ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

রুদ্র ও তসলিমার কাব্যবিতর্ক : দুধরাজ ও সামঞ্জস্য

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 259
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিচ্ছেদের পর রুদ্র এবং তসলিমা পাল্টাপাল্টি দুটো কবিতা লেখে। তসলিমা শুরু করে দুধরাজ কবিতাটি দিয়ে,
উত্তরে রুদ্র লেখে সামঞ্জস্য। দুটি কবিতাই দেয়া হলো

তসলিমার ‘দুধরাজ’
কেউ শখ করে পাখি পোষে/ কেউ-বা কুকুর/ আর আমি এক-পা এগিয়ে গিয়ে/একজন কবিকে স্বগৃহে শখ
করে পালন করেছি/ পাখা নেই, তবু সে উড়াল দেবে/কেশরের কিচ্ছু নেই/তবু সে ঘাড়ের রোঁয়া
ফুলিয়ে দাঁড়াবে/খেতে দিই/বুকের বল্কলে ঢেকে বলি/ঘুম যাও/কবি কি ঘুমায়?/ বিড়াল-নরম হাত
থেকে বের হয় তার ধারালো নখর/আঁচড়ে কামড়ে আমাকেই আহত করে/বাদুড়ের মতো ঝুলে থাকে
আমারই পাঁজরায়/কবি কি ঘুমায়?/ তারচে’ কুকুর পোষা ভাল/ধূর্ত যে শেয়াল, সে-ও পোষ মানে/
দুধকলা দিয়ে আদরে-আহ্লাদে এক কবিকে পুষেছি এতকাল/আমাকে ছোবল মেরে দ্যাখো সেই কবি
আজ কীভাবে পালায়।

এবার রুদ্রের লেখা পাল্টা কবিতা- ‘সামঞ্জস্য’।

তুমি বরং কুকুর পোষো/প্রভুভক্ত খুনশুটিতে কাটবে তোমার নিবিড় সময়/ তোমার জন্য বিড়ালই ঠিক/
বরং তুমি বিড়াল পোষো/ খাঁটি জিনিশ চিনতে তোমার ভুল হয়ে যায়/ খুঁজে এবার পেয়েছো ঠিক দিক
ঠিকানা/ লক্ষী সোনা, এবার তুমি বিড়াল এবং কুকুর পোষো/ শুকোরগুলো তোমার সাথে খাপ খেয়ে
যায়/কাদা ঘাটায় দক্ষতা বেশ সমান সমান/ঘাটাঘাটির ঘটঘটায় তোমাকে খুব তৃপ্ত দেখি/তুমি বরং
ওই পুকুরেই নাইতে নামো/পংক পাবে, জলও পাবে/চুল ভেজারও তেমন কোনো আশংকা নেই/ইচ্ছে মতো
যেমন খুশি নাইতে পারো/ঘোলা পানির আড়াল পেলে/কে আর পাবে তোমার দ্যাখা!/ মাছ
শিকারেও নামতে পারো/তুমি বরং ঘোলা পানির মাছ শিকাওে দ্যাখাও তোমার গভীর মেধা/ তুমি
তোমার স্বভাব গাছে দাঁড়িয়ে পড়ো/নিলিঝিলির স্বপ্ন নিয়ে আর কতো কাল?/শুধু শুধুই মগজে এক
মোহন ব্যাধি/তুমি বরং কুকুর পোষো, বিড়াল পোষো/ কুকুর খুবই প্রভুভক্ত এবং বিড়াল আদর প্রিয়/
তোমার জন্য এমন সামঞ্জস্য তুমি কোথায় পাবে??

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রুদ্র ও তসলিমার কাব্যবিতর্ক : দুধরাজ ও সামঞ্জস্য

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বিচ্ছেদের পর রুদ্র এবং তসলিমা পাল্টাপাল্টি দুটো কবিতা লেখে। তসলিমা শুরু করে দুধরাজ কবিতাটি দিয়ে,
উত্তরে রুদ্র লেখে সামঞ্জস্য। দুটি কবিতাই দেয়া হলো

তসলিমার ‘দুধরাজ’
কেউ শখ করে পাখি পোষে/ কেউ-বা কুকুর/ আর আমি এক-পা এগিয়ে গিয়ে/একজন কবিকে স্বগৃহে শখ
করে পালন করেছি/ পাখা নেই, তবু সে উড়াল দেবে/কেশরের কিচ্ছু নেই/তবু সে ঘাড়ের রোঁয়া
ফুলিয়ে দাঁড়াবে/খেতে দিই/বুকের বল্কলে ঢেকে বলি/ঘুম যাও/কবি কি ঘুমায়?/ বিড়াল-নরম হাত
থেকে বের হয় তার ধারালো নখর/আঁচড়ে কামড়ে আমাকেই আহত করে/বাদুড়ের মতো ঝুলে থাকে
আমারই পাঁজরায়/কবি কি ঘুমায়?/ তারচে’ কুকুর পোষা ভাল/ধূর্ত যে শেয়াল, সে-ও পোষ মানে/
দুধকলা দিয়ে আদরে-আহ্লাদে এক কবিকে পুষেছি এতকাল/আমাকে ছোবল মেরে দ্যাখো সেই কবি
আজ কীভাবে পালায়।

এবার রুদ্রের লেখা পাল্টা কবিতা- ‘সামঞ্জস্য’।

তুমি বরং কুকুর পোষো/প্রভুভক্ত খুনশুটিতে কাটবে তোমার নিবিড় সময়/ তোমার জন্য বিড়ালই ঠিক/
বরং তুমি বিড়াল পোষো/ খাঁটি জিনিশ চিনতে তোমার ভুল হয়ে যায়/ খুঁজে এবার পেয়েছো ঠিক দিক
ঠিকানা/ লক্ষী সোনা, এবার তুমি বিড়াল এবং কুকুর পোষো/ শুকোরগুলো তোমার সাথে খাপ খেয়ে
যায়/কাদা ঘাটায় দক্ষতা বেশ সমান সমান/ঘাটাঘাটির ঘটঘটায় তোমাকে খুব তৃপ্ত দেখি/তুমি বরং
ওই পুকুরেই নাইতে নামো/পংক পাবে, জলও পাবে/চুল ভেজারও তেমন কোনো আশংকা নেই/ইচ্ছে মতো
যেমন খুশি নাইতে পারো/ঘোলা পানির আড়াল পেলে/কে আর পাবে তোমার দ্যাখা!/ মাছ
শিকারেও নামতে পারো/তুমি বরং ঘোলা পানির মাছ শিকাওে দ্যাখাও তোমার গভীর মেধা/ তুমি
তোমার স্বভাব গাছে দাঁড়িয়ে পড়ো/নিলিঝিলির স্বপ্ন নিয়ে আর কতো কাল?/শুধু শুধুই মগজে এক
মোহন ব্যাধি/তুমি বরং কুকুর পোষো, বিড়াল পোষো/ কুকুর খুবই প্রভুভক্ত এবং বিড়াল আদর প্রিয়/
তোমার জন্য এমন সামঞ্জস্য তুমি কোথায় পাবে??