ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ত্রাণের টাকা কেন ব্যাংকে রেখেছেন সমন্বয়করা? পুলিশ ও বিশেষজ্ঞদের ঢাকার যানজট নিরসনের উপায় খুঁজতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা শাহরিয়ার কবির গ্রেফতার তিতাস গ্যাস পরিচালনা পর্ষদ থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার ভারতের কাছে প্রায় ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন: ১০০ কোটির স্থলে খরচ হবে ১ কোটিরও কম! ‘শেখ হাসিনা আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রীও হতে চেয়েছিলেন’ ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার স্বার্থ হাসিলে ভোলায় গ্যাস পাওয়ার কথা চেপে যান বিপু অভিজ্ঞতা নেই তবু বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার তিতাস গ্যাসের পরিচালক হলেন মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী যেভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় দখলে নিলো ‘চৌধুরী পরিবার’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়াদের তালিকা হচ্ছে: ফারুক-ই-আজম অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ‘ট্রমা’ কাটবে কী করে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেক কিছুরই অদৃশ্য নীতিনির্ধারক ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয় বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের ড. ইউনূসের কূটনীতিতে বিস্মিত ভারত কেমন ছিল বাফুফেতে কাজী সালাহউদ্দিনের ১৬ বছর? অর্থ লোপাটে বাপ-বেটার মহারেকর্ড

বসের বই বলে কথা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫০১৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমার অফিসের বস একটা বই লিখেছেন। আজ শুনলাম বসের বইয়ের দ্বিতীয় এডিশন শেষ!

বসের একটা বই আমিও কিনেছি। না কিনে উপায় ছিল না বলে। মেলায় গিয়ে ছবি-টবি তুলে বের হয়ে চলে এসেছি।

আমাদের অফিসের সবাই বই কিনেছে সেটা তো বুঝলাম। অফিসে আর কতজন কলিগ হবে পঞ্চাশ জন। এটা ঠিক বস কে খুশি করতে দুয়েকজন কয়েককপি করে কিনেছে!

তাই বলে সেকেন্ড এডিশন শেষ! বসের বই কিন্তু বেস সেলার লিস্টে আছে।

আমি আমার অফিসের কলিগ বন্ধু কে জিজ্ঞেস করলাম, “বসের বইয়ের সেকেন্ড এডিশন নাকি শেষ?”

হালকা হেসে বলল,” শেষ তো হবেই অফিসের আয়াও শুনলাম দুই কপি কিনেছে!”

এ উপলক্ষে আজ একটা পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। পার্টিতে অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন।

প্রথমে বই নিয়ে আলোচনা হবে তারপর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আমাদের অফিসের রুয়েল সাহেব গেলেন প্রথম আলোচনা করতে। স্যারের বইয়ের নাম সম্ভবত আমাদের ঘর। সম্ভবত বললাম কারণ বইয়ের প্যাকেট এখনো খুলা হয়নি!

রুয়েল সাহেব এ পর্যন্ত পঞ্চাশটা বই কিনেছেন। ওনার আত্মীয় স্বজন সবাইকে নাকি উপহার দিয়েছেন।

আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। রুয়েল বলা শুরু করলেন, আমাদের ঘর বইটা বাংলা সাহিত্যের এক বিরাট সম্পদ। এমন উপন্যাস আমি আমার জীবনে পড়িনি!

ছোটোবেলায় এই ঘর এই সংসার ছবি দেখে কেঁদে ছিলাম। এখন আমাদের ঘর বইটা পড়ে কাঁদলাম!

আমার মাও বইটা পড়েছেন। মাকেও আমি কাঁদতে দেখেছি। আঃ! কী একটা বই আমাদের স্যার লিখেছেন।

আমি দেখলাম স্যার ভ্রু কুঁচকে নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন!

এরপরে আমাদের অফিসের বাবলু সাহেব বলা শুরু করলেন। তিনিও উপন্যাসের চরিত্র অসাধারণ হয়েছে এমন একটা বক্তব্য দিলেন।

আমি দেখলাম স্যার উঠে চলে গেছেন! আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে।

ব্যাগের ভিতর থেকে বইটা বের করলাম। খুব সুন্দর একটা বাড়ির ছবি আঁকা প্রচ্ছদ! প্রচ্ছদটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে!

আমি পড়া শুরু করলাম। এ কী এত ঘরবাড়ি বানানোর নিয়ম কানুন লেখা!

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বসের বই বলে কথা

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আমার অফিসের বস একটা বই লিখেছেন। আজ শুনলাম বসের বইয়ের দ্বিতীয় এডিশন শেষ!

বসের একটা বই আমিও কিনেছি। না কিনে উপায় ছিল না বলে। মেলায় গিয়ে ছবি-টবি তুলে বের হয়ে চলে এসেছি।

আমাদের অফিসের সবাই বই কিনেছে সেটা তো বুঝলাম। অফিসে আর কতজন কলিগ হবে পঞ্চাশ জন। এটা ঠিক বস কে খুশি করতে দুয়েকজন কয়েককপি করে কিনেছে!

তাই বলে সেকেন্ড এডিশন শেষ! বসের বই কিন্তু বেস সেলার লিস্টে আছে।

আমি আমার অফিসের কলিগ বন্ধু কে জিজ্ঞেস করলাম, “বসের বইয়ের সেকেন্ড এডিশন নাকি শেষ?”

হালকা হেসে বলল,” শেষ তো হবেই অফিসের আয়াও শুনলাম দুই কপি কিনেছে!”

এ উপলক্ষে আজ একটা পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। পার্টিতে অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন।

প্রথমে বই নিয়ে আলোচনা হবে তারপর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আমাদের অফিসের রুয়েল সাহেব গেলেন প্রথম আলোচনা করতে। স্যারের বইয়ের নাম সম্ভবত আমাদের ঘর। সম্ভবত বললাম কারণ বইয়ের প্যাকেট এখনো খুলা হয়নি!

রুয়েল সাহেব এ পর্যন্ত পঞ্চাশটা বই কিনেছেন। ওনার আত্মীয় স্বজন সবাইকে নাকি উপহার দিয়েছেন।

আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। রুয়েল বলা শুরু করলেন, আমাদের ঘর বইটা বাংলা সাহিত্যের এক বিরাট সম্পদ। এমন উপন্যাস আমি আমার জীবনে পড়িনি!

ছোটোবেলায় এই ঘর এই সংসার ছবি দেখে কেঁদে ছিলাম। এখন আমাদের ঘর বইটা পড়ে কাঁদলাম!

আমার মাও বইটা পড়েছেন। মাকেও আমি কাঁদতে দেখেছি। আঃ! কী একটা বই আমাদের স্যার লিখেছেন।

আমি দেখলাম স্যার ভ্রু কুঁচকে নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন!

এরপরে আমাদের অফিসের বাবলু সাহেব বলা শুরু করলেন। তিনিও উপন্যাসের চরিত্র অসাধারণ হয়েছে এমন একটা বক্তব্য দিলেন।

আমি দেখলাম স্যার উঠে চলে গেছেন! আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে।

ব্যাগের ভিতর থেকে বইটা বের করলাম। খুব সুন্দর একটা বাড়ির ছবি আঁকা প্রচ্ছদ! প্রচ্ছদটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে!

আমি পড়া শুরু করলাম। এ কী এত ঘরবাড়ি বানানোর নিয়ম কানুন লেখা!