ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব: অবহেলার অবসান প্রয়োজন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 154
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যে সমস্ত সম্মানিত প্রফেসরদের গায়ের জোরে ৪ বছরের বি. ফার্ম ডিগ্রি ৫ বছর করা হল, ৬ মাসের হসপিটাল ইন্টার্নশিপ চাপিয়ে দেওয়া হল তারা এখনো চুপ।

স্বাস্থ্যব্যাবস্থা রিফর্ম করতে শুধু ডাক্তার প্রফেসররা কেন আপনারা কই?

ডাক্তারের কাজ ডাক্তার করবেন কিন্তু ঔষধ উৎপাদন থেকে শুরু করে রোগীর হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে ফার্মাসিস্টের যে ভুমিকা থাকবে সেটি কি ডাক্তাররা ঠিক করবে? আপনাদের কোনো দায়িত্ব নেই?

স্বাস্থ্যব্যবস্থার রিফর্ম বা সংস্কারে সাধারণত ডাক্তার ও প্রফেসররা মূল ভূমিকা পালন করেন, কারণ তারা চিকিৎসা শিক্ষার পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল দিকগুলোতে কাজ করেন। তবে, ফার্মাসিস্টরাও এই প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, কিন্তু তাদের ভূমিকা এবং অংশগ্রহণ অনেক ক্ষেত্রেই কম স্বীকৃত বা উপেক্ষিত হয়। এর কিছু কারণ হতে পারে:

1. নীতি নির্ধারণে কম প্রতিনিধিত্ব: স্বাস্থ্যব্যবস্থার নীতি নির্ধারণ ও সংস্কারের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। বেশিরভাগ নীতি নির্ধারক কমিটি বা বোর্ডে চিকিৎসক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য বেশি থাকে।

2. জনসচেতনতার অভাব: অনেকেই ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা শুধু ওষুধ বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করেন। তাদের বিশেষজ্ঞতা ও রোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নয়। অথচ ওষুধের সঠিক ব্যবহার, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও রোগ প্রতিরোধে ফার্মাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

3. প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থনের অভাব: ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অনেক সময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবমূল্যায়িত হয়। তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র নীতিনির্ধারক হিসেবে তেমন স্থান পায় না, যদিও তাদের ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

4. সমন্বিত কাজের অভাব: চিকিৎসক, নার্স এবং ফার্মাসিস্টদের মধ্যে সমন্বয়মূলক কাজের ঘাটতি রয়েছে। যদিও ফার্মাসিস্টদের জন্য ওষুধ সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, অনেক সময় সেই সুযোগ তৈরি হয় না।

 

ফার্মাসিস্টদের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হলে তাদেরকে নীতি নির্ধারণে আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এবং তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য সঠিক সুযোগ ও সমর্থন প্রদান করতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব: অবহেলার অবসান প্রয়োজন

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যে সমস্ত সম্মানিত প্রফেসরদের গায়ের জোরে ৪ বছরের বি. ফার্ম ডিগ্রি ৫ বছর করা হল, ৬ মাসের হসপিটাল ইন্টার্নশিপ চাপিয়ে দেওয়া হল তারা এখনো চুপ।

স্বাস্থ্যব্যাবস্থা রিফর্ম করতে শুধু ডাক্তার প্রফেসররা কেন আপনারা কই?

ডাক্তারের কাজ ডাক্তার করবেন কিন্তু ঔষধ উৎপাদন থেকে শুরু করে রোগীর হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে ফার্মাসিস্টের যে ভুমিকা থাকবে সেটি কি ডাক্তাররা ঠিক করবে? আপনাদের কোনো দায়িত্ব নেই?

স্বাস্থ্যব্যবস্থার রিফর্ম বা সংস্কারে সাধারণত ডাক্তার ও প্রফেসররা মূল ভূমিকা পালন করেন, কারণ তারা চিকিৎসা শিক্ষার পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল দিকগুলোতে কাজ করেন। তবে, ফার্মাসিস্টরাও এই প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, কিন্তু তাদের ভূমিকা এবং অংশগ্রহণ অনেক ক্ষেত্রেই কম স্বীকৃত বা উপেক্ষিত হয়। এর কিছু কারণ হতে পারে:

1. নীতি নির্ধারণে কম প্রতিনিধিত্ব: স্বাস্থ্যব্যবস্থার নীতি নির্ধারণ ও সংস্কারের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। বেশিরভাগ নীতি নির্ধারক কমিটি বা বোর্ডে চিকিৎসক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য বেশি থাকে।

2. জনসচেতনতার অভাব: অনেকেই ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা শুধু ওষুধ বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করেন। তাদের বিশেষজ্ঞতা ও রোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নয়। অথচ ওষুধের সঠিক ব্যবহার, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও রোগ প্রতিরোধে ফার্মাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

3. প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থনের অভাব: ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অনেক সময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবমূল্যায়িত হয়। তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র নীতিনির্ধারক হিসেবে তেমন স্থান পায় না, যদিও তাদের ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

4. সমন্বিত কাজের অভাব: চিকিৎসক, নার্স এবং ফার্মাসিস্টদের মধ্যে সমন্বয়মূলক কাজের ঘাটতি রয়েছে। যদিও ফার্মাসিস্টদের জন্য ওষুধ সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, অনেক সময় সেই সুযোগ তৈরি হয় না।

 

ফার্মাসিস্টদের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হলে তাদেরকে নীতি নির্ধারণে আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এবং তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য সঠিক সুযোগ ও সমর্থন প্রদান করতে হবে।