ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

নির্যাতিত নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলুর ইতিকথা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 83
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়াারী জন্মগ্রহন করেন মোখলেছুর রহমান বাবলু। তার পিতা মৃত আব্দুল বাড়ী ভূঞাঁ, মাতা আবেদা আক্তার। ৫ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে চতুর্থ সন্তান তিনি। তাঁর পড়াশোনার হাতে খড়ি হয় নিজ গ্রামের নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে পড়াশোনা শেষে ১৯৯২ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে নান্দাইল শহীদ স্মৃতি মহা বিদ্যালয় হতে এইচ.এস.সি ও বি.এ পাশ করেন। তিনি মাধ্যমিকে পড়াকালীন সময়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হয়ে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করেন। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পাইকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলে মনোনীত হয়ে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। একই সময়ে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ২০০৪ সালে পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে নেত্রকোণা জেলা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনন করেন।
মোখলেছুর রহমান বাবলু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার জেল জুুলুম,হামলা মামলা হুলিয়া নির্যাতন সহ্য করেছেন। কারা বরণ করেছে দুইবার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাার শিকার হয়ে ১৬ টি মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। এজন্য বহুবার এলাকা ছাড়া হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়েছে।
সেই দূর্বিসহ জীবনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-মানুষের কল্যাণে ও দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে গিয়ে জীবনে যে জুলম নির্যাতনের শিকার হয়েছি সে কথা মনে হলে আজও গাঁ শিউরে উঠে।
তিনি আরও বলেন-যতদিন বেঁছে আছি,ততদিন জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
এছাড়াও তিনি বলেন-আমার পিতা মরহুম আব্দুল বারী ভূঞাঁ তৎকালীন সময়ে জাগদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সে সময়ে পাইকুড়া ইউনিয়নের প্রধান ছিলেন। তাই পারিবারিক সূত্রেই বিএনপির রাজনীতি রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে।
বহু প্রতিভার অধিকারী মোখলেছুর রহমান বাবলু ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ২০০৩ সালে পারিবারিক ভাবে বিউটি আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। দাম্পত্য জীবনে জারিফ রহমান সাদী নামে এক সন্তানের জনক তিনি। তাঁর সন্তান বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
অতীতের কথা বলতে গিয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু জানান,২০১৬ সালের ৩০ শে এপ্রিল ইলিয়াস আলী নিখোঁজের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের ব্যাপল নির্যাতনের শিকার হয়ে মেরুদণ্ডে প্রাপ্ত আঘাত আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাছাড়াও ২০০১ সালে বিএনপির কটুক্তির প্রতিবাদ করায় পুলিশ কর্তৃক ঘাড়ের আঘাত দীর্ঘদিন ভোগতে হয়েছে। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশে পুলিশ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
একান্ত সাক্ষাতকারের পরিশেষে ইতিকথায় মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-আমি যতদিন বেঁচেজ আছি ততদিন পাইকুড়া ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্যাতিত নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলুর ইতিকথা

আপডেট সময় : ১২:০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়াারী জন্মগ্রহন করেন মোখলেছুর রহমান বাবলু। তার পিতা মৃত আব্দুল বাড়ী ভূঞাঁ, মাতা আবেদা আক্তার। ৫ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে চতুর্থ সন্তান তিনি। তাঁর পড়াশোনার হাতে খড়ি হয় নিজ গ্রামের নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে পড়াশোনা শেষে ১৯৯২ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে নান্দাইল শহীদ স্মৃতি মহা বিদ্যালয় হতে এইচ.এস.সি ও বি.এ পাশ করেন। তিনি মাধ্যমিকে পড়াকালীন সময়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হয়ে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করেন। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পাইকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলে মনোনীত হয়ে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। একই সময়ে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ২০০৪ সালে পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে নেত্রকোণা জেলা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনন করেন।
মোখলেছুর রহমান বাবলু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার জেল জুুলুম,হামলা মামলা হুলিয়া নির্যাতন সহ্য করেছেন। কারা বরণ করেছে দুইবার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাার শিকার হয়ে ১৬ টি মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। এজন্য বহুবার এলাকা ছাড়া হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়েছে।
সেই দূর্বিসহ জীবনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-মানুষের কল্যাণে ও দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে গিয়ে জীবনে যে জুলম নির্যাতনের শিকার হয়েছি সে কথা মনে হলে আজও গাঁ শিউরে উঠে।
তিনি আরও বলেন-যতদিন বেঁছে আছি,ততদিন জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
এছাড়াও তিনি বলেন-আমার পিতা মরহুম আব্দুল বারী ভূঞাঁ তৎকালীন সময়ে জাগদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সে সময়ে পাইকুড়া ইউনিয়নের প্রধান ছিলেন। তাই পারিবারিক সূত্রেই বিএনপির রাজনীতি রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে।
বহু প্রতিভার অধিকারী মোখলেছুর রহমান বাবলু ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ২০০৩ সালে পারিবারিক ভাবে বিউটি আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। দাম্পত্য জীবনে জারিফ রহমান সাদী নামে এক সন্তানের জনক তিনি। তাঁর সন্তান বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
অতীতের কথা বলতে গিয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু জানান,২০১৬ সালের ৩০ শে এপ্রিল ইলিয়াস আলী নিখোঁজের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের ব্যাপল নির্যাতনের শিকার হয়ে মেরুদণ্ডে প্রাপ্ত আঘাত আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাছাড়াও ২০০১ সালে বিএনপির কটুক্তির প্রতিবাদ করায় পুলিশ কর্তৃক ঘাড়ের আঘাত দীর্ঘদিন ভোগতে হয়েছে। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশে পুলিশ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
একান্ত সাক্ষাতকারের পরিশেষে ইতিকথায় মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-আমি যতদিন বেঁচেজ আছি ততদিন পাইকুড়া ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।