ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

বিয়েতে আংটি প্রথা চালুর উৎপত্তি হলো যেভাবে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 57
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিয়ে মানে এখন যেনো আংটি বদল। এই আংটি বদল এক পরিণত হয়েছে বিয়ের আচারে। চার হাত জোড়া হওয়ার ক্ষণে এই আংটিটি থাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে।পুরো বিশ্বেই রয়েছে এই রীতি। তবে আংটি বদলের সূচনা করেছিল প্রাচীন মিশর। একই সময়ে রোমেও আংটি পরার চলের হদিস মেলে। তবে রোম আর মিশরের আংটির অর্থ ছিলো দুই রকম।

মিশরীয় সভ্যতায় আংটি সুস্বাস্থ্যের প্রতীক। মিশরীয়রা মনে করতে ‘ভেনা অ্যামোরিয়াস’ বা প্রেমের শিরা বাঁ হাতের অনামিকা থেকে হৃৎপিণ্ডে গিয়ে ঠেকেছে। তারা মনে করতো বাঁ হাতের অনামিকায় আংটি পরালে তার টান হৃদয়ে গিয়ে লাগে। সেই সাথে আংটিকে গোলাকৃতিও দেয় মিশরীয়রাও।

আংটি গোল করার পেছনেও মিশরীয়দের ছিলো নিজস্ব ব্যাখ্যা। প্রতিটি আকার বা আকৃতির যেমন ত্রিভুজ বা চতুর্ভুজেরই শুরু ও শেষ থাকে। তবে বৃত্তেরই শুরু বা শেষ নেই। ঠিক সেভাবেই কারো অনামিকায় আংটি পরিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো অন্ততকাল ধরে তার হৃদয়ে নিজের অবস্থান পাকা করা।

অন্যদিকে গ্রিক সভ্যতায় আংটির প্রচলন ছিল মালিকানা সূত্রে। কোনো নারীর হাতে আংটি থাকা মানেই তিনি কোনো না কোনো পুরুষের সম্পদ। প্রথম প্রথম এই আংটি তৈরি করা হতো হাতির দাঁত, বহু রঙের পাথর, তামা কিংবা লোহা দিয়ে। কিছুদিন পরই শুরু হয় স্বর্ণের চল। প্রথম আংটি হিসেবে সোনার ব্যবহার দেখা যায় ‘দ্য লস্ট সিটি’খ্যাত পম্পেইতে।

তবে বিয়েতে আংটির প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। অষ্টম শতকে প্রথম পোপ নিকোলাস ঘোষণা করেন, এখন থেকে আংটি ব্যবহৃত হবে প্রমাণপত্র হিসেবে। কারও হাতে আংটি পরিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো, তাকে বিয়ের প্রস্তাব জানানো। এর পর থেকেই বিয়েতে জনপ্রিয়তা পায় আংটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিয়েতে আংটি প্রথা চালুর উৎপত্তি হলো যেভাবে

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিয়ে মানে এখন যেনো আংটি বদল। এই আংটি বদল এক পরিণত হয়েছে বিয়ের আচারে। চার হাত জোড়া হওয়ার ক্ষণে এই আংটিটি থাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে।পুরো বিশ্বেই রয়েছে এই রীতি। তবে আংটি বদলের সূচনা করেছিল প্রাচীন মিশর। একই সময়ে রোমেও আংটি পরার চলের হদিস মেলে। তবে রোম আর মিশরের আংটির অর্থ ছিলো দুই রকম।

মিশরীয় সভ্যতায় আংটি সুস্বাস্থ্যের প্রতীক। মিশরীয়রা মনে করতে ‘ভেনা অ্যামোরিয়াস’ বা প্রেমের শিরা বাঁ হাতের অনামিকা থেকে হৃৎপিণ্ডে গিয়ে ঠেকেছে। তারা মনে করতো বাঁ হাতের অনামিকায় আংটি পরালে তার টান হৃদয়ে গিয়ে লাগে। সেই সাথে আংটিকে গোলাকৃতিও দেয় মিশরীয়রাও।

আংটি গোল করার পেছনেও মিশরীয়দের ছিলো নিজস্ব ব্যাখ্যা। প্রতিটি আকার বা আকৃতির যেমন ত্রিভুজ বা চতুর্ভুজেরই শুরু ও শেষ থাকে। তবে বৃত্তেরই শুরু বা শেষ নেই। ঠিক সেভাবেই কারো অনামিকায় আংটি পরিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো অন্ততকাল ধরে তার হৃদয়ে নিজের অবস্থান পাকা করা।

অন্যদিকে গ্রিক সভ্যতায় আংটির প্রচলন ছিল মালিকানা সূত্রে। কোনো নারীর হাতে আংটি থাকা মানেই তিনি কোনো না কোনো পুরুষের সম্পদ। প্রথম প্রথম এই আংটি তৈরি করা হতো হাতির দাঁত, বহু রঙের পাথর, তামা কিংবা লোহা দিয়ে। কিছুদিন পরই শুরু হয় স্বর্ণের চল। প্রথম আংটি হিসেবে সোনার ব্যবহার দেখা যায় ‘দ্য লস্ট সিটি’খ্যাত পম্পেইতে।

তবে বিয়েতে আংটির প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। অষ্টম শতকে প্রথম পোপ নিকোলাস ঘোষণা করেন, এখন থেকে আংটি ব্যবহৃত হবে প্রমাণপত্র হিসেবে। কারও হাতে আংটি পরিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো, তাকে বিয়ের প্রস্তাব জানানো। এর পর থেকেই বিয়েতে জনপ্রিয়তা পায় আংটি।