ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতাবান ইলন মাস্কের সঙ্গে যে আলোচনা হলো ড. ইউনূসের শ্যামল দত্তের অ্যাকাউন্টে ১০৪২ কোটি টাকার লেনদেন কিভাবে পারে এত পাষণ্ড হতে, হাসিনাকে বললেন আসিফ নজরুল জাতিসংঘের রিপোর্ট ‘শেখ হাসিনার নির্দেশেই গুলি’! তসলিমার ‘চুম্বন’ প্রকাশকের জয় বাংলা স্লোগান, মব জাস্টিস উস্কে দেয়ার ভারতীয় প্ল্যান? জরুরি ওষুধেও ব্যবসার ফাঁদ:ওষুধের বাজারে অরাজকতা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৩২: প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মাদ প্রায় শেখ হাসিনা বেনজীরকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারিতে নির্দেশনা শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস শেখ হাসিনার সঙ্গে কী পরিকল্পনা করছিলেন শাওন ? এবার আটক অভিনেত্রী সোহানা সাবা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক শেখ হাসিনার ফাঁদে পড়ে আরও ক্ষয়ে যাচ্ছে আ. লীগ হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী রুবাইয়াত হাসিনার ভাষণের মুখোমুখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন! শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী বলছে আওয়ামী লীগ? হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবন, শানবাঁধানো ঘাট, পুকুর বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ

বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের সম্ভাবনা

ড. ইশরাত জাহান বুলবুল
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 146
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ফার্মাসিস্ট হলেন একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যিনি ওষুধের প্রস্তুতকরণ, সরবরাহ এবং ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ। তারা চিকিৎসকের প্রস্তাবিত ওষুধ রোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, সঠিক ব্যবহার এবং ডোজ সম্পর্কে পরামর্শ দেন। বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনা গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রসার, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এই পেশায় চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনার কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল:

ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প : বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প একটি দ্রুত বিকাশমান খাত। দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ফলে ওষুধ উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) ফার্মাসিস্টদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

হাসপাতাল ও ক্লিনিক : সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে ফার্মাসিস্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ সরবরাহ, রোগীদের ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা, ওষুধের ডোজ নির্ধারণ এবং ওষুধের মিথস্ক্রিয়া নিরীক্ষণের কাজ ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি : ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি একটি উদীয়মান ক্ষেত্র, যেখানে ফার্মাসিস্টরা সরাসরি রোগীদের ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসকদের সহায়তা করেন। রোগীর সঠিক ওষুধ প্রয়োগ এবং তাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়ার উন্নতিতে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বায়োটেকনোলজি এবং R&D : ফার্মাসিস্টদের গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে নতুন ওষুধ উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে নতুন যৌগ শনাক্তকরণ এবং ফার্মাকোলজিক্যাল গবেষণায়। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি ও গবেষণা খাতেও ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা বাড়ছে।

সরকারি চাকরি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ করা হয়। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ফার্মাসিস্টরা কর্মরত রয়েছেন।

ড. ইশরাত জাহান বুলবুল

সহযোগী অধ্যাপক

ফার্মেসি বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

 

ফার্মাসিস্ট হলেন একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যিনি ওষুধের প্রস্তুতকরণ, সরবরাহ এবং ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ। তারা চিকিৎসকের প্রস্তাবিত ওষুধ রোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, সঠিক ব্যবহার এবং ডোজ সম্পর্কে পরামর্শ দেন। বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনা গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রসার, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এই পেশায় চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টদের চাকরির সম্ভাবনার কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল:

ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প : বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প একটি দ্রুত বিকাশমান খাত। দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ফলে ওষুধ উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) ফার্মাসিস্টদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

হাসপাতাল ও ক্লিনিক : সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে ফার্মাসিস্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ সরবরাহ, রোগীদের ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা, ওষুধের ডোজ নির্ধারণ এবং ওষুধের মিথস্ক্রিয়া নিরীক্ষণের কাজ ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি : ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি একটি উদীয়মান ক্ষেত্র, যেখানে ফার্মাসিস্টরা সরাসরি রোগীদের ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসকদের সহায়তা করেন। রোগীর সঠিক ওষুধ প্রয়োগ এবং তাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়ার উন্নতিতে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বায়োটেকনোলজি এবং R&D : ফার্মাসিস্টদের গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে নতুন ওষুধ উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে নতুন যৌগ শনাক্তকরণ এবং ফার্মাকোলজিক্যাল গবেষণায়। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি ও গবেষণা খাতেও ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা বাড়ছে।

সরকারি চাকরি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ করা হয়। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ফার্মাসিস্টরা কর্মরত রয়েছেন।

ড. ইশরাত জাহান বুলবুল

সহযোগী অধ্যাপক

ফার্মেসি বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়