ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’ উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন সি আর আবরার

রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর ঈশ্বর প্রেমের প্রকাশ

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / 0
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে একটা কথাই মনে হয়। এ দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাটা তিনি এক গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে দেখতে পেয়েছিলেন। বহুমুখী ও বিচিত্রমুখী রবীন্দ্র প্রতিভার তুলনা নেই। সাহিত্যের এমন কোনও শাখা নেই আধুনিক জীবনের এমন কোনও অঙ্গ নেই যা নব নব উন্মেষশালিনী রবীন্দ্র প্রতিভার স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেনি।

১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়। তাঁর মাতার নাম সারদাদেবী, গতানুগতিক বিদ্যালয় পড়াশুনা না করলেও গৃহ-শিক্ষক ও গৃহের পরিচর্যা তাঁকে পরবর্তী জীবনে বিশেষভাবে সমৃদ্ধশালী করে তোলে।

কবি সাহিত্যিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ অখন্ড মানবতার সাধক। কত ভাবেই না তাঁর পরিচয় দেওয়া যায়৷ তিনি নোবেল জয়ী বিশ্বকবি, তিনি উপন্যাসিক, তিনি গদ্যকার, তিনি নাট্যকার, তিনিই আবার চিত্রকর। যথার্থই এক বহুমুখী প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠপুত্র রবি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্বটুকু বাদ দিলে রবীন্দ্রনাথ সকল মানুষকেই পরম মানব রূপে চিহ্নিত করেছেন। কবির মতে বাইরে রয়েছে নানা দেশে পোশাকে পরিচ্ছদে ধর্মে আচারে ব্যবহারে নানা ধরণের মানুষ। কিন্তু ভিতরে সবাই একই মানুষ। মানুষের কোন রং নেই, মানবতার দিক থেকে এই বিশিষ্ট চিন্তাধারা থেকে রবীন্দ্র সাহিত্য বিশ্বজনীনতার সুর ফুটে উঠেছে।

রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বর প্রেমের প্রকাশ পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংযমী জীবন ও আধ্যাত্মবাদ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে । পরবর্তী গীতাখ্যপর্বে ‘আমির খোলস থেকে নিজেকে মুক্ত করার প্রয়াস বা ক্রমান্বয়ের সার্থকতা লাভ করে গীতাঞ্জলির শেষ কবিতায় সেখানে তিনি বলেন ‘আমার দেবতা নিল তোমাদের সকলের নাম’। সকলে সাথে আমিকে মিশিয়ে ফেলার যে তীব্র প্রয়াস তা গীতাঞ্জলি থেকে গীতালি এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমণ করে অবশেষে সার্থকতা লাভ করল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর ঈশ্বর প্রেমের প্রকাশ

আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে একটা কথাই মনে হয়। এ দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাটা তিনি এক গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে দেখতে পেয়েছিলেন। বহুমুখী ও বিচিত্রমুখী রবীন্দ্র প্রতিভার তুলনা নেই। সাহিত্যের এমন কোনও শাখা নেই আধুনিক জীবনের এমন কোনও অঙ্গ নেই যা নব নব উন্মেষশালিনী রবীন্দ্র প্রতিভার স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেনি।

১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়। তাঁর মাতার নাম সারদাদেবী, গতানুগতিক বিদ্যালয় পড়াশুনা না করলেও গৃহ-শিক্ষক ও গৃহের পরিচর্যা তাঁকে পরবর্তী জীবনে বিশেষভাবে সমৃদ্ধশালী করে তোলে।

কবি সাহিত্যিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ অখন্ড মানবতার সাধক। কত ভাবেই না তাঁর পরিচয় দেওয়া যায়৷ তিনি নোবেল জয়ী বিশ্বকবি, তিনি উপন্যাসিক, তিনি গদ্যকার, তিনি নাট্যকার, তিনিই আবার চিত্রকর। যথার্থই এক বহুমুখী প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠপুত্র রবি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্বটুকু বাদ দিলে রবীন্দ্রনাথ সকল মানুষকেই পরম মানব রূপে চিহ্নিত করেছেন। কবির মতে বাইরে রয়েছে নানা দেশে পোশাকে পরিচ্ছদে ধর্মে আচারে ব্যবহারে নানা ধরণের মানুষ। কিন্তু ভিতরে সবাই একই মানুষ। মানুষের কোন রং নেই, মানবতার দিক থেকে এই বিশিষ্ট চিন্তাধারা থেকে রবীন্দ্র সাহিত্য বিশ্বজনীনতার সুর ফুটে উঠেছে।

রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বর প্রেমের প্রকাশ পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংযমী জীবন ও আধ্যাত্মবাদ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে । পরবর্তী গীতাখ্যপর্বে ‘আমির খোলস থেকে নিজেকে মুক্ত করার প্রয়াস বা ক্রমান্বয়ের সার্থকতা লাভ করে গীতাঞ্জলির শেষ কবিতায় সেখানে তিনি বলেন ‘আমার দেবতা নিল তোমাদের সকলের নাম’। সকলে সাথে আমিকে মিশিয়ে ফেলার যে তীব্র প্রয়াস তা গীতাঞ্জলি থেকে গীতালি এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমণ করে অবশেষে সার্থকতা লাভ করল।