ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: সাংবাদিকদের নামে মামলা নতুন অডিও ফাঁস : কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সাময়িক বন্ধ

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 44
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম “সাময়িক” বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু রাখার দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করেছেন পাঠকরা। তবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন জানিয়েছেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর মধ্যবর্তী সময় বিবেচনায় কিছু দিন এই সেবা বন্ধ থাকবে।

এক বিবৃতিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র জানিয়েছে, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ২৫ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশবাসীর বুদ্ধিভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করছে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির গাড়ির সংখ্যা ৭৬টি। এই গাড়িগুলো দেশের ৩,২০০ এলাকায় বই দেওয়া-নেওয়া করে, অর্থাৎ সমান সংখ্যক ছোট লাইব্রেরির কাজ করে। এই লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ (নিয়মিত ও অনিয়মিত)। এই বিপুল সংখ্যক গাড়ি পরিচালনার ব্যয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই গাড়ি, বই, ইত্যাদি নিজস্ব হওয়া সত্ত্বেও জনবল ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে কার্যক্রমটি চালাতে হয়।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীতবিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক জানান, গত ছয় বছর ধরে সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কার্যক্রমটিকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে চলেছে। মন্ত্রণালয় এই সহযোগিতা দেয় প্রতি পর্বে দুই বছরের জন্য। প্রথম পর্ব শেষ হলে মন্ত্রণালয় আরও দুই বছর করে দুই বার এই সহযোগিতা দেয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের তৃতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে। কার্যক্রমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয় প্রকল্প মেয়াদের ভিত্তিতে। তাই এর আগের প্রতি পর্বের মতোই ওই ৩১ ডিসেম্বর তারিখে তাদের চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী এবারও তাদের সব প্রাপ্য (চার মাসের অতিরিক্ত বেতনসহ) অর্থ পরিপূর্ণভাবে পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পরিচালক আরও বলেন, “বিগত সরকারের শেষ দিনগুলোতে আমরা জানতে পারি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই প্রকল্পে আর অর্থায়ন করা হবে না। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় নতুন করে আভাস মেলে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আরও দুই বছরের জন্য প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। এসব দোটানার মধ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষে নতুন প্রকল্পের প্রক্রিয়াকরণে সঙ্গত কারণেই কিছুটা সময় লেগেছে। তাই আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের তৃতীয় পর্ব শেষ হলেও যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রকল্পের নতুন পর্বের অনুমোদন পেতে কিছুটা সময় লাগবে। একই কারণে ৩১ ডিসেম্বরের পর এই কার্যক্রমটি কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকবে।”

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীতবিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীত

বিবৃতিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আরও জানায়, “আমরা কথাটি কর্মীদের আগেই জানিয়ে দিয়েছি এবং এই মর্মে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রকল্পটি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পাস করিয়ে আনতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কিছু সংখ্যক কর্মী দাবি করছেন, প্রকল্পের কর্মকাণ্ড একদিনও স্থগিত না রেখে এটিকে অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের সহযোগিতায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কোনও কর্মসূচি নয়। তাছাড়া এত বড় কর্মসূচি দেশব্যাপী চালিয়ে যাওয়ার আর্থিক সঙ্গতিও কেন্দ্রের নেই। কিন্তু ওই কর্মীরা এ ব্যাপারে অবিচল থেকে প্রথমে কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পরে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। আশা করি তারা বাস্তবতা অনুধাবন এবং তাদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সাময়িক বন্ধ

আপডেট সময় : ১১:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম “সাময়িক” বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু রাখার দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করেছেন পাঠকরা। তবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন জানিয়েছেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর মধ্যবর্তী সময় বিবেচনায় কিছু দিন এই সেবা বন্ধ থাকবে।

এক বিবৃতিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র জানিয়েছে, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ২৫ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশবাসীর বুদ্ধিভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করছে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির গাড়ির সংখ্যা ৭৬টি। এই গাড়িগুলো দেশের ৩,২০০ এলাকায় বই দেওয়া-নেওয়া করে, অর্থাৎ সমান সংখ্যক ছোট লাইব্রেরির কাজ করে। এই লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ (নিয়মিত ও অনিয়মিত)। এই বিপুল সংখ্যক গাড়ি পরিচালনার ব্যয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই গাড়ি, বই, ইত্যাদি নিজস্ব হওয়া সত্ত্বেও জনবল ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে কার্যক্রমটি চালাতে হয়।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীতবিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক জানান, গত ছয় বছর ধরে সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কার্যক্রমটিকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে চলেছে। মন্ত্রণালয় এই সহযোগিতা দেয় প্রতি পর্বে দুই বছরের জন্য। প্রথম পর্ব শেষ হলে মন্ত্রণালয় আরও দুই বছর করে দুই বার এই সহযোগিতা দেয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের তৃতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে। কার্যক্রমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয় প্রকল্প মেয়াদের ভিত্তিতে। তাই এর আগের প্রতি পর্বের মতোই ওই ৩১ ডিসেম্বর তারিখে তাদের চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী এবারও তাদের সব প্রাপ্য (চার মাসের অতিরিক্ত বেতনসহ) অর্থ পরিপূর্ণভাবে পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পরিচালক আরও বলেন, “বিগত সরকারের শেষ দিনগুলোতে আমরা জানতে পারি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই প্রকল্পে আর অর্থায়ন করা হবে না। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় নতুন করে আভাস মেলে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আরও দুই বছরের জন্য প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। এসব দোটানার মধ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষে নতুন প্রকল্পের প্রক্রিয়াকরণে সঙ্গত কারণেই কিছুটা সময় লেগেছে। তাই আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের তৃতীয় পর্ব শেষ হলেও যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রকল্পের নতুন পর্বের অনুমোদন পেতে কিছুটা সময় লাগবে। একই কারণে ৩১ ডিসেম্বরের পর এই কার্যক্রমটি কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকবে।”

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীতবিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীত

বিবৃতিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আরও জানায়, “আমরা কথাটি কর্মীদের আগেই জানিয়ে দিয়েছি এবং এই মর্মে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রকল্পটি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পাস করিয়ে আনতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কিছু সংখ্যক কর্মী দাবি করছেন, প্রকল্পের কর্মকাণ্ড একদিনও স্থগিত না রেখে এটিকে অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের সহযোগিতায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কোনও কর্মসূচি নয়। তাছাড়া এত বড় কর্মসূচি দেশব্যাপী চালিয়ে যাওয়ার আর্থিক সঙ্গতিও কেন্দ্রের নেই। কিন্তু ওই কর্মীরা এ ব্যাপারে অবিচল থেকে প্রথমে কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পরে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। আশা করি তারা বাস্তবতা অনুধাবন এবং তাদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন।”