পাকিস্তানেই ভারতকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
- আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
- / 71
২০১৭ সালে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর প্রায় ৮ বছর কেটে গেলেও মাঠে গড়ায়নি টুর্নামেন্টটি। ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক জটিলতার কারণে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে অনিশ্চয়তা কাটছেই না। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান সফরে যাবে না। পিসিবি এক সপ্তাহ আগে আইসিসিকে চিঠি দিয়ে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্পষ্টতা এবং বিশদ জানতে চেয়েছিল, যা ভারত আইসিসিকে জানিয়েছিল।
এ নিয়ে পাকিস্তান বিসিসিআইয়ের কাছে লিখিত উত্তর এবং বিসিসিআই আইসিসিকে তার অবস্থান জানানোর তারিখ সম্পর্কে তথ্যও চেয়েছে। সাড়া না পাওয়া সত্ত্বেও, সোমবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলেছেন যে টুর্নামেন্টটিকে সফলভাবে পরিচালনা করা জন্য তাদের এখনও ‘ইতিবাচক প্রত্যাশা’ রয়েছে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মহসিন নাকভি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রশ্নগুলি আইসিসিতে পাঠিয়েছি। আমরা এখনও তাদের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি। আমি বিশ্বাস করি যে খেলাধুলা এবং রাজনীতিকে আলাদা রাখা উচিত এবং কোনও দেশেরই এটাকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়, এমনটা করা ঠিক নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আমার এখনও ইতিবাচক প্রত্যাশা রয়েছে।’
মহসিন নাকভি আরও বলেন, পিসিবি তার অবস্থানে অটল থাকবে। পিসিবি টুর্নামেন্টের জন্য কোনও হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করবে না এবং তারা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবে না। তবে মহসিন নাকভি এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী প্রতিটি দলই পাকিস্তানে আসার জন্য প্রস্তুত। কারও কোনও আপত্তি নেই। আমি আজও তাই বলব যে ভারতের কোনও উদ্বেগ থাকলে আমাদের জানান। আমরা সমাধান করতে পারি। তাদের উদ্বেগ আমার মনে হয় না তাদের না আসার কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ আছে।’
পাকিস্তানের আয়োজক অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে, পিসিবি টুর্নামেন্ট বয়কট করবে কিনা। এমন প্রশ্নের জাবাবে নাকভি বলেন, ‘পাকিস্তানের মর্যাদা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
মহসিন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আইসিসিকে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ভাবতে হবে যে তারা সমস্ত দেশের জন্য একটি সংস্থা কিনা। এবং সেই রুটটি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। টুর্নামেন্ট সম্পর্কিত কোনও পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’