ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৩২: প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মাদ প্রায় শেখ হাসিনা বেনজীরকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারিতে নির্দেশনা শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস শেখ হাসিনার সঙ্গে কী পরিকল্পনা করছিলেন শাওন ? এবার আটক অভিনেত্রী সোহানা সাবা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক শেখ হাসিনার ফাঁদে পড়ে আরও ক্ষয়ে যাচ্ছে আ. লীগ হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী রুবাইয়াত হাসিনার ভাষণের মুখোমুখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন! শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী বলছে আওয়ামী লীগ? হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবন, শানবাঁধানো ঘাট, পুকুর বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ তিতুমীর আন্দোলনের পেছনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনাকে রেখেই ফিরছে আওয়ামী লীগ? শেখ হাসিনাকন্যা পুতুলের আড়াই মিনিটের নাচের ভিডিও ভাইরাল হাসিনার সাথে ভারতে গোপন বৈঠক করলেন ওবায়দুল কাদের লাল গালিচায় খালে নেমে খননের উদ্বোধন তিন উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা হতে রাজি হওয়ার আগে–পরে কী ঘটেছিল, জানালেন ইউনূস

বিয়ের আংটি কেন বাঁ হাতের অনামিকায় পরানো হয়?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 40
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্য কোনো আঙুলে কেন বিয়ে বা বাগদানের আংটি পরানো হয় না? কেন অনামিকাতেই পরানো হয় এটি? কীভাবেই শুরু হলো অনামিকাতে আংটি পরানোর চল? আংটির আকার গোলাকার হওয়ারও বিশেষ কারণ আছে।

প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিশ্বাস করতেন, বাঁ হাতের অনামিকা সরাসরি হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত। যে কারণে তারা এর নাম দিয়েছিলেন ভেনা আমোরিস বা ভালোবাসার ধমনি। এই বিশ্বাসে অনামিকায় আংটি পরানো হতো। দু’টি প্রেমপূর্ণ হৃদয়ের মিলন ঘটত গোলাকার আংটির রূপ ধরে। অবশ্য এই ধমনিতত্ত্বের কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা পাওয়া যায় না। তাই হৃদয়ঘটিত সংযুক্তির আশাও অবান্তর।

চীনা উপকথায় অনামিকা নিয়ে আরেক ধরনের তত্ত্ব আছে। চীনারা বিশ্বাস করে, হাতের পাঁচ আঙুল আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রকাশ করে। এই তত্ত্বের ছোট একটা পরীক্ষাও আছে। আমাদের বুড়ো আঙুল প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের বাবা-মাকে। তর্জনী আমাদের সন্তানদের। মধ্যমা আমাদের নিজেকে। অনামিকায় আছে আমাদের জীবনসঙ্গী। কনিষ্ঠায় আমাদের নাতি-নাতনিরা।

এবার দুই হাতে সবগুলো আঙুলের মাথা পরস্পর স্পর্শ করুন। মধ্যমা আমাদের নিজের চিহ্ন, তাই একে ভাঁজ করে ভেতরের দিকে রাখুন যাতে মধ্যমার গাঁট দুটো লেগে থাকে। এবার এক এক করে ওপরে থাকা আঙুলগুলো আলাদা করার চেষ্টা করুন। বুড়ো আঙুল আলাদা করা যায়, অর্থাৎ আমরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাব। তর্জনী আলাদা করা যায়, মানে আমাদের সন্তানেরাও সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকে না। কনিষ্ঠাও তা-ই, নাতি-নাতনিরাও সারা জীবন পাশে থাকে না।

শুধু পশ্চিমা সংস্কৃতি নয়; অনামিকায় আংটি পরানোর রীতি এখন সারা বিশ্বে সব আঙুল আলাদা করা গেলেও মধ্যমা দুটো ভেতরের দিকে ভাঁজ করে রাখা অবস্থায় কেবল অনামিকা আলাদা করা যায় না। অর্থাৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে হবে সারা জীবন। এ জন্যই অনামিকায় আংটি পরানো হয়।

এসবই তত্ত্ব, উপকথা নেহায়েত যুক্তিহীন বিশ্বাস। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে ভালোবাসা থাকলে যে হাতের যে আঙুলেই আংটি পরেন না কেন, নিশ্চয়ই সুখি জীবন যাপন করবেন। সে আপনাকে আংটি না দিলেও সুখি হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিয়ের আংটি কেন বাঁ হাতের অনামিকায় পরানো হয়?

আপডেট সময় : ০৩:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্য কোনো আঙুলে কেন বিয়ে বা বাগদানের আংটি পরানো হয় না? কেন অনামিকাতেই পরানো হয় এটি? কীভাবেই শুরু হলো অনামিকাতে আংটি পরানোর চল? আংটির আকার গোলাকার হওয়ারও বিশেষ কারণ আছে।

প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিশ্বাস করতেন, বাঁ হাতের অনামিকা সরাসরি হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত। যে কারণে তারা এর নাম দিয়েছিলেন ভেনা আমোরিস বা ভালোবাসার ধমনি। এই বিশ্বাসে অনামিকায় আংটি পরানো হতো। দু’টি প্রেমপূর্ণ হৃদয়ের মিলন ঘটত গোলাকার আংটির রূপ ধরে। অবশ্য এই ধমনিতত্ত্বের কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা পাওয়া যায় না। তাই হৃদয়ঘটিত সংযুক্তির আশাও অবান্তর।

চীনা উপকথায় অনামিকা নিয়ে আরেক ধরনের তত্ত্ব আছে। চীনারা বিশ্বাস করে, হাতের পাঁচ আঙুল আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রকাশ করে। এই তত্ত্বের ছোট একটা পরীক্ষাও আছে। আমাদের বুড়ো আঙুল প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের বাবা-মাকে। তর্জনী আমাদের সন্তানদের। মধ্যমা আমাদের নিজেকে। অনামিকায় আছে আমাদের জীবনসঙ্গী। কনিষ্ঠায় আমাদের নাতি-নাতনিরা।

এবার দুই হাতে সবগুলো আঙুলের মাথা পরস্পর স্পর্শ করুন। মধ্যমা আমাদের নিজের চিহ্ন, তাই একে ভাঁজ করে ভেতরের দিকে রাখুন যাতে মধ্যমার গাঁট দুটো লেগে থাকে। এবার এক এক করে ওপরে থাকা আঙুলগুলো আলাদা করার চেষ্টা করুন। বুড়ো আঙুল আলাদা করা যায়, অর্থাৎ আমরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাব। তর্জনী আলাদা করা যায়, মানে আমাদের সন্তানেরাও সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকে না। কনিষ্ঠাও তা-ই, নাতি-নাতনিরাও সারা জীবন পাশে থাকে না।

শুধু পশ্চিমা সংস্কৃতি নয়; অনামিকায় আংটি পরানোর রীতি এখন সারা বিশ্বে সব আঙুল আলাদা করা গেলেও মধ্যমা দুটো ভেতরের দিকে ভাঁজ করে রাখা অবস্থায় কেবল অনামিকা আলাদা করা যায় না। অর্থাৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে হবে সারা জীবন। এ জন্যই অনামিকায় আংটি পরানো হয়।

এসবই তত্ত্ব, উপকথা নেহায়েত যুক্তিহীন বিশ্বাস। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে ভালোবাসা থাকলে যে হাতের যে আঙুলেই আংটি পরেন না কেন, নিশ্চয়ই সুখি জীবন যাপন করবেন। সে আপনাকে আংটি না দিলেও সুখি হবেন।