ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

২ লাখ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন জয়

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 137
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সান্নিধ্য পাওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ওয়াশিংটন ডিসির বিশিষ্ট লবিং ফার্ম স্ট্রাইক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির সঙ্গে দুই লাখ ডলারে চুক্তি করেছেন তিনি।
স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির সঙ্গে করা তার এই চুক্তি মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির চেয়ারম্যান রবার্ট স্ট্রেকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন ওয়াজেদ ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব ওয়াজেদ। এতে আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচারবিভাগের কাছে তুলে ধরবে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬ মাস। চুক্তির আওতায় লবিস্ট ফার্ম পাচ্ছে ২ লাখ মার্কিন ডলার (২ কোটি ৪০ লাখ টাকা)।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে লবিস্ট নিয়োগের আলোচনায় প্রায়ই সরগরম হয় রাজনৈতিক ময়দান। টানা দেড় দশক ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতার অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব বিস্তারে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পলাতক-গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পরিস্থিতি উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মার্কিন নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরবে লবিস্ট ফার্ম। যেখানে খরচ হবে দুই লাখ ডলার। গেল ১২ সেপ্টেম্বর ৬ মাসের জন্য এই চুক্তি হয়।
২০০৪ সালে ‘অ্যালকাটেল অ্যান্ড ফা’ নামের এক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যেখানে বলা হয়েছিল জঙ্গিবাদের প্রসারে কাজ করছে বিএনপি। ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ তা দমন করবে। আর ২০১৯ সালে ব্লুস্টার স্ট্যাটেজিস-সহ একাধিক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে বিএনপি। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় গণতন্ত্র হত্যা করছে আওয়ামী লীগ।
চায়ের বাজার থেকে তৈরি পোশাক বা যেকোন পণ্যের বাজার ধরতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম মাধ্যম লবিস্ট ফার্ম। দেশটির বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ইস্যুতে অন্তত ৩৭৬টি লবিস্ট ফাইলের সন্ধান মিলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

২ লাখ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন জয়

আপডেট সময় : ১১:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সান্নিধ্য পাওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ওয়াশিংটন ডিসির বিশিষ্ট লবিং ফার্ম স্ট্রাইক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির সঙ্গে দুই লাখ ডলারে চুক্তি করেছেন তিনি।
স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির সঙ্গে করা তার এই চুক্তি মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির চেয়ারম্যান রবার্ট স্ট্রেকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন ওয়াজেদ ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব ওয়াজেদ। এতে আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচারবিভাগের কাছে তুলে ধরবে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬ মাস। চুক্তির আওতায় লবিস্ট ফার্ম পাচ্ছে ২ লাখ মার্কিন ডলার (২ কোটি ৪০ লাখ টাকা)।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে লবিস্ট নিয়োগের আলোচনায় প্রায়ই সরগরম হয় রাজনৈতিক ময়দান। টানা দেড় দশক ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতার অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব বিস্তারে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পলাতক-গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পরিস্থিতি উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মার্কিন নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরবে লবিস্ট ফার্ম। যেখানে খরচ হবে দুই লাখ ডলার। গেল ১২ সেপ্টেম্বর ৬ মাসের জন্য এই চুক্তি হয়।
২০০৪ সালে ‘অ্যালকাটেল অ্যান্ড ফা’ নামের এক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যেখানে বলা হয়েছিল জঙ্গিবাদের প্রসারে কাজ করছে বিএনপি। ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ তা দমন করবে। আর ২০১৯ সালে ব্লুস্টার স্ট্যাটেজিস-সহ একাধিক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে বিএনপি। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় গণতন্ত্র হত্যা করছে আওয়ামী লীগ।
চায়ের বাজার থেকে তৈরি পোশাক বা যেকোন পণ্যের বাজার ধরতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম মাধ্যম লবিস্ট ফার্ম। দেশটির বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ইস্যুতে অন্তত ৩৭৬টি লবিস্ট ফাইলের সন্ধান মিলেছে।