ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা! শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ঘোষণা আসছে? টিউলিপকে দেশে ফেরত চান ড. ইউনূস? যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র হাসিনা যেভাবে সৌদিকে দমিয়ে রাখতো

প্রেমিকাকে পেতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন কেকে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • / 99
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অসংখ্য গান উপহার দিয়ে সুরে সুরে শ্রোদের  বুঁদ করে রেখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশ জনপ্রিয় গায়ক কেকে (কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ)। এই কেকেই নাকি নিজের প্রেমিকা জ্যোতি কৃষ্ণাকে বিয়ে করতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন। গল্পটা অবশ্য আজকের কেকে হয়ে উঠার আগে। 

১৯৯১ সালের ঘটনা এটি। আজকের কেকে তখন কেবলই কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। সাধারণ একজন তরুণ। কাজ নেই বেকার যুবক এক। বেকারত্বের কারণে প্রেমিকাকে হারাতে বসছিলেন। প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য প্রেমিকার বাবা-মা শর্ত জুড়ে দেন, ছেলেকে চাকরি করতে হবে। ব্যাস কেকে চাকরি নেন সেলসম্যান হিসেবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, কপিল শর্মা শোতে হাজির হয়ে এই গল্প শুনিয়েছিলেন কেকে। জানিয়েছিলেন, ‘প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। বেকার ছেলের সঙ্গে কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। সে কারণে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলাম। ছয় মাস বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল।’

এই চাকরি প্রসঙ্গে মুভি টকিজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার জন্য একটি চাকরি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, না হলে তারা আমাকে জিজ্ঞেস করত আমি কী করি এবং আমি যদি বলতাম গান করি, তাহলে আমাকে উপেক্ষা করত…।’

 

কেকে ১৯৯১ সালে প্রেমিকা জ্যোতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর তারকাখ্যাতি পান তিনি। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি ভাষায় প্লেব্যাক করে তুমুল খ্যাতি পাওয়া সংগীতশিল্পী হিসেবে আগমনের পূর্বে প্রায় তিন হাজার ৫০০ বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন।

গতকাল ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কনসার্টে পারফর্ম করার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কেকে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মহদেহ মুম্বাইয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। আজ সকালে স্ত্রী জ্যোতি দুই সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রেমিকাকে পেতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন কেকে

আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

অসংখ্য গান উপহার দিয়ে সুরে সুরে শ্রোদের  বুঁদ করে রেখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশ জনপ্রিয় গায়ক কেকে (কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ)। এই কেকেই নাকি নিজের প্রেমিকা জ্যোতি কৃষ্ণাকে বিয়ে করতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন। গল্পটা অবশ্য আজকের কেকে হয়ে উঠার আগে। 

১৯৯১ সালের ঘটনা এটি। আজকের কেকে তখন কেবলই কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। সাধারণ একজন তরুণ। কাজ নেই বেকার যুবক এক। বেকারত্বের কারণে প্রেমিকাকে হারাতে বসছিলেন। প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য প্রেমিকার বাবা-মা শর্ত জুড়ে দেন, ছেলেকে চাকরি করতে হবে। ব্যাস কেকে চাকরি নেন সেলসম্যান হিসেবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, কপিল শর্মা শোতে হাজির হয়ে এই গল্প শুনিয়েছিলেন কেকে। জানিয়েছিলেন, ‘প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। বেকার ছেলের সঙ্গে কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। সে কারণে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলাম। ছয় মাস বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল।’

এই চাকরি প্রসঙ্গে মুভি টকিজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার জন্য একটি চাকরি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, না হলে তারা আমাকে জিজ্ঞেস করত আমি কী করি এবং আমি যদি বলতাম গান করি, তাহলে আমাকে উপেক্ষা করত…।’

 

কেকে ১৯৯১ সালে প্রেমিকা জ্যোতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর তারকাখ্যাতি পান তিনি। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি ভাষায় প্লেব্যাক করে তুমুল খ্যাতি পাওয়া সংগীতশিল্পী হিসেবে আগমনের পূর্বে প্রায় তিন হাজার ৫০০ বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন।

গতকাল ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কনসার্টে পারফর্ম করার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কেকে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মহদেহ মুম্বাইয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। আজ সকালে স্ত্রী জ্যোতি দুই সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছেন।