ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

মেট্রোরেলে যেসব পন্য/সামগ্রী নিষিদ্ধের তালিকা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 150
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

যানজটের নগরী ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য আর্শীবাদ হয়ে এসেছে মেট্রোরেল। দ্রুতগামী হওয়ায় যেকোনো গণপরিবহনের চেয়ে মেট্রোরেল এখন নগরবাসীদের পছন্দের শীর্ষে।

তবে মেট্রোরেলে ব্যাগ ও বস্তা বহনের ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, ট্রলি ব্যাগ ও সাধারণ ব্যাগ বহনের ক্ষেত্রে ব্যাগটির দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৯ ইঞ্চির মধ্যে থাকতে হবে এবং ওজন ১৫ কেজির বেশি হওয়া যাবে না। বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাক মেট্রোরেলের ভেতরে পিঠে বহন না করে হাতে রাখতে হবে।

 

এছাড়া সব ধরনের মালামালের কার্টুন বহনের ক্ষেত্রে কার্টুনটির আকার দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৮ ইঞ্চি ও উচ্চতা ১৮ ইঞ্চির চেয়ে বড় আকারে বড় হতে পারবে না।

মেট্রোরেলে নির্দিষ্ট আকারের ব্যাগ ও কার্টুন বহন করা গেলেও সব ধরনের মালামালের বস্তা (প্লাস্টিক, পাট, মোটা কাপড় ইত্যাদির তৈরি) বহন নিষিদ্ধ।

মেট্রোরেলে যেসব জিনিসপত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে

জীবজন্তু: যেকোনো পশু-পাখি ও জন্তু (তবে অনুমতি সাপেক্ষে অন্ধদের পথ দেখানোর জন্য প্রশিক্ষিত গাইড কুকুর)।

হিমায়িত খাদ্য দ্রব্য: হিমায়িত সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য (যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, রসালো মিষ্টি, পানি ইত্যাদি) যা থেকে ঘনীভূত পানি পড়ে স্টেশন বা ট্রেন নোংরা হতে পারে এবং গন্ধ ছড়াতে পারে।

কাঁচাবাজার: সব ধরনের কাঁচা শাকসবজি, মাছ-মাংস অথবা পানি ঝরছে বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন কাঁচাবাজারের ব্যাগ, গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন দ্রব্য যেমন শুটকি ইত্যাদি অনাবৃত অবস্থায়।

কৃষিপণ্য: অনাবৃত অবস্থায় সব ধরনের কৃষিপণ্য।

ফল: অনাবৃত/প্যাকিং ছাড়া গন্ধ ছড়ায় অথবা বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন সব ধরনের ফল (যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, বাঙ্গি, তরমুজ, কমলা, আঙুর ইত্যাদি)

খাদ্যসামগ্রী: অনাবৃত/প্যাকেটবিহীন যেকোনো ধরনের খাবার এবং গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন খাবার যেমন পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি।

ফুল ও গাছ: অনাবৃত অবস্থায় তাজা ফুল, ফুলের তোড়া, সব ধরনের গাছের চারা, গাছের টব ইত্যাদি।

ধারালো বস্তু: ছুরি, কাঁচি, দা, বঁটি ও অন্য যেকোনও ধারালো বস্তু।

ধাতব/লৌহ বস্তু: সব ধরনের ধাতব/লৌহ বস্তু যেমন রড, পাইপ, তীক্ষ্ন ও ধারালো প্রান্ত যুক্ত কোনো ধাতব বস্তু, ধাতব বস্তু দ্বারা তৈরি যেকোনও সামগ্রী, ট্রাংক, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি।

মেশিনারী পণ্য: খোলা অবস্থায় সব ধরনের মেশিনারি পণ্য যেমন: ড্রিল মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিন, কাটার মেশিন, পাইপ রেঞ্জ ইত্যাদি।

সিলিন্ডার: সব ধরনের গ্যাস ও এলপিজি সিলিন্ডার।

আগ্নেয়াস্ত্র: যেকোনো ধরনের দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।

খেলাধুলা সামগ্রী: উন্মুক্ত অবস্থায় সব ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী যেমন: ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প, ফুটবল, হকি স্টিক, ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট, বাচ্চাদের যেকোনো ধরনের খেলনা ইত্যাদি।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য: প্যাকেটবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিকস পণ্য যেমন: ব্লেন্ডার, ওভেন, কেটলি, ওয়াশিং মেশিন, গিজার, কম্পিউটার, মনিটর, প্রিন্টার, ইউপিএস, সাউন্ড বক্স ইত্যাদি।

বাদ্যযন্ত্র: প্যাকেটবিহীন সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র যেমন: হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার, বেহালা ইত্যাদি।

জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ: যেকোনো ধরনের জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ যেমন: পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, তারপিন, অ্যালকোহল, স্প্রে জাতীয় ক্যান ইত্যাদি।

ক্ষয়কারী উপাদান: যেকোনো ধরনের ক্ষয়কারী উপাদান ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য যেমন: গাড়ির ব্যাটারি, আইপিএস, এসিড, পারদ, ক্ষার ইত্যাদি।

বেলুন: গ্যাসভর্তি বেলুন/উড়ন্ত খেলনা।

বাজি ও আতশবাজি: যেকোনো ধরনের বাজি ও আতশবাজি।

নেশাজাতীয়: সব ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য।

এছাড়া মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল সিস্টেম, যাত্রী সাধারণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় মেট্রোরেল স্টেশন ও ট্রেনে বহন নিষিদ্ধ দ্রব্যসামগ্রীর তালিকা প্রয়োজন ও বাস্তবতা অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মেট্রোরেলে যেসব পন্য/সামগ্রী নিষিদ্ধের তালিকা

আপডেট সময় : ১১:৩৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

যানজটের নগরী ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য আর্শীবাদ হয়ে এসেছে মেট্রোরেল। দ্রুতগামী হওয়ায় যেকোনো গণপরিবহনের চেয়ে মেট্রোরেল এখন নগরবাসীদের পছন্দের শীর্ষে।

তবে মেট্রোরেলে ব্যাগ ও বস্তা বহনের ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, ট্রলি ব্যাগ ও সাধারণ ব্যাগ বহনের ক্ষেত্রে ব্যাগটির দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৯ ইঞ্চির মধ্যে থাকতে হবে এবং ওজন ১৫ কেজির বেশি হওয়া যাবে না। বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাক মেট্রোরেলের ভেতরে পিঠে বহন না করে হাতে রাখতে হবে।

 

এছাড়া সব ধরনের মালামালের কার্টুন বহনের ক্ষেত্রে কার্টুনটির আকার দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৮ ইঞ্চি ও উচ্চতা ১৮ ইঞ্চির চেয়ে বড় আকারে বড় হতে পারবে না।

মেট্রোরেলে নির্দিষ্ট আকারের ব্যাগ ও কার্টুন বহন করা গেলেও সব ধরনের মালামালের বস্তা (প্লাস্টিক, পাট, মোটা কাপড় ইত্যাদির তৈরি) বহন নিষিদ্ধ।

মেট্রোরেলে যেসব জিনিসপত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে

জীবজন্তু: যেকোনো পশু-পাখি ও জন্তু (তবে অনুমতি সাপেক্ষে অন্ধদের পথ দেখানোর জন্য প্রশিক্ষিত গাইড কুকুর)।

হিমায়িত খাদ্য দ্রব্য: হিমায়িত সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য (যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, রসালো মিষ্টি, পানি ইত্যাদি) যা থেকে ঘনীভূত পানি পড়ে স্টেশন বা ট্রেন নোংরা হতে পারে এবং গন্ধ ছড়াতে পারে।

কাঁচাবাজার: সব ধরনের কাঁচা শাকসবজি, মাছ-মাংস অথবা পানি ঝরছে বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন কাঁচাবাজারের ব্যাগ, গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন দ্রব্য যেমন শুটকি ইত্যাদি অনাবৃত অবস্থায়।

কৃষিপণ্য: অনাবৃত অবস্থায় সব ধরনের কৃষিপণ্য।

ফল: অনাবৃত/প্যাকিং ছাড়া গন্ধ ছড়ায় অথবা বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন সব ধরনের ফল (যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, বাঙ্গি, তরমুজ, কমলা, আঙুর ইত্যাদি)

খাদ্যসামগ্রী: অনাবৃত/প্যাকেটবিহীন যেকোনো ধরনের খাবার এবং গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন খাবার যেমন পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি।

ফুল ও গাছ: অনাবৃত অবস্থায় তাজা ফুল, ফুলের তোড়া, সব ধরনের গাছের চারা, গাছের টব ইত্যাদি।

ধারালো বস্তু: ছুরি, কাঁচি, দা, বঁটি ও অন্য যেকোনও ধারালো বস্তু।

ধাতব/লৌহ বস্তু: সব ধরনের ধাতব/লৌহ বস্তু যেমন রড, পাইপ, তীক্ষ্ন ও ধারালো প্রান্ত যুক্ত কোনো ধাতব বস্তু, ধাতব বস্তু দ্বারা তৈরি যেকোনও সামগ্রী, ট্রাংক, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি।

মেশিনারী পণ্য: খোলা অবস্থায় সব ধরনের মেশিনারি পণ্য যেমন: ড্রিল মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিন, কাটার মেশিন, পাইপ রেঞ্জ ইত্যাদি।

সিলিন্ডার: সব ধরনের গ্যাস ও এলপিজি সিলিন্ডার।

আগ্নেয়াস্ত্র: যেকোনো ধরনের দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।

খেলাধুলা সামগ্রী: উন্মুক্ত অবস্থায় সব ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী যেমন: ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প, ফুটবল, হকি স্টিক, ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট, বাচ্চাদের যেকোনো ধরনের খেলনা ইত্যাদি।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য: প্যাকেটবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিকস পণ্য যেমন: ব্লেন্ডার, ওভেন, কেটলি, ওয়াশিং মেশিন, গিজার, কম্পিউটার, মনিটর, প্রিন্টার, ইউপিএস, সাউন্ড বক্স ইত্যাদি।

বাদ্যযন্ত্র: প্যাকেটবিহীন সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র যেমন: হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার, বেহালা ইত্যাদি।

জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ: যেকোনো ধরনের জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ যেমন: পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, তারপিন, অ্যালকোহল, স্প্রে জাতীয় ক্যান ইত্যাদি।

ক্ষয়কারী উপাদান: যেকোনো ধরনের ক্ষয়কারী উপাদান ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য যেমন: গাড়ির ব্যাটারি, আইপিএস, এসিড, পারদ, ক্ষার ইত্যাদি।

বেলুন: গ্যাসভর্তি বেলুন/উড়ন্ত খেলনা।

বাজি ও আতশবাজি: যেকোনো ধরনের বাজি ও আতশবাজি।

নেশাজাতীয়: সব ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য।

এছাড়া মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল সিস্টেম, যাত্রী সাধারণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় মেট্রোরেল স্টেশন ও ট্রেনে বহন নিষিদ্ধ দ্রব্যসামগ্রীর তালিকা প্রয়োজন ও বাস্তবতা অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে