ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব

ভবন ভাঙার সঠিক পদ্ধতি

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 29
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

✅একটি ভবন ভাঙা সুপরিকল্পিত ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ।ভবনের কাঠামো, আশপাশের অবকাঠামো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সর্বোচ্চ কম সময়েত মধ্যে ভবন ভাঙার জন্য স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ভবন ভাঙতে হয়।

🔨 ভবন ভাঙার পূর্ববর্তী কাজ:

📌যে কোনো ভবন ভাঙার পূর্বে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই প্রক্রিয়ার ধাপগুলো দেয়া হলো:

📌 ১. স্ট্রাকচারাল অডিট:

🔹 ভবনের বর্তমান অবস্থা, ব্যবহারযোগ্য উপকরণ এবং দুর্বল স্থান চিহ্নিত করতে হবে।

🔹ফাউন্ডেশন, কলাম, বিম এবং স্ল্যাবের ওজন ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে।

🔹ভবনের কন্সট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল অনুযায়ী ডেমোলিশন পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত।

📌 ২. ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস:

🔹ভবনের আশপাশের স্থাপনা, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং সিউইজ লাইন চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

🔹আশপাশে রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া থাকলে কম্পন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা উচিত।

🔹পাবলিক সেফটি নিশ্চিত করতে সাইট ব্যারিকেডিং এবং ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা উচিত।

🔧 ভবন ভাঙার পদ্ধতি (Demolition Methods)

ভবনের উচ্চতা, কাঠামো এবং আশপাশের পরিবেশ অনুযায়ী কয়েকটি পদ্ধতিতে ভবন ভাঙা যেতে পারে

1️⃣ টপ-ডাউন ডেমোলিশন:

🔹 কম্প্যাক্ট এলাকায় (শহরের ভেতরে) এটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।

🔹ভবনের উপরের দিক থেকে ধাপে ধাপে ভাঙা হয়, এক্সকাভেটর বা রিমোট কন্ট্রোলড মেশিন ব্যবহার করে।

🔹কলাম এবং স্ল্যাব ধীরে ধীরে অপসারণ করা হয়।

2️⃣ মেকানিক্যাল ডেমোলিশন:

🔹ভারী যন্ত্রপাতি যেমন বুলডোজার, এক্সকাভেটর, হাইড্রোলিক ব্রেকার, এবং ড্রাম কাটার ব্যবহৃত হয়।

🔹মাঝারি ও উচ্চ-উচ্চতার ভবনের ক্ষেত্রে কার্যকর।

🔹আশপাশের স্থাপনায় কম্পন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

3️⃣ বিস্ফোরক ডেমোলিশন:

🔹বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভবন ধ্বংস করা হয়।

🔹বহুতল ভবন বা নিয়ন্ত্রিত জায়গায় দ্রুত ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হয়।

🔹বিস্ফোরক স্থাপন করা হয় স্ট্রাকচারাল দুর্বল পয়েন্টে।

💥 এটি একটি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতি, যা বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও সরকারি অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব নয়।

⚠️ নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

ভবন ভাঙার সময় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।

📌 ১. শ্রমিক ও সাইট সেফটি:

• শ্রমিকদের হেলমেট, গ্লাভস, রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট, এবং বুট পরিধান করা বাধ্যতামূলক।

• বিস্ফোরক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাকআপ জোন তৈরি করা হয়।

📌 ২. পাবলিক ও আশপাশের সুরক্ষা:

• ডাস্ট কন্ট্রোলের জন্য ওয়াটার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

• ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সেফটি নেট এবং ব্যারিকেডিং করতে হবে।

• বিস্ফোরক ব্যবহারের সময় সাউন্ড এবং ভাইব্রেশন ড্যাম্পিং সিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে।

💡 সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যা করণীয়:

▪️ অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হবে।

▪️ নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (RAJUK) এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

▪️আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধুলাবালি এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভবন ভাঙার সঠিক পদ্ধতি

আপডেট সময় : ১০:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

✅একটি ভবন ভাঙা সুপরিকল্পিত ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ।ভবনের কাঠামো, আশপাশের অবকাঠামো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সর্বোচ্চ কম সময়েত মধ্যে ভবন ভাঙার জন্য স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ভবন ভাঙতে হয়।

🔨 ভবন ভাঙার পূর্ববর্তী কাজ:

📌যে কোনো ভবন ভাঙার পূর্বে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই প্রক্রিয়ার ধাপগুলো দেয়া হলো:

📌 ১. স্ট্রাকচারাল অডিট:

🔹 ভবনের বর্তমান অবস্থা, ব্যবহারযোগ্য উপকরণ এবং দুর্বল স্থান চিহ্নিত করতে হবে।

🔹ফাউন্ডেশন, কলাম, বিম এবং স্ল্যাবের ওজন ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে।

🔹ভবনের কন্সট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল অনুযায়ী ডেমোলিশন পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত।

📌 ২. ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস:

🔹ভবনের আশপাশের স্থাপনা, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং সিউইজ লাইন চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

🔹আশপাশে রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া থাকলে কম্পন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা উচিত।

🔹পাবলিক সেফটি নিশ্চিত করতে সাইট ব্যারিকেডিং এবং ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা উচিত।

🔧 ভবন ভাঙার পদ্ধতি (Demolition Methods)

ভবনের উচ্চতা, কাঠামো এবং আশপাশের পরিবেশ অনুযায়ী কয়েকটি পদ্ধতিতে ভবন ভাঙা যেতে পারে

1️⃣ টপ-ডাউন ডেমোলিশন:

🔹 কম্প্যাক্ট এলাকায় (শহরের ভেতরে) এটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।

🔹ভবনের উপরের দিক থেকে ধাপে ধাপে ভাঙা হয়, এক্সকাভেটর বা রিমোট কন্ট্রোলড মেশিন ব্যবহার করে।

🔹কলাম এবং স্ল্যাব ধীরে ধীরে অপসারণ করা হয়।

2️⃣ মেকানিক্যাল ডেমোলিশন:

🔹ভারী যন্ত্রপাতি যেমন বুলডোজার, এক্সকাভেটর, হাইড্রোলিক ব্রেকার, এবং ড্রাম কাটার ব্যবহৃত হয়।

🔹মাঝারি ও উচ্চ-উচ্চতার ভবনের ক্ষেত্রে কার্যকর।

🔹আশপাশের স্থাপনায় কম্পন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

3️⃣ বিস্ফোরক ডেমোলিশন:

🔹বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভবন ধ্বংস করা হয়।

🔹বহুতল ভবন বা নিয়ন্ত্রিত জায়গায় দ্রুত ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হয়।

🔹বিস্ফোরক স্থাপন করা হয় স্ট্রাকচারাল দুর্বল পয়েন্টে।

💥 এটি একটি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতি, যা বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও সরকারি অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব নয়।

⚠️ নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

ভবন ভাঙার সময় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।

📌 ১. শ্রমিক ও সাইট সেফটি:

• শ্রমিকদের হেলমেট, গ্লাভস, রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট, এবং বুট পরিধান করা বাধ্যতামূলক।

• বিস্ফোরক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাকআপ জোন তৈরি করা হয়।

📌 ২. পাবলিক ও আশপাশের সুরক্ষা:

• ডাস্ট কন্ট্রোলের জন্য ওয়াটার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

• ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সেফটি নেট এবং ব্যারিকেডিং করতে হবে।

• বিস্ফোরক ব্যবহারের সময় সাউন্ড এবং ভাইব্রেশন ড্যাম্পিং সিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে।

💡 সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যা করণীয়:

▪️ অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হবে।

▪️ নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (RAJUK) এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

▪️আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধুলাবালি এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।