ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 65
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, সেটি সময় আমাদের কে বলবে। তবে তার রাজনৈতিক শৈল্পিকতা নিয়ে এখন আর সন্দেহের অবকাশ নেই। জাতিসংঘের রিপোর্ট এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পাবলিক ডকুমেন্ট – এটি কেবল একটি নথি নয়, একটি মৃত্যুপরোয়ানা, হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের ওপর এক চূড়ান্ত সিলমোহর।

এই খেলাটি কেউ আর খেলতে পারেনি, কারণ এই মাত্রার কৌশল এবং আন্তর্জাতিক দখলদারি সাধারণ কোনো রাজনীতিবিদের ক্যাপাসিটিতে পড়ে না। প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘকে এমনভাবে ইনভলভ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসন এখন বিশ্বজোড়া এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

দেশীয় রিপোর্ট পাশ কাটানো সম্ভব হতে পারে, কিন্তু জাতিসংঘের এই রিপোর্ট বিশ্বরাজনীতির টেবিলে জমা পড়ে গেছে। এটি হাসিনাকে রাজনৈতিক শ্মশানে ঠেলে দেওয়ার সূচনা।

ভারতেরও এখন চিন্তার কারণ আছে। শেখ হাসিনাকে বাঁচানো মানে নিজেদের মানবাধিকার সূচক নামিয়ে আনা। রিপোর্টের লিগ্যাল বাইন্ডিংস না থাকলেও এর গ্রহণযোগ্যতা প্রবল। ক্ষমতা থাকলে ইগনোর করুক! দেখা যাক তারা কি করে এখন।

সবচেয়ে নির্মম সত্য? শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এতটাই নগ্ন যে, জাতিসংঘ সরকারের মঞ্চ নয়, নিজস্ব সদর দপ্তর থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর গ্রহণযোগ্যতা এখন ধ্বংস করা অসম্ভব।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – এত দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাসিনাকে এভাবে এক্সপোজ করা – এটি একটি রাজনৈতিক বিস্ময়। প্রফেসর ইউনূস কেবল অর্থনীতির নোবেলজয়ী নন, রাজনৈতিক দাবার মাস্টারপিস। তিনি যা করলেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।

এখন হাসিনার জন্য রাস্তাটা একটাই – অন্ধকার। হয় ভারত আশ্রয় দেবে, নয়তো বিচার। ফেরার পথ বন্ধ। আওয়ামী লীগের জন্য এটি শুধু ক্ষতি নয়, অস্তিত্ব সংকট। নিষেধাজ্ঞা এখন আর প্রশ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন পৃষ্ঠা লেখা হলো, যেখানে শেখ হাসিনার নাম থাকবে এক লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হিসেবে।

কপি-পেস্ট
লেখকঃ অজানা

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, সেটি সময় আমাদের কে বলবে। তবে তার রাজনৈতিক শৈল্পিকতা নিয়ে এখন আর সন্দেহের অবকাশ নেই। জাতিসংঘের রিপোর্ট এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পাবলিক ডকুমেন্ট – এটি কেবল একটি নথি নয়, একটি মৃত্যুপরোয়ানা, হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের ওপর এক চূড়ান্ত সিলমোহর।

এই খেলাটি কেউ আর খেলতে পারেনি, কারণ এই মাত্রার কৌশল এবং আন্তর্জাতিক দখলদারি সাধারণ কোনো রাজনীতিবিদের ক্যাপাসিটিতে পড়ে না। প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘকে এমনভাবে ইনভলভ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসন এখন বিশ্বজোড়া এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

দেশীয় রিপোর্ট পাশ কাটানো সম্ভব হতে পারে, কিন্তু জাতিসংঘের এই রিপোর্ট বিশ্বরাজনীতির টেবিলে জমা পড়ে গেছে। এটি হাসিনাকে রাজনৈতিক শ্মশানে ঠেলে দেওয়ার সূচনা।

ভারতেরও এখন চিন্তার কারণ আছে। শেখ হাসিনাকে বাঁচানো মানে নিজেদের মানবাধিকার সূচক নামিয়ে আনা। রিপোর্টের লিগ্যাল বাইন্ডিংস না থাকলেও এর গ্রহণযোগ্যতা প্রবল। ক্ষমতা থাকলে ইগনোর করুক! দেখা যাক তারা কি করে এখন।

সবচেয়ে নির্মম সত্য? শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এতটাই নগ্ন যে, জাতিসংঘ সরকারের মঞ্চ নয়, নিজস্ব সদর দপ্তর থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর গ্রহণযোগ্যতা এখন ধ্বংস করা অসম্ভব।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – এত দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাসিনাকে এভাবে এক্সপোজ করা – এটি একটি রাজনৈতিক বিস্ময়। প্রফেসর ইউনূস কেবল অর্থনীতির নোবেলজয়ী নন, রাজনৈতিক দাবার মাস্টারপিস। তিনি যা করলেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।

এখন হাসিনার জন্য রাস্তাটা একটাই – অন্ধকার। হয় ভারত আশ্রয় দেবে, নয়তো বিচার। ফেরার পথ বন্ধ। আওয়ামী লীগের জন্য এটি শুধু ক্ষতি নয়, অস্তিত্ব সংকট। নিষেধাজ্ঞা এখন আর প্রশ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন পৃষ্ঠা লেখা হলো, যেখানে শেখ হাসিনার নাম থাকবে এক লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হিসেবে।

কপি-পেস্ট
লেখকঃ অজানা