ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং কি ও কিভাবে নির্ধারিত হয়?

অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরান
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 108
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং করে থাকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান Times Higher Education (THE)। এই কাজে THE পাঁচটি প্যারামিটার বা মানদণ্ড ব্যবহার করে। এই মানদন্ডগুলি হলো – ১. শিক্ষাদান (Teaching – the learning environment), ২. গবেষনা (Research environment -volume, income and reputation), ৩. সাইটেশন (Research quality – citation impact, research strength, research excellence and research influence), ৪. আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি (International outlook – staff, students and research) ও ৫. শিল্প আয় (Industry – income and patents)

এই পাঁচটি প্যারামিটার বা মানদণ্ডকে আবার ১৭/১৮ টি উপ-মানদন্ডে বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে র‍্যাংকিং করা হয়। র‍্যাংকিং এর জন্য মোট নম্বর হলো ১০০। আবার এই পাঁচটি মানদন্ডের আওতাধীন ১৭-১৮টি উপ-মানদন্ডের জন্য আলাদা আলাদা নম্বর আছে। নীচে এই ১৭/১৮টি মানদন্ড নিয়ে আলোচনা করা হলো –
(১) শিক্ষাদান
শিক্ষাদান মানদণ্ডের জন্য মোট মার্কস বরাদ্দ আছে ২৯.৫%। এই খাতে উপ-মানপদন্ড আছে ৫টি, যথা- (ক) শিক্ষাদানের সুনাম /সুখ্যাতি – এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ১৫%, (খ) শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত। এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ৪.৫%, (গ) ডক্টরেট ডিগ্রীধারী-স্নাতক অনুপাত। এটার জন্য নম্বর বরাদ্দ আছে ২%, (ঘ) ডক্টরেট ডিগ্রী প্রাপ্ত-একাডেমিক স্টাফ অনুপাত। এটার জন্য নম্বর আছে ৫.৫%, (ঙ) প্রাতিষ্ঠানিক আয়- এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ২.৫%।
(২) গবেষণা পরিবেশ
এই মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ২৯%। এটাতে উপ-মানদন্ড আছে ৩টি, যথা – (ক) গবেষনা সুনাম/সুখ্যাতি – এই উপখাতে নম্বর আছে ১৮%, (খ) গবেষনা থেকে আয় – এই উপ খাতে মার্কস বরাদ্দ আছে ৫.৫%, (গ) গবেষনা উৎপাদনশীলতা – এই উপ-মানদন্ডের জন্য নম্বর আছে ৫.৫%।
(৩) গবেষনার গুণগত মান
এর জন্য নম্বর আছে ৩০%। এটি ৪টি উপ-মানদন্ডে বিভক্ত, যথা – (ক) সাইটেশন ইমপ্যাক্ট – এটার জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ১৫%, (খ) গবেষনা শক্তি – এটার জন্য নম্বর আছে ৫%, (গ) গবেষনা উতকর্ষতা – এটার জন্য আছে ৫% নম্বর, (ঘ) গবেষনা প্রভাব – এটার জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ৫%।
(৪) আন্তর্জাতিক আউটলুক
এই মানদন্ডের জন্য নম্বর বরাদ্দ আছে ৭.৫%। এটাকে তিনটি উপ-ধারায় ভাগ করা হয়েছে, যথা – (ক) বিদেশী ছাত্রের অনুপাত – এর জন্য নম্বর আছে ২.৫%, (খ) বিদেশী শিক্ষকের অনুপাত – এর জন্য মার্কস আছে ২.৫%, (গ) বিদেশী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কোলাবরেশন – এর জন্য নম্বর আছে ২.৫%।
(৫) শিল্প
এই খাতে নম্বর আছে ৪%। এখানে উপ ধারা আছে দুইটি, যথা – (ক) শিল্প আয় – এই জন্য আছে ২% নম্বর, (খ) প্যাটেন্ট – এর জন্য আছে ২% নম্বর।

অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরান
ফার্মাসিউটিক্যাল কেমেস্ট্রি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অতিরিক্ত পরিচালক
ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটিলি এসুরেন্স সেল (Institutional Quality Assurance Cell (IQAC)).

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং কি ও কিভাবে নির্ধারিত হয়?

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

 

বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং করে থাকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান Times Higher Education (THE)। এই কাজে THE পাঁচটি প্যারামিটার বা মানদণ্ড ব্যবহার করে। এই মানদন্ডগুলি হলো – ১. শিক্ষাদান (Teaching – the learning environment), ২. গবেষনা (Research environment -volume, income and reputation), ৩. সাইটেশন (Research quality – citation impact, research strength, research excellence and research influence), ৪. আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি (International outlook – staff, students and research) ও ৫. শিল্প আয় (Industry – income and patents)

এই পাঁচটি প্যারামিটার বা মানদণ্ডকে আবার ১৭/১৮ টি উপ-মানদন্ডে বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে র‍্যাংকিং করা হয়। র‍্যাংকিং এর জন্য মোট নম্বর হলো ১০০। আবার এই পাঁচটি মানদন্ডের আওতাধীন ১৭-১৮টি উপ-মানদন্ডের জন্য আলাদা আলাদা নম্বর আছে। নীচে এই ১৭/১৮টি মানদন্ড নিয়ে আলোচনা করা হলো –
(১) শিক্ষাদান
শিক্ষাদান মানদণ্ডের জন্য মোট মার্কস বরাদ্দ আছে ২৯.৫%। এই খাতে উপ-মানপদন্ড আছে ৫টি, যথা- (ক) শিক্ষাদানের সুনাম /সুখ্যাতি – এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ১৫%, (খ) শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত। এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ৪.৫%, (গ) ডক্টরেট ডিগ্রীধারী-স্নাতক অনুপাত। এটার জন্য নম্বর বরাদ্দ আছে ২%, (ঘ) ডক্টরেট ডিগ্রী প্রাপ্ত-একাডেমিক স্টাফ অনুপাত। এটার জন্য নম্বর আছে ৫.৫%, (ঙ) প্রাতিষ্ঠানিক আয়- এই উপ-মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ২.৫%।
(২) গবেষণা পরিবেশ
এই মানদন্ডের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ২৯%। এটাতে উপ-মানদন্ড আছে ৩টি, যথা – (ক) গবেষনা সুনাম/সুখ্যাতি – এই উপখাতে নম্বর আছে ১৮%, (খ) গবেষনা থেকে আয় – এই উপ খাতে মার্কস বরাদ্দ আছে ৫.৫%, (গ) গবেষনা উৎপাদনশীলতা – এই উপ-মানদন্ডের জন্য নম্বর আছে ৫.৫%।
(৩) গবেষনার গুণগত মান
এর জন্য নম্বর আছে ৩০%। এটি ৪টি উপ-মানদন্ডে বিভক্ত, যথা – (ক) সাইটেশন ইমপ্যাক্ট – এটার জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ১৫%, (খ) গবেষনা শক্তি – এটার জন্য নম্বর আছে ৫%, (গ) গবেষনা উতকর্ষতা – এটার জন্য আছে ৫% নম্বর, (ঘ) গবেষনা প্রভাব – এটার জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ৫%।
(৪) আন্তর্জাতিক আউটলুক
এই মানদন্ডের জন্য নম্বর বরাদ্দ আছে ৭.৫%। এটাকে তিনটি উপ-ধারায় ভাগ করা হয়েছে, যথা – (ক) বিদেশী ছাত্রের অনুপাত – এর জন্য নম্বর আছে ২.৫%, (খ) বিদেশী শিক্ষকের অনুপাত – এর জন্য মার্কস আছে ২.৫%, (গ) বিদেশী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কোলাবরেশন – এর জন্য নম্বর আছে ২.৫%।
(৫) শিল্প
এই খাতে নম্বর আছে ৪%। এখানে উপ ধারা আছে দুইটি, যথা – (ক) শিল্প আয় – এই জন্য আছে ২% নম্বর, (খ) প্যাটেন্ট – এর জন্য আছে ২% নম্বর।

অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরান
ফার্মাসিউটিক্যাল কেমেস্ট্রি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অতিরিক্ত পরিচালক
ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটিলি এসুরেন্স সেল (Institutional Quality Assurance Cell (IQAC)).