মেট্রোরেলে কত ওজনের ব্যাগ ও বস্তা বহন করা যাবে
- আপডেট সময় : ১১:০২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১১ বার পড়া হয়েছে
মেট্রোরেলে কত ওজনের ব্যাগ, ট্রলি ও বস্তা নিতে পারবেন?
রাজধানীবাসীর চলাচলের অন্যতম প্রধান গণপরিবহন মেট্রোরেল। দ্রুত ও আরামদায়ক যাতায়াতে আধুনিক মেট্রোরেল ব্যবহারে যাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে। রীতিমতো ভিড় ঠেলেই মেট্রোরেলে করে চলাচল করছে যাত্রীরা।
অফিস যাতায়াতসহ নানা কাজে ও নানা জায়গায় যেতে মেট্রোরেল ব্যবহার করে থাকে যাত্রীরা। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। যাতে রয়েছে মেট্রোরেলে ব্যাগ ও বস্তা বহন করা যাবে কি না! তবে কী বহন করা যাবে আর কী যাবে না, এ ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করে দিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ডিএমটিসিএল থেকে জানানো হয়েছে, ট্রলি ব্যাগ ও সাধারণ ব্যাগ বহনের ক্ষেত্রে ব্যাগটির দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৯ ইঞ্চির মধ্যে থাকতে হবে এবং ওজন ১৫ কেজির বেশি হওয়া যাবে না। বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাক মেট্রো ট্রেনের ভেতরে পিঠে বহন না করে হাতে রাখতে হবে।
সব ধরনের মালামালের কার্টন বহনের ক্ষেত্রে কার্টনের আকার দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৮ ইঞ্চি ও উচ্চতা ১৮ ইঞ্চির চেয়ে বড় আকারে বড় হতে পারবে না।
মেট্রোরেলে নির্দিষ্ট আকারের ব্যাগ ও কার্টন বহন করা গেলেও সব ধরনের মালামালের বস্তা (প্লাস্টিক, পাট, মোটা কাপড় ইত্যাদির তৈরি) বহন করা নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া মেট্রোরেলে যেসব জিনিসপত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএমটিসিএল। এগুলো হলো—
জীবজন্তু: যেকোনও পশু-পাখি ও জন্তু (তবে অনুমতি সাপেক্ষে অন্ধদের পথ দেখানোর জন্য প্রশিক্ষিত গাইড কুকুর)।
হিমায়িত খাদ্য দ্রব্য: হিমায়িত সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য (যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, রসালো মিষ্টি, পানি ইত্যাদি) যা থেকে ঘনীভূত পানি পড়ে স্টেশন বা ট্রেন নোংরা হতে পারে এবং গন্ধ ছড়াতে পারে।
কাঁচাবাজার: সব ধরনের কাঁচা শাকসবজি, মাছ-মাংস অথবা পানি ঝরছে বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন কাঁচাবাজারের ব্যাগ, গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন দ্রব্য যেমন শুটকি ইত্যাদি অনাবৃত অবস্থায়।
কৃষি পণ্য: অনাবৃত অবস্থায় সব ধরনের কৃষি পণ্য।
ফল: অনাবৃত/প্যাকিং ছাড়া গন্ধ ছড়ায় অথবা বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন সব ধরনের ফল (যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, বাঙ্গি, তরমুজ, কমলা, আঙুর ইত্যাদি)
খাদ্যসামগ্রী: অনাবৃত/প্যাকেটবিহীন যেকোনও ধরনের খাবার এবং গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন খাবার যেমন পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি।
ফুল ও গাছ: অনাবৃত অবস্থায় তাজা ফুল, ফুলের তোড়া, সব ধরনের গাছের চারা, গাছের টব ইত্যাদি।
ধারালো বস্তু: ছুরি, কাঁচি, দা, বঁটি ও অন্য যেকোনও ধারালো বস্তু।
ধাতব/লৌহ বস্তু: সব ধরনের ধাতব/লৌহ বস্তু যেমন রড, পাইপ, তীক্ষ্ন ও ধারালো প্রান্ত যুক্ত কোনও ধাতব বস্তু, ধাতব বস্তু দ্বারা তৈরি যেকোনও সামগ্রী, ট্রাংক, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি।
মেশিনারী পণ্য: খোলা অবস্থায় সব ধরনের মেশিনারি পণ্য যেমন: ড্রিল মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিন, কাটার মেশিন, পাইপ রেঞ্জ ইত্যাদি।
সিলিন্ডার: সব ধরনের গ্যাস ও এলপিজি সিলিন্ডার।
আগ্নেয়াস্ত্র: যেকোনও ধরনের দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।
খেলাধুলা সামগ্রী: উন্মুক্ত অবস্থায় সব ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী যেমন: ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প, ফুটবল, হকি স্টিক, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট, বাচ্চাদের যেকোনও ধরনের খেলনা ইত্যাদি।
ইলেকট্রনিক্স পণ্য: প্যাকেটবিহীন যেকোনও ইলেকট্রনিকস পণ্য যেমন: ব্লেন্ডার, ওভেন, কেটলি, ওয়াশিং মেশিন, গিজার, কম্পিউটার, মনিটর, প্রিন্টার, ইউপিএস, সাউন্ড বক্স ইত্যাদি।
বাদ্যযন্ত্র: প্যাকেটবিহীন সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র যেমন: হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার, বেহালা ইত্যাদি।
জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ: যেকোনও ধরনের জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ যেমন: পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, তারপিন, অ্যালকোহল, স্প্রে জাতীয় ক্যান ইত্যাদি।
ক্ষয়কারী উপাদান: যেকোনও ধরনের ক্ষয়কারী উপাদান ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য যেমন: গাড়ির ব্যাটারি, আইপিএস, এসিড, পারদ, ক্ষার ইত্যাদি।
বেলুন: গ্যাসভর্তি বেলুন/উড়ন্ত খেলনা।
বাজি ও আতশবাজি: যেকোনও ধরনের বাজি ও আতশবাজি।
নেশাজাতীয়: সব ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য।
এসব ছাড়াও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল সিস্টেম, যাত্রীসাধারণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় মেট্রোরেল স্টেশন ও ট্রেনে বহন নিষিদ্ধ দ্রব্যসামগ্রীর তালিকা প্রয়োজন ও বাস্তবতা অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে।