ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 34
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, সেটি সময় আমাদের কে বলবে। তবে তার রাজনৈতিক শৈল্পিকতা নিয়ে এখন আর সন্দেহের অবকাশ নেই। জাতিসংঘের রিপোর্ট এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পাবলিক ডকুমেন্ট – এটি কেবল একটি নথি নয়, একটি মৃত্যুপরোয়ানা, হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের ওপর এক চূড়ান্ত সিলমোহর।

এই খেলাটি কেউ আর খেলতে পারেনি, কারণ এই মাত্রার কৌশল এবং আন্তর্জাতিক দখলদারি সাধারণ কোনো রাজনীতিবিদের ক্যাপাসিটিতে পড়ে না। প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘকে এমনভাবে ইনভলভ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসন এখন বিশ্বজোড়া এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

দেশীয় রিপোর্ট পাশ কাটানো সম্ভব হতে পারে, কিন্তু জাতিসংঘের এই রিপোর্ট বিশ্বরাজনীতির টেবিলে জমা পড়ে গেছে। এটি হাসিনাকে রাজনৈতিক শ্মশানে ঠেলে দেওয়ার সূচনা।

ভারতেরও এখন চিন্তার কারণ আছে। শেখ হাসিনাকে বাঁচানো মানে নিজেদের মানবাধিকার সূচক নামিয়ে আনা। রিপোর্টের লিগ্যাল বাইন্ডিংস না থাকলেও এর গ্রহণযোগ্যতা প্রবল। ক্ষমতা থাকলে ইগনোর করুক! দেখা যাক তারা কি করে এখন।

সবচেয়ে নির্মম সত্য? শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এতটাই নগ্ন যে, জাতিসংঘ সরকারের মঞ্চ নয়, নিজস্ব সদর দপ্তর থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর গ্রহণযোগ্যতা এখন ধ্বংস করা অসম্ভব।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – এত দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাসিনাকে এভাবে এক্সপোজ করা – এটি একটি রাজনৈতিক বিস্ময়। প্রফেসর ইউনূস কেবল অর্থনীতির নোবেলজয়ী নন, রাজনৈতিক দাবার মাস্টারপিস। তিনি যা করলেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।

এখন হাসিনার জন্য রাস্তাটা একটাই – অন্ধকার। হয় ভারত আশ্রয় দেবে, নয়তো বিচার। ফেরার পথ বন্ধ। আওয়ামী লীগের জন্য এটি শুধু ক্ষতি নয়, অস্তিত্ব সংকট। নিষেধাজ্ঞা এখন আর প্রশ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন পৃষ্ঠা লেখা হলো, যেখানে শেখ হাসিনার নাম থাকবে এক লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হিসেবে।

কপি-পেস্ট
লেখকঃ অজানা

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, সেটি সময় আমাদের কে বলবে। তবে তার রাজনৈতিক শৈল্পিকতা নিয়ে এখন আর সন্দেহের অবকাশ নেই। জাতিসংঘের রিপোর্ট এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পাবলিক ডকুমেন্ট – এটি কেবল একটি নথি নয়, একটি মৃত্যুপরোয়ানা, হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের ওপর এক চূড়ান্ত সিলমোহর।

এই খেলাটি কেউ আর খেলতে পারেনি, কারণ এই মাত্রার কৌশল এবং আন্তর্জাতিক দখলদারি সাধারণ কোনো রাজনীতিবিদের ক্যাপাসিটিতে পড়ে না। প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘকে এমনভাবে ইনভলভ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসন এখন বিশ্বজোড়া এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

দেশীয় রিপোর্ট পাশ কাটানো সম্ভব হতে পারে, কিন্তু জাতিসংঘের এই রিপোর্ট বিশ্বরাজনীতির টেবিলে জমা পড়ে গেছে। এটি হাসিনাকে রাজনৈতিক শ্মশানে ঠেলে দেওয়ার সূচনা।

ভারতেরও এখন চিন্তার কারণ আছে। শেখ হাসিনাকে বাঁচানো মানে নিজেদের মানবাধিকার সূচক নামিয়ে আনা। রিপোর্টের লিগ্যাল বাইন্ডিংস না থাকলেও এর গ্রহণযোগ্যতা প্রবল। ক্ষমতা থাকলে ইগনোর করুক! দেখা যাক তারা কি করে এখন।

সবচেয়ে নির্মম সত্য? শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এতটাই নগ্ন যে, জাতিসংঘ সরকারের মঞ্চ নয়, নিজস্ব সদর দপ্তর থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর গ্রহণযোগ্যতা এখন ধ্বংস করা অসম্ভব।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – এত দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাসিনাকে এভাবে এক্সপোজ করা – এটি একটি রাজনৈতিক বিস্ময়। প্রফেসর ইউনূস কেবল অর্থনীতির নোবেলজয়ী নন, রাজনৈতিক দাবার মাস্টারপিস। তিনি যা করলেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।

এখন হাসিনার জন্য রাস্তাটা একটাই – অন্ধকার। হয় ভারত আশ্রয় দেবে, নয়তো বিচার। ফেরার পথ বন্ধ। আওয়ামী লীগের জন্য এটি শুধু ক্ষতি নয়, অস্তিত্ব সংকট। নিষেধাজ্ঞা এখন আর প্রশ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন পৃষ্ঠা লেখা হলো, যেখানে শেখ হাসিনার নাম থাকবে এক লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হিসেবে।

কপি-পেস্ট
লেখকঃ অজানা