ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

বাড়বে ইন্টারনেটের দাম

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 47
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) নীতিমালা সংশোধন না করে তড়িঘড়ি করে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি)।

অভিযোগ উঠেছে, এই নীতিমালার মাধ্যমে একচেটিয়া মোবাইল ফোন অপাটেরদের হতে টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা তুলে দিতে চলেছে বিটিআরসি। ফলে বাড়বে ইন্টারনেট সেবার দাম।

টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ সালের আলোকে এনটিটিএন নীতিমালা করে বিটিআরসি। যেটির সংশোধনের প্রস্তাব গত দুই বছর ঝুলিয়ে রেখে নতুন ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ ও এনটিটিএন এর মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, এটি টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে। একই সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে পারেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সঙ্গে দেশের ইন্টারনেট সেবার দাম বাড়তে পারে।

দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের হাতে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা তুলে দেওয়ার আয়োজন করতে চলেছে। এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধন না করে প্রয়োজন ছাড়াই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করতে চলেছে।

সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) কমিশন সভায় ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করার আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই এই গাইডলাইন করার কথা জানিয়ে খসড়া ওয়েবসাইটে দেয় বিটিআরসি। এতে মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ শুধু তিনটি মোবাইল অপারেটরের কাছে চলে যাবে।

যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, তিনটিও নয়, ২০০৮ সালের আগের মতো একটিমাত্র মোবাইল অপারেটরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০০৮ সালের আগে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে একটি মোবাইল অপারেটরের একক আধিপত্য ছিল। ওই কোম্পানি ট্রান্সমিশন এবং ব্যান্ডউইথের পাইকারি সরবরাহ করায় আরও তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং ইন্টারেনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানিটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। ওই সময় প্রতি সার্কিট ট্রান্সমিশন সেবার জন্য একটি অপারেটরকে ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। আর প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পরিবহনের জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। এ ছাড়া ভয়েস কলের জন্য আন্তঃসংযোগের ক্ষেত্রে অন্য তিনটি মোবাইল অপারেটরের জন্য মাত্র একশটি শেয়ারিং সার্কিট খোলা রাখা হতো। ফলে সাধারণ অন্য তিনটি অপারেটরদের গ্রাহকরা প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতেন। সে সময় বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও টেলিযোগাযোগ খাত জিম্মি করে রাখা প্রভাবশালী মোবাইল অপারেটর ট্রান্সমিশন সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমায়নি।

এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ খাত বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে নতুন এই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির উদ্যোগ অহেতুক। এটি অনুমোদন পেলে টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। কারণ এর ফলে গত দেড় দশক ধরে টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা দেশীয় এনটিটিএন কোম্পানি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ব্যবসারও দখল নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশে আবারও ২০০৮ সালের আগের মতো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান এনটিটিএন গাইডলাইনের দু-একটি বিষয় মোবাইল অপারেটরদের কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিতর্ক ছিল। এ কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিটিআরসিতে বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ প্রস্তাবের আলোকে বিটিআরসি একটি কমিটি গঠন করে। পরে ওই কমিটি তিনবার পরিবর্তন করা হয়। অথচ ওই নীতিমালা সংশোধন করা হলে এখন এ ধরনের বিতর্কিত ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির প্রয়োজন হতো না।’

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘খসড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, তা বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার সঙ্গে হুবহু এক। এর অর্থ এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনই যথেষ্ট ছিল। সেটা না করে একই ধরনের নতুন একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ কী কারণে হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাড়বে ইন্টারনেটের দাম

আপডেট সময় : ১১:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

 

দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) নীতিমালা সংশোধন না করে তড়িঘড়ি করে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি)।

অভিযোগ উঠেছে, এই নীতিমালার মাধ্যমে একচেটিয়া মোবাইল ফোন অপাটেরদের হতে টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা তুলে দিতে চলেছে বিটিআরসি। ফলে বাড়বে ইন্টারনেট সেবার দাম।

টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ সালের আলোকে এনটিটিএন নীতিমালা করে বিটিআরসি। যেটির সংশোধনের প্রস্তাব গত দুই বছর ঝুলিয়ে রেখে নতুন ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ ও এনটিটিএন এর মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, এটি টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে। একই সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে পারেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সঙ্গে দেশের ইন্টারনেট সেবার দাম বাড়তে পারে।

দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের হাতে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা তুলে দেওয়ার আয়োজন করতে চলেছে। এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধন না করে প্রয়োজন ছাড়াই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করতে চলেছে।

সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) কমিশন সভায় ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করার আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই এই গাইডলাইন করার কথা জানিয়ে খসড়া ওয়েবসাইটে দেয় বিটিআরসি। এতে মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ শুধু তিনটি মোবাইল অপারেটরের কাছে চলে যাবে।

যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, তিনটিও নয়, ২০০৮ সালের আগের মতো একটিমাত্র মোবাইল অপারেটরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০০৮ সালের আগে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে একটি মোবাইল অপারেটরের একক আধিপত্য ছিল। ওই কোম্পানি ট্রান্সমিশন এবং ব্যান্ডউইথের পাইকারি সরবরাহ করায় আরও তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং ইন্টারেনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানিটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। ওই সময় প্রতি সার্কিট ট্রান্সমিশন সেবার জন্য একটি অপারেটরকে ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। আর প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পরিবহনের জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। এ ছাড়া ভয়েস কলের জন্য আন্তঃসংযোগের ক্ষেত্রে অন্য তিনটি মোবাইল অপারেটরের জন্য মাত্র একশটি শেয়ারিং সার্কিট খোলা রাখা হতো। ফলে সাধারণ অন্য তিনটি অপারেটরদের গ্রাহকরা প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতেন। সে সময় বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও টেলিযোগাযোগ খাত জিম্মি করে রাখা প্রভাবশালী মোবাইল অপারেটর ট্রান্সমিশন সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমায়নি।

এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ খাত বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে নতুন এই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির উদ্যোগ অহেতুক। এটি অনুমোদন পেলে টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। কারণ এর ফলে গত দেড় দশক ধরে টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা দেশীয় এনটিটিএন কোম্পানি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ব্যবসারও দখল নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশে আবারও ২০০৮ সালের আগের মতো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান এনটিটিএন গাইডলাইনের দু-একটি বিষয় মোবাইল অপারেটরদের কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিতর্ক ছিল। এ কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিটিআরসিতে বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ প্রস্তাবের আলোকে বিটিআরসি একটি কমিটি গঠন করে। পরে ওই কমিটি তিনবার পরিবর্তন করা হয়। অথচ ওই নীতিমালা সংশোধন করা হলে এখন এ ধরনের বিতর্কিত ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির প্রয়োজন হতো না।’

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘খসড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, তা বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার সঙ্গে হুবহু এক। এর অর্থ এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনই যথেষ্ট ছিল। সেটা না করে একই ধরনের নতুন একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ কী কারণে হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।’