বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং কি ও কিভাবে নির্ধারিত হয়?

- আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
- / 108
বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং করে থাকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান Times Higher Education (THE)। এই কাজে THE পাঁচটি প্যারামিটার বা মানদণ্ড ব্যবহার করে। এই মানদন্ডগুলি হলো – ১. শিক্ষাদান (Teaching – the learning environment), ২. গবেষনা (Research environment -volume, income and reputation), ৩. সাইটেশন (Research quality – citation impact, research strength, research excellence and research influence), ৪. আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি (International outlook – staff, students and research) ও ৫. শিল্প আয় (Industry – income and patents)
এই পাঁচটি প্যারামিটার বা মানদণ্ডকে আবার ১৭/১৮ টি উপ-মানদন্ডে বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে র্যাংকিং করা হয়। র্যাংকিং এর জন্য মোট নম্বর হলো ১০০। আবার এই পাঁচটি মানদন্ডের আওতাধীন ১৭-১৮টি উপ-মানদন্ডের জন্য আলাদা আলাদা নম্বর আছে। নীচে এই ১৭/১৮টি মানদন্ড নিয়ে আলোচনা করা হলো –
(১) শিক্ষাদান
শিক্ষাদান মানদণ্ডের জন্য মোট মার্কস বরাদ্দ আছে ২৯.৫%। এই খাতে উপ-মানপদন্ড আছে ৫টি, যথা- (ক) শিক্ষাদানের সুনাম /সুখ্যাতি – এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ১৫%, (খ) শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত। এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ৪.৫%, (গ) ডক্টরেট ডিগ্রীধারী-স্নাতক অনুপাত। এটার জন্য নম্বর বরাদ্দ আছে ২%, (ঘ) ডক্টরেট ডিগ্রী প্রাপ্ত-একাডেমিক স্টাফ অনুপাত। এটার জন্য নম্বর আছে ৫.৫%, (ঙ) প্রাতিষ্ঠানিক আয়- এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ২.৫%।
(২) গবেষণা পরিবেশ
এই মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ২৯%। এটাতে উপ-মানদন্ড আছে ৩টি, যথা – (ক) গবেষনা সুনাম/সুখ্যাতি – এই উপখাতে নম্বর আছে ১৮%, (খ) গবেষনা থেকে আয় – এই উপ খাতে মার্কস বরাদ্দ আছে ৫.৫%, (গ) গবেষনা উৎপাদনশীলতা – এই উপ-মানদন্ডের জন্য নম্বর আছে ৫.৫%।
(৩) গবেষনার গুণগত মান
এর জন্য নম্বর আছে ৩০%। এটি ৪টি উপ-মানদন্ডে বিভক্ত, যথা – (ক) সাইটেশন ইমপ্যাক্ট – এটার জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ১৫%, (খ) গবেষনা শক্তি – এটার জন্য নম্বর আছে ৫%, (গ) গবেষনা উতকর্ষতা – এটার জন্য আছে ৫% নম্বর, (ঘ) গবেষনা প্রভাব – এটার জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ৫%।
(৪) আন্তর্জাতিক আউটলুক
এই মানদন্ডের জন্য নম্বর বরাদ্দ আছে ৭.৫%। এটাকে তিনটি উপ-ধারায় ভাগ করা হয়েছে, যথা – (ক) বিদেশী ছাত্রের অনুপাত – এর জন্য নম্বর আছে ২.৫%, (খ) বিদেশী শিক্ষকের অনুপাত – এর জন্য মার্কস আছে ২.৫%, (গ) বিদেশী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কোলাবরেশন – এর জন্য নম্বর আছে ২.৫%।
(৫) শিল্প
এই খাতে নম্বর আছে ৪%। এখানে উপ ধারা আছে দুইটি, যথা – (ক) শিল্প আয় – এই জন্য আছে ২% নম্বর, (খ) প্যাটেন্ট – এর জন্য আছে ২% নম্বর।
অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরান
ফার্মাসিউটিক্যাল কেমেস্ট্রি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ও
অতিরিক্ত পরিচালক
ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটিলি এসুরেন্স সেল (Institutional Quality Assurance Cell (IQAC)).