বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের সম্ভাবনা
- আপডেট সময় : ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
ফার্মাসিস্ট হলেন একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যিনি ওষুধের প্রস্তুতকরণ, সরবরাহ এবং ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ। তারা চিকিৎসকের প্রস্তাবিত ওষুধ রোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, সঠিক ব্যবহার এবং ডোজ সম্পর্কে পরামর্শ দেন। বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনা গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রসার, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এই পেশায় চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনার কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল:
ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প : বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প একটি দ্রুত বিকাশমান খাত। দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ফলে ওষুধ উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) ফার্মাসিস্টদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
হাসপাতাল ও ক্লিনিক : সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে ফার্মাসিস্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ সরবরাহ, রোগীদের ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা, ওষুধের ডোজ নির্ধারণ এবং ওষুধের মিথস্ক্রিয়া নিরীক্ষণের কাজ ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি : ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি একটি উদীয়মান ক্ষেত্র, যেখানে ফার্মাসিস্টরা সরাসরি রোগীদের ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসকদের সহায়তা করেন। রোগীর সঠিক ওষুধ প্রয়োগ এবং তাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়ার উন্নতিতে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বায়োটেকনোলজি এবং R&D : ফার্মাসিস্টদের গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে নতুন ওষুধ উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে নতুন যৌগ শনাক্তকরণ এবং ফার্মাকোলজিক্যাল গবেষণায়। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি ও গবেষণা খাতেও ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা বাড়ছে।
সরকারি চাকরি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ করা হয়। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ফার্মাসিস্টরা কর্মরত রয়েছেন।
ড. ইশরাত জাহান বুলবুল
সহযোগী অধ্যাপক
ফার্মেসি বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়