রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর ঈশ্বর প্রেমের প্রকাশ

- আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / 0
১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়। তাঁর মাতার নাম সারদাদেবী, গতানুগতিক বিদ্যালয় পড়াশুনা না করলেও গৃহ-শিক্ষক ও গৃহের পরিচর্যা তাঁকে পরবর্তী জীবনে বিশেষভাবে সমৃদ্ধশালী করে তোলে।
কবি সাহিত্যিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ অখন্ড মানবতার সাধক। কত ভাবেই না তাঁর পরিচয় দেওয়া যায়৷ তিনি নোবেল জয়ী বিশ্বকবি, তিনি উপন্যাসিক, তিনি গদ্যকার, তিনি নাট্যকার, তিনিই আবার চিত্রকর। যথার্থই এক বহুমুখী প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠপুত্র রবি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্বটুকু বাদ দিলে রবীন্দ্রনাথ সকল মানুষকেই পরম মানব রূপে চিহ্নিত করেছেন। কবির মতে বাইরে রয়েছে নানা দেশে পোশাকে পরিচ্ছদে ধর্মে আচারে ব্যবহারে নানা ধরণের মানুষ। কিন্তু ভিতরে সবাই একই মানুষ। মানুষের কোন রং নেই, মানবতার দিক থেকে এই বিশিষ্ট চিন্তাধারা থেকে রবীন্দ্র সাহিত্য বিশ্বজনীনতার সুর ফুটে উঠেছে।
রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বর প্রেমের প্রকাশ পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংযমী জীবন ও আধ্যাত্মবাদ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে । পরবর্তী গীতাখ্যপর্বে ‘আমির খোলস থেকে নিজেকে মুক্ত করার প্রয়াস বা ক্রমান্বয়ের সার্থকতা লাভ করে গীতাঞ্জলির শেষ কবিতায় সেখানে তিনি বলেন ‘আমার দেবতা নিল তোমাদের সকলের নাম’। সকলে সাথে আমিকে মিশিয়ে ফেলার যে তীব্র প্রয়াস তা গীতাঞ্জলি থেকে গীতালি এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমণ করে অবশেষে সার্থকতা লাভ করল।