ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন আমি স্যামসাং ব্যবহার করি, স্ক্রিনশট গেছে আইফোনের : জনপ্রশাসন সচিব উন্নয়নের ভ্রান্ত ধারণা: ঋণে ডুবে থাকা দেশ টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে এক দিনেই হাওয়া ৮ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন অবশেষে দেখা মিলল আসাদুজ্জামান কামালের ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ কারাগারে কেমন আছেন ‘ভিআইপি’ বন্দীরা একটি ফোনকল যেভাবে বদলে দিয়েছে ড. ইউনূসের জীবনের গতিপথ ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি বর্তমান উপদেষ্টাদের সঙ্গে নতুন চার-পাঁচজন মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকটি জাতীয় দিবস বাতিল করতে পারে সরকার সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ গায়েব: উপদেষ্টা “প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস: বাংলার গর্ব, বৈশ্বিক সম্প্রীতির প্রতীক” খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা আছে, ফ্যাসিস্ট সাকিবের ক্ষেত্রে অবান্তর: ক্রীড়া উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সম্মেলন থেকে কী অর্জন করলেন? জাতিসংঘে তিন-শুন্যের ধারণা দিলেন ড. ইউনুস যন্ত্রণার নাম ব্যাটারি রিকশা তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে— ড. ইউনূস

বিশ্ব ইজতেমা যে কারণে বাংলাদেশে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিন্তু কিভাবে এই বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের হলো? প্রতি বছর বাংলাদেশেই কেন অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। বিষয়টি নিয়ে জানার আগ্রহ সবার।

মূলত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভির রহ: হাত ধরে উপমহাদেশে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজের সূচনা হয় ১৯২৭ সালে ভারতে। পরে মাওলানা আবদুল আজিজের মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হয় তাবলিগের কাজ। পরে এ কাজ ধীরে ধীরে আরো ব্যাপক হয়ে পড়লে এলাকাভিত্তিক সম্মেলনের পদক্ষেপ নেন মাওলানা ইলিয়াস রহ:।

বিশেষ করে ১৯৪৫ সালে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ভিন্ন ভিন্নভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠানের। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাকরাইল, ভারতের ভুপাল এবং পাকিস্তানের রাইবেন্ডে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ধর্মীয়, সামাজিকসহ অন্যান্য পারিপার্শ্বিক কারণে প্রথম থেকেই বাংলাদেশের ইজতেমার আয়তন অন্য দুই ইজতেমার চেয়ে বেশি ছিল।

বিশাল ব্যাপ্তির আয়োজনের বাইরেও অধিকসংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ, স্বল্প ব্যয়, ভিসার সহজলভ্যতা, সাধারণ মুসলমান তথা এলাকাবাসীর আন্তরিকতা, সামাজিক ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতাসহ সার্বিক অনুকূল পরিবেশের কারণে বাংলাদেশের ইজতেমা সারাবিশ্বের তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সমাদৃত হয়। ফলে ক্রমেই বাংলাদেশের ইজতেমাটি বিশ্ব ইজতেমায় পরিণত হয়।

কেউ কেউ বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব ইজতেমার স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল লটারির মাধ্যমে। তবে তাবলিগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই।

যেভাবে টঙ্গীতে ইজতেমা
বাংলাদেশে প্রথম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে, কাকরাইল মসজিদে। ১৯৪৮ সালে সেটা চলে যায় চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে। ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা। তবে দিন দিন ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের কাছের একটি মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে থাকে।

১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জায়গা নিয়ে এই দৌড়াদৌড়ির অবসান হয় স্বাধীনতার পর। সে সময় সরকার তুরাগ পাড়ের ১৬০ একর জমি এই ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়। সেই থেকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ই হয়ে ওঠে ইজতেমার ঠিকানা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্ব ইজতেমা যে কারণে বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ০৫:১২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

কিন্তু কিভাবে এই বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের হলো? প্রতি বছর বাংলাদেশেই কেন অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। বিষয়টি নিয়ে জানার আগ্রহ সবার।

মূলত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভির রহ: হাত ধরে উপমহাদেশে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজের সূচনা হয় ১৯২৭ সালে ভারতে। পরে মাওলানা আবদুল আজিজের মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হয় তাবলিগের কাজ। পরে এ কাজ ধীরে ধীরে আরো ব্যাপক হয়ে পড়লে এলাকাভিত্তিক সম্মেলনের পদক্ষেপ নেন মাওলানা ইলিয়াস রহ:।

বিশেষ করে ১৯৪৫ সালে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ভিন্ন ভিন্নভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠানের। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাকরাইল, ভারতের ভুপাল এবং পাকিস্তানের রাইবেন্ডে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ধর্মীয়, সামাজিকসহ অন্যান্য পারিপার্শ্বিক কারণে প্রথম থেকেই বাংলাদেশের ইজতেমার আয়তন অন্য দুই ইজতেমার চেয়ে বেশি ছিল।

বিশাল ব্যাপ্তির আয়োজনের বাইরেও অধিকসংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ, স্বল্প ব্যয়, ভিসার সহজলভ্যতা, সাধারণ মুসলমান তথা এলাকাবাসীর আন্তরিকতা, সামাজিক ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতাসহ সার্বিক অনুকূল পরিবেশের কারণে বাংলাদেশের ইজতেমা সারাবিশ্বের তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সমাদৃত হয়। ফলে ক্রমেই বাংলাদেশের ইজতেমাটি বিশ্ব ইজতেমায় পরিণত হয়।

কেউ কেউ বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব ইজতেমার স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল লটারির মাধ্যমে। তবে তাবলিগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই।

যেভাবে টঙ্গীতে ইজতেমা
বাংলাদেশে প্রথম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে, কাকরাইল মসজিদে। ১৯৪৮ সালে সেটা চলে যায় চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে। ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা। তবে দিন দিন ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের কাছের একটি মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে থাকে।

১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জায়গা নিয়ে এই দৌড়াদৌড়ির অবসান হয় স্বাধীনতার পর। সে সময় সরকার তুরাগ পাড়ের ১৬০ একর জমি এই ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়। সেই থেকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ই হয়ে ওঠে ইজতেমার ঠিকানা।