ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

নির্যাতিত নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলুর ইতিকথা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 163
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়াারী জন্মগ্রহন করেন মোখলেছুর রহমান বাবলু। তার পিতা মৃত আব্দুল বাড়ী ভূঞাঁ, মাতা আবেদা আক্তার। ৫ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে চতুর্থ সন্তান তিনি। তাঁর পড়াশোনার হাতে খড়ি হয় নিজ গ্রামের নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে পড়াশোনা শেষে ১৯৯২ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে নান্দাইল শহীদ স্মৃতি মহা বিদ্যালয় হতে এইচ.এস.সি ও বি.এ পাশ করেন। তিনি মাধ্যমিকে পড়াকালীন সময়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হয়ে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করেন। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পাইকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলে মনোনীত হয়ে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। একই সময়ে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ২০০৪ সালে পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে নেত্রকোণা জেলা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনন করেন।
মোখলেছুর রহমান বাবলু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার জেল জুুলুম,হামলা মামলা হুলিয়া নির্যাতন সহ্য করেছেন। কারা বরণ করেছে দুইবার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাার শিকার হয়ে ১৬ টি মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। এজন্য বহুবার এলাকা ছাড়া হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়েছে।
সেই দূর্বিসহ জীবনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-মানুষের কল্যাণে ও দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে গিয়ে জীবনে যে জুলম নির্যাতনের শিকার হয়েছি সে কথা মনে হলে আজও গাঁ শিউরে উঠে।
তিনি আরও বলেন-যতদিন বেঁছে আছি,ততদিন জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
এছাড়াও তিনি বলেন-আমার পিতা মরহুম আব্দুল বারী ভূঞাঁ তৎকালীন সময়ে জাগদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সে সময়ে পাইকুড়া ইউনিয়নের প্রধান ছিলেন। তাই পারিবারিক সূত্রেই বিএনপির রাজনীতি রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে।
বহু প্রতিভার অধিকারী মোখলেছুর রহমান বাবলু ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ২০০৩ সালে পারিবারিক ভাবে বিউটি আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। দাম্পত্য জীবনে জারিফ রহমান সাদী নামে এক সন্তানের জনক তিনি। তাঁর সন্তান বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
অতীতের কথা বলতে গিয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু জানান,২০১৬ সালের ৩০ শে এপ্রিল ইলিয়াস আলী নিখোঁজের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের ব্যাপল নির্যাতনের শিকার হয়ে মেরুদণ্ডে প্রাপ্ত আঘাত আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাছাড়াও ২০০১ সালে বিএনপির কটুক্তির প্রতিবাদ করায় পুলিশ কর্তৃক ঘাড়ের আঘাত দীর্ঘদিন ভোগতে হয়েছে। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশে পুলিশ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
একান্ত সাক্ষাতকারের পরিশেষে ইতিকথায় মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-আমি যতদিন বেঁচেজ আছি ততদিন পাইকুড়া ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্যাতিত নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলুর ইতিকথা

আপডেট সময় : ১২:০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়াারী জন্মগ্রহন করেন মোখলেছুর রহমান বাবলু। তার পিতা মৃত আব্দুল বাড়ী ভূঞাঁ, মাতা আবেদা আক্তার। ৫ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে চতুর্থ সন্তান তিনি। তাঁর পড়াশোনার হাতে খড়ি হয় নিজ গ্রামের নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে পড়াশোনা শেষে ১৯৯২ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে নান্দাইল শহীদ স্মৃতি মহা বিদ্যালয় হতে এইচ.এস.সি ও বি.এ পাশ করেন। তিনি মাধ্যমিকে পড়াকালীন সময়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হয়ে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করেন। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পাইকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলে মনোনীত হয়ে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। একই সময়ে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ২০০৪ সালে পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে নেত্রকোণা জেলা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনন করেন।
মোখলেছুর রহমান বাবলু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার জেল জুুলুম,হামলা মামলা হুলিয়া নির্যাতন সহ্য করেছেন। কারা বরণ করেছে দুইবার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাার শিকার হয়ে ১৬ টি মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। এজন্য বহুবার এলাকা ছাড়া হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়েছে।
সেই দূর্বিসহ জীবনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-মানুষের কল্যাণে ও দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে গিয়ে জীবনে যে জুলম নির্যাতনের শিকার হয়েছি সে কথা মনে হলে আজও গাঁ শিউরে উঠে।
তিনি আরও বলেন-যতদিন বেঁছে আছি,ততদিন জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
এছাড়াও তিনি বলেন-আমার পিতা মরহুম আব্দুল বারী ভূঞাঁ তৎকালীন সময়ে জাগদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সে সময়ে পাইকুড়া ইউনিয়নের প্রধান ছিলেন। তাই পারিবারিক সূত্রেই বিএনপির রাজনীতি রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে।
বহু প্রতিভার অধিকারী মোখলেছুর রহমান বাবলু ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ২০০৩ সালে পারিবারিক ভাবে বিউটি আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। দাম্পত্য জীবনে জারিফ রহমান সাদী নামে এক সন্তানের জনক তিনি। তাঁর সন্তান বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
অতীতের কথা বলতে গিয়ে মোখলেছুর রহমান বাবলু জানান,২০১৬ সালের ৩০ শে এপ্রিল ইলিয়াস আলী নিখোঁজের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের ব্যাপল নির্যাতনের শিকার হয়ে মেরুদণ্ডে প্রাপ্ত আঘাত আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাছাড়াও ২০০১ সালে বিএনপির কটুক্তির প্রতিবাদ করায় পুলিশ কর্তৃক ঘাড়ের আঘাত দীর্ঘদিন ভোগতে হয়েছে। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশে পুলিশ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
একান্ত সাক্ষাতকারের পরিশেষে ইতিকথায় মোখলেছুর রহমান বাবলু বলেন-আমি যতদিন বেঁচেজ আছি ততদিন পাইকুড়া ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।