ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের সম্ভাবনা

ড. ইশরাত জাহান বুলবুল
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 166
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ফার্মাসিস্ট হলেন একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যিনি ওষুধের প্রস্তুতকরণ, সরবরাহ এবং ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ। তারা চিকিৎসকের প্রস্তাবিত ওষুধ রোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, সঠিক ব্যবহার এবং ডোজ সম্পর্কে পরামর্শ দেন। বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনা গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রসার, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এই পেশায় চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনার কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল:

ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প : বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প একটি দ্রুত বিকাশমান খাত। দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ফলে ওষুধ উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) ফার্মাসিস্টদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

হাসপাতাল ও ক্লিনিক : সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে ফার্মাসিস্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ সরবরাহ, রোগীদের ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা, ওষুধের ডোজ নির্ধারণ এবং ওষুধের মিথস্ক্রিয়া নিরীক্ষণের কাজ ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি : ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি একটি উদীয়মান ক্ষেত্র, যেখানে ফার্মাসিস্টরা সরাসরি রোগীদের ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসকদের সহায়তা করেন। রোগীর সঠিক ওষুধ প্রয়োগ এবং তাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়ার উন্নতিতে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বায়োটেকনোলজি এবং R&D : ফার্মাসিস্টদের গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে নতুন ওষুধ উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে নতুন যৌগ শনাক্তকরণ এবং ফার্মাকোলজিক্যাল গবেষণায়। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি ও গবেষণা খাতেও ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা বাড়ছে।

সরকারি চাকরি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ করা হয়। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ফার্মাসিস্টরা কর্মরত রয়েছেন।

ড. ইশরাত জাহান বুলবুল

সহযোগী অধ্যাপক

ফার্মেসি বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

 

ফার্মাসিস্ট হলেন একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যিনি ওষুধের প্রস্তুতকরণ, সরবরাহ এবং ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ। তারা চিকিৎসকের প্রস্তাবিত ওষুধ রোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, সঠিক ব্যবহার এবং ডোজ সম্পর্কে পরামর্শ দেন। বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনা গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রসার, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এই পেশায় চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনার কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল:

ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প : বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প একটি দ্রুত বিকাশমান খাত। দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ফলে ওষুধ উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) ফার্মাসিস্টদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

হাসপাতাল ও ক্লিনিক : সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে ফার্মাসিস্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ সরবরাহ, রোগীদের ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা, ওষুধের ডোজ নির্ধারণ এবং ওষুধের মিথস্ক্রিয়া নিরীক্ষণের কাজ ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি : ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি একটি উদীয়মান ক্ষেত্র, যেখানে ফার্মাসিস্টরা সরাসরি রোগীদের ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসকদের সহায়তা করেন। রোগীর সঠিক ওষুধ প্রয়োগ এবং তাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়ার উন্নতিতে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বায়োটেকনোলজি এবং R&D : ফার্মাসিস্টদের গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে নতুন ওষুধ উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে নতুন যৌগ শনাক্তকরণ এবং ফার্মাকোলজিক্যাল গবেষণায়। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি ও গবেষণা খাতেও ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা বাড়ছে।

সরকারি চাকরি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ করা হয়। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ফার্মাসিস্টরা কর্মরত রয়েছেন।

ড. ইশরাত জাহান বুলবুল

সহযোগী অধ্যাপক

ফার্মেসি বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়