বসের বই বলে কথা
- আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৫০১৪ বার পড়া হয়েছে
আমার অফিসের বস একটা বই লিখেছেন। আজ শুনলাম বসের বইয়ের দ্বিতীয় এডিশন শেষ!
বসের একটা বই আমিও কিনেছি। না কিনে উপায় ছিল না বলে। মেলায় গিয়ে ছবি-টবি তুলে বের হয়ে চলে এসেছি।
আমাদের অফিসের সবাই বই কিনেছে সেটা তো বুঝলাম। অফিসে আর কতজন কলিগ হবে পঞ্চাশ জন। এটা ঠিক বস কে খুশি করতে দুয়েকজন কয়েককপি করে কিনেছে!
তাই বলে সেকেন্ড এডিশন শেষ! বসের বই কিন্তু বেস সেলার লিস্টে আছে।
আমি আমার অফিসের কলিগ বন্ধু কে জিজ্ঞেস করলাম, “বসের বইয়ের সেকেন্ড এডিশন নাকি শেষ?”
হালকা হেসে বলল,” শেষ তো হবেই অফিসের আয়াও শুনলাম দুই কপি কিনেছে!”
এ উপলক্ষে আজ একটা পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। পার্টিতে অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন।
প্রথমে বই নিয়ে আলোচনা হবে তারপর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আমাদের অফিসের রুয়েল সাহেব গেলেন প্রথম আলোচনা করতে। স্যারের বইয়ের নাম সম্ভবত আমাদের ঘর। সম্ভবত বললাম কারণ বইয়ের প্যাকেট এখনো খুলা হয়নি!
রুয়েল সাহেব এ পর্যন্ত পঞ্চাশটা বই কিনেছেন। ওনার আত্মীয় স্বজন সবাইকে নাকি উপহার দিয়েছেন।
আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। রুয়েল বলা শুরু করলেন, আমাদের ঘর বইটা বাংলা সাহিত্যের এক বিরাট সম্পদ। এমন উপন্যাস আমি আমার জীবনে পড়িনি!
ছোটোবেলায় এই ঘর এই সংসার ছবি দেখে কেঁদে ছিলাম। এখন আমাদের ঘর বইটা পড়ে কাঁদলাম!
আমার মাও বইটা পড়েছেন। মাকেও আমি কাঁদতে দেখেছি। আঃ! কী একটা বই আমাদের স্যার লিখেছেন।
আমি দেখলাম স্যার ভ্রু কুঁচকে নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন!
এরপরে আমাদের অফিসের বাবলু সাহেব বলা শুরু করলেন। তিনিও উপন্যাসের চরিত্র অসাধারণ হয়েছে এমন একটা বক্তব্য দিলেন।
আমি দেখলাম স্যার উঠে চলে গেছেন! আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে।
ব্যাগের ভিতর থেকে বইটা বের করলাম। খুব সুন্দর একটা বাড়ির ছবি আঁকা প্রচ্ছদ! প্রচ্ছদটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে!
আমি পড়া শুরু করলাম। এ কী এত ঘরবাড়ি বানানোর নিয়ম কানুন লেখা!