ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

মানবিক ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয়ের জীবন কথা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 63
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই গ্রামের কৃতি সন্তান ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয়। বহু গুণের অধিকারী ডাঃ জয় একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি সংগীত রচনায় সিদ্ধহস্ত। ইতোমধ্যে জয় গীতিকা প্রথম খন্ড ও দ্বিতীয় খন্ড নামে দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। দেশের হাল সময়ে ক্রেজ পালা গায়ক কুদ্দুছ বয়াতি,মাখন দেওয়ান,মুকুল সরকার সহ অনেক কন্ঠ শিল্পী তাঁর লেখা গান গেয়ে থাকেন। তিনি নিজেও অবসর সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের অনুরোধে স্বরচিত গান নিজ কন্ঠে পরিবেশন করেন। তিনি উনিশশত বিরাশি সালের চার জানুয়ারী পেমই গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আক্কাস উদ্দিন,মাতার নাম আছিয়া খাতুন। তিনি দুই হাজার সাত সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয় শিক্ষা জীবনে প্রাথমিক শিক্ষা,পেমই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাধ্যমিক পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয়,উচ্চ মাধ্যমিক গুরু দয়াল সরকারী কলেজে সম্পন্ন করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস পাশ করেন।
ডাঃ জয় দুই হাজার দশ সালের পহেলা জুলাই কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে কর্ম জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কেন্দুয়া আদমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং পদোন্নতি পেয়ে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উলপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে সুনামপর সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরে একই পদে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরী করেন। এখান থেকে বদলী জনিত কারণে নেত্রকোনার জেলার খালিয়াজুড়ি পরে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সততা,ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখান বদলী হয়ে এখন অন্য যে কোন উপজেলার জনমানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষমান হিসেবে সদা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন।
ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয় চিকিৎসা সেবায় সফলতার সাথে অনন্য অবদান রাখায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর কর্মজীবনে এটি সবচেয়ে বড় একটি সফলতা।
একান্ত সাক্ষাতকারে ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয় বলেন-ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পাওয়াটাই আমার জীবনের সেরা মুহুর্ত। এছাড়াও চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় নানা শ্রেণী পেশার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে জনমানুষের সেবা করতে পারাটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
তিনি আরও বলেন,আর্ত পীড়িত মানুষের দুঃখ দূর্দশা দেখে ছাত্র জীবনে চিকিৎসক হওয়ার জন্য মনস্থির করি এবং তা কঠিন অধ্যায়নের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।
এ সময় তিনি সকল মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন-সুকর্মের মাধ্যমে প্রত্যেকে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারলেই দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব।
পরিশেষে তিনি বলেন-যতদিন বেঁচে আছি ততদিন চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানবিক ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয়ের জীবন কথা

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই গ্রামের কৃতি সন্তান ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয়। বহু গুণের অধিকারী ডাঃ জয় একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি সংগীত রচনায় সিদ্ধহস্ত। ইতোমধ্যে জয় গীতিকা প্রথম খন্ড ও দ্বিতীয় খন্ড নামে দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। দেশের হাল সময়ে ক্রেজ পালা গায়ক কুদ্দুছ বয়াতি,মাখন দেওয়ান,মুকুল সরকার সহ অনেক কন্ঠ শিল্পী তাঁর লেখা গান গেয়ে থাকেন। তিনি নিজেও অবসর সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের অনুরোধে স্বরচিত গান নিজ কন্ঠে পরিবেশন করেন। তিনি উনিশশত বিরাশি সালের চার জানুয়ারী পেমই গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আক্কাস উদ্দিন,মাতার নাম আছিয়া খাতুন। তিনি দুই হাজার সাত সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয় শিক্ষা জীবনে প্রাথমিক শিক্ষা,পেমই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাধ্যমিক পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয়,উচ্চ মাধ্যমিক গুরু দয়াল সরকারী কলেজে সম্পন্ন করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস পাশ করেন।
ডাঃ জয় দুই হাজার দশ সালের পহেলা জুলাই কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে কর্ম জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কেন্দুয়া আদমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং পদোন্নতি পেয়ে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উলপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে সুনামপর সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরে একই পদে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরী করেন। এখান থেকে বদলী জনিত কারণে নেত্রকোনার জেলার খালিয়াজুড়ি পরে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সততা,ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখান বদলী হয়ে এখন অন্য যে কোন উপজেলার জনমানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষমান হিসেবে সদা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন।
ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয় চিকিৎসা সেবায় সফলতার সাথে অনন্য অবদান রাখায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর কর্মজীবনে এটি সবচেয়ে বড় একটি সফলতা।
একান্ত সাক্ষাতকারে ডাঃ সাইফুল ইসলাম জয় বলেন-ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পাওয়াটাই আমার জীবনের সেরা মুহুর্ত। এছাড়াও চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় নানা শ্রেণী পেশার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে জনমানুষের সেবা করতে পারাটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
তিনি আরও বলেন,আর্ত পীড়িত মানুষের দুঃখ দূর্দশা দেখে ছাত্র জীবনে চিকিৎসক হওয়ার জন্য মনস্থির করি এবং তা কঠিন অধ্যায়নের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।
এ সময় তিনি সকল মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন-সুকর্মের মাধ্যমে প্রত্যেকে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারলেই দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব।
পরিশেষে তিনি বলেন-যতদিন বেঁচে আছি ততদিন চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।