, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের জন্য প্রতি বছরের ৩০ নভেম্বর করদিবস। একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল করবেন।
কোথায় কীভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়
টিআইএন সনদে উল্লেখিত অধিক্ষেত্র বা সার্কেল অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করতে হবে। রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থান করলে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও রিটার্ন দাখিল করা যায়। তাছাড়া https://etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ রয়েছে।
তবে সব শ্রেণির করদাতা আয়কর বিধিমালা অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। যেমন–ব্যক্তি করদাতার জন্য রিটার্ন-আইটি ১১গ, আইটি ১১গ ২০১৬, কোম্পানির জন্য রিটার্ন-আইটি ১১ঘ ইত্যাদি। সব আয়কর অফিসে বিনামূল্যে রিটার্ন ফরম পাওয়া যায়।
রিটার্ন-আইটি ঘ (২০২৩): আইটি ঘ (২০২৩) একটি এক পাতার রিটার্ন। এটি সবচেয়ে সহজ ও সংক্ষিপ্ত রিটার্ন। যদি কোনো করদাতা নির্ধারিত সব মানদণ্ড পূরণ করেন, তবে তিনি এক পাতার আইটি ঘ (২০২৩) রিটার্নটি ব্যবহারের যোগ্য হবেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার অধিক নয়, মোট পরিসম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার বেশি নয়, কোনো মোটরযানের মালিক নন, সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো গৃহ-সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টের মালিক নন, বাংলাদেশের বাইরে কোনো পরিসম্পদের মালিক নন এবং কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নন।
যেভাবে রিটার্ন জমা দেবেন
অনলাইন রিটার্ন জমার ঠিকানা হলো। অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হবে না। শুধু ওই সব দলিলাদির তথ্য দিলেই হবে। যেমন, সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়ের বা বেতন-ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিলেই চলবে। আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে।
গত সপ্তাহে কয়েকটি খাতের পেশাজীবীদের অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেমন চার সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের অধিভুক্ত সরকারি কর্মচারী, সারা দেশের তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা, মোবাইল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, ম্যারিকো বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) ও নেস্লে বাংলাদেশের কর্মীরা।
কোনো করদাতা অনলাইনে নিবন্ধন ও রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনো সমস্যায় পড়েন, তাহলে এনবিআরের কল সেন্টারের সহায়তা নিতে পারেন। এ-সংক্রান্ত কল সেন্টার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু আছে। কল সেন্টারের নম্বর ০৯৬৪৩৭১৭১৭১। কল সেন্টারে ফোন করলে একজন কর কর্মকর্তা আপনার সমস্যার সমাধান করে দেবেন।
এদিকে মাঝেমধ্যে অনলাইন সিস্টেমে প্রবেশে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে আয়কর কর্মকর্তারা বলেন, একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক করদাতা অনলাইনে ঢোকার কারণে সমস্যা হচ্ছে, তবে তা সাময়িক।
অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়া যাবে; আবার কর পরিশোধও করা যাবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো করদাতা রিটার্ন জমার পাশাপাশি কর পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া একই অনলাইন ব্যবস্থা থেকে দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন করদাতা।
নতুন নিয়মে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে
পুরোনো আইনের মতো নতুন আইনেও ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করদাতারা রিটার্ন দিতে পারবেন। তবে এরই মধ্যে রিটার্ন জমার সময় দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। নতুন আইনে কোনো করদাতার বার্ষিক আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার কম হলে তা করমুক্ত থাকবে। গত অর্থবছরে তা ছিল তিন লাখ টাকা।
আগের আইনের মতো করমুক্ত আয়সীমা অতিক্রম করলেই ন্যূনতম কর দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি চট্টগ্রাম সিটির করদাতাদের ৫ হাজার টাকা; অন্য সিটির করদাতারা ৪ হাজার টাকা এবং অন্য এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা কর দিতেই হবে।
এতো দিন রিটার্ন জমার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করা যেত। এ ক্ষেত্রে দুই থেকে চার মাস বাড়ানো যেত। কিন্তু নতুন আইনে সেই সুযোগ রাখা হয়নি। ৩০ নভেম্বর বা নির্ধারিত সময়ের পর রিটার্ন জমা দিলে জরিমানা যেমন দিতে হবে, তেমনই কোনো কর রেয়াতও মিলবে না। যেমন এত দিন যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, ইন্টারনেট বিলসহ নানা ধরনের ভাতা পান চাকরিজীবীরা। এসব ভাতার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ছিল। কিন্তু এখন ৩০ নভেম্বর বা নির্ধারিত সময়ের পর রিটার্ন দিতে গেলে এসব ভাতার অর্থ আর করমুক্ত থাকবে না।
রিটার্ন ফরমে কি কি তথ্য দিতে হবে
নতুন আইনে প্রথমবারের মতো ছোট করদাতাদের জন্য এক পাতার রিটার্ন ফরম বানানো হয়েছে। বার্ষিক করযোগ্য আয় ৫ লাখ টাকার কম হলেই এক পাতার আয়কর বিবরণী জমা দিলেই হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার কম হতে হবে। ইতিমধ্যে করদাতার জন্য এক পাতার একটি ফরম প্রকাশ করেছে এনবিআর।
এক পাতার ওই ফরমে সব মিলিয়ে ১৬ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলো- নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), সার্কেল, কর অঞ্চল, করবর্ষ, আবাসিক মর্যাদা, মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা, আয়ের উৎস, মোট পরিসম্পদ, মোট আয়, আরোপযোগ্য কর, কর রেয়াত, প্রদেয় কর, উৎসে কাটা করের পরিমাণ (যদি থাকে), এই রিটার্নের সঙ্গে প্রদত্ত কর ও জীবনযাপন ব্যয়।
অটোমেশনে কীভাবে আয়কর দেওয়া সহজ
নতুন আইনের অন্যতম বড় পরিবর্তন হলো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের কর পরিশোধ। অটোমেটেড চালান বা এ চালানের মাধ্যমে কর পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নতুন আইনে। পুরোনো আইনে পে-অর্ডারসহ নানা উপায়ে কর পরিশোধ করা যেত।
তবে প্রথমবার বলে করদাতাদের এ চালানে কিছুটা ছাড় দিয়েছে কর বিভাগ। কোনো করদাতা যদি রিটার্ন জমার সময় পে-অর্ডার করে নিয়ে যান, এনবিআরের কর কর্মকর্তারা তা এ চালানে রূপান্তর করে নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে এ চালানে কর পরিশোধ করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় আইবাস সিস্টেমের মাধ্যমে এ চালানে কর পরিশোধ করা যায়। এনবিআরের জমা হিসেবে এই চালান তৈরি করতে হয়। মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড এবং ব্যাংকে নগদ টাকা প্রদান—চার ধরনের ব্যবস্থায় এ চালানে করের টাকা পরিশোধ করা যায়।
নতুন নিয়মে কর অনলাইনে দেওয়ার জন্য কড়াকড়ি করা হয়েছে, ফলে কর দিতে সাধারণের অনেক সহজ করা হয়েছে। এতে আয়করদাতারা অনেক সহজে কর দিতে পারছেন।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য যা যা দরকার
আয়ের বিবরণী
১. বেতন খাতে আয় (ফটোকপি সংযুক্ত করবেন);
২. গৃহসম্পত্তি খাতে আয়
ক. গৃহের তলাভিত্তিক ফ্লোর স্পেস ও ভাড়া (ভাড়ার চুক্তিপত্র);
খ. পৌর করের পরিমাণ (পৌর কর প্রদানের রসিদ);
গ. বন্ধকি ঋণের ওপর সুদ (ব্যাংকের ইস্যুকৃত বিবরণী বা সার্টিফিকেট);
ঘ. বাসস্থান খালি থাকলে তার সময় (উপ-কর কমিশনারকে জানানো হলে পত্রের কপি);
৩. কৃষি আয়
ক. কৃষিজমির পরিমাণ
খ. ফলনকৃত শস্যের পরিমাণ
গ. বাজারমূল্য
৪. ব্যবসা বা পেশা খাতে আয়: (স্থিতিপত্র ও আয়-ব্যয়ের বিবরণী, যদি থাকে)
৫. মূলধনি লাভ
ক. মূলধনি সম্পদের বিক্রয়মূল্য (বিক্রীত চুক্তিপত্র ও বিক্রয়ের রসিদ বা দলিল);
খ. বিক্রীত সম্পদের ক্রয়মূল্য (ক্রয়ের দলিল অথবা প্রমাণপত্র);
গ. আনুষঙ্গিক মূলধনি ব্যয় (ক্রয় ও আনুষঙ্গিক মূলধনি ব্যয়ের প্রমাণপত্র);
৬. আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয়
লভ্যাংশ
খ. ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা
গ. সঞ্চয়পত্রের সুদ
ঘ. এফডিআর বা মেয়াদি স্থায়ী আমানত
৭. অন্যান্য উৎস খাতে আয়
*অন্যান্য উৎসের আয়ের সপক্ষে প্রমাণপত্র
* কর রেয়াতের জন্য বিনিয়োগ
ক. জীবনবিমার প্রদত্ত কিস্তি (প্রিমিয়ার রসিদ);
খ. ভবিষ্যতে প্রাপ্য বার্ষিক ভাতা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে চাঁদা (উপযুক্ত কর্মকর্তার ইস্যু করা সনদ);
গ. ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ অনুযায়ী প্রযোজ্য ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা (সনদের ফটোকপি);
ঘ. স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে স্বীয় ও নিয়োগকর্তার প্রদত্ত চাঁদা (সনদের ফটোকপি);
ঙ. অনুমোদিত বয়সজনিত তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা (নিয়োগকর্তার সনদ);
চ. অনুমোদিত ঋণপত্র বা ডিবেঞ্চার স্টক, স্টক বা শেয়ারে বিনিয়োগ (বিনিয়োগের প্রমাণপত্র);
ছ. ডিপোজিট পেনশন স্কিমে প্রদত্ত চাঁদা (ব্যাংকের সনদ সর্বোচ্চ, ১,২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ অনুমোদনযোগ্য);
জ. কল্যাণ তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা এবং গোষ্ঠী বিমা কর্মসূচির অধীন প্রদত্ত কিস্তি (নিয়োগকর্তার সনদ);
ঝ. জাকাত তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা (প্রমাণপত্র);