ভবন ভাঙার সঠিক পদ্ধতি

- আপডেট সময় : ১০:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 29
✅একটি ভবন ভাঙা সুপরিকল্পিত ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ।ভবনের কাঠামো, আশপাশের অবকাঠামো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সর্বোচ্চ কম সময়েত মধ্যে ভবন ভাঙার জন্য স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ভবন ভাঙতে হয়।
🔨 ভবন ভাঙার পূর্ববর্তী কাজ:
📌যে কোনো ভবন ভাঙার পূর্বে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই প্রক্রিয়ার ধাপগুলো দেয়া হলো:
📌 ১. স্ট্রাকচারাল অডিট:
🔹 ভবনের বর্তমান অবস্থা, ব্যবহারযোগ্য উপকরণ এবং দুর্বল স্থান চিহ্নিত করতে হবে।
🔹ফাউন্ডেশন, কলাম, বিম এবং স্ল্যাবের ওজন ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে।
🔹ভবনের কন্সট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল অনুযায়ী ডেমোলিশন পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত।
📌 ২. ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস:
🔹ভবনের আশপাশের স্থাপনা, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং সিউইজ লাইন চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
🔹আশপাশে রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া থাকলে কম্পন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা উচিত।
🔹পাবলিক সেফটি নিশ্চিত করতে সাইট ব্যারিকেডিং এবং ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা উচিত।
🔧 ভবন ভাঙার পদ্ধতি (Demolition Methods)
ভবনের উচ্চতা, কাঠামো এবং আশপাশের পরিবেশ অনুযায়ী কয়েকটি পদ্ধতিতে ভবন ভাঙা যেতে পারে
1️⃣ টপ-ডাউন ডেমোলিশন:
🔹 কম্প্যাক্ট এলাকায় (শহরের ভেতরে) এটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।
🔹ভবনের উপরের দিক থেকে ধাপে ধাপে ভাঙা হয়, এক্সকাভেটর বা রিমোট কন্ট্রোলড মেশিন ব্যবহার করে।
🔹কলাম এবং স্ল্যাব ধীরে ধীরে অপসারণ করা হয়।
2️⃣ মেকানিক্যাল ডেমোলিশন:
🔹ভারী যন্ত্রপাতি যেমন বুলডোজার, এক্সকাভেটর, হাইড্রোলিক ব্রেকার, এবং ড্রাম কাটার ব্যবহৃত হয়।
🔹মাঝারি ও উচ্চ-উচ্চতার ভবনের ক্ষেত্রে কার্যকর।
🔹আশপাশের স্থাপনায় কম্পন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
3️⃣ বিস্ফোরক ডেমোলিশন:
🔹বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভবন ধ্বংস করা হয়।
🔹বহুতল ভবন বা নিয়ন্ত্রিত জায়গায় দ্রুত ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হয়।
🔹বিস্ফোরক স্থাপন করা হয় স্ট্রাকচারাল দুর্বল পয়েন্টে।
💥 এটি একটি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতি, যা বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও সরকারি অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব নয়।
⚠️ নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
ভবন ভাঙার সময় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।
📌 ১. শ্রমিক ও সাইট সেফটি:
• শ্রমিকদের হেলমেট, গ্লাভস, রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট, এবং বুট পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
• বিস্ফোরক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাকআপ জোন তৈরি করা হয়।
📌 ২. পাবলিক ও আশপাশের সুরক্ষা:
• ডাস্ট কন্ট্রোলের জন্য ওয়াটার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
• ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সেফটি নেট এবং ব্যারিকেডিং করতে হবে।
• বিস্ফোরক ব্যবহারের সময় সাউন্ড এবং ভাইব্রেশন ড্যাম্পিং সিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে।
💡 সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যা করণীয়:
▪️ অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হবে।
▪️ নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (RAJUK) এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
▪️আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধুলাবালি এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।