ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

৪ নেতাকে নিয়ে হাসিনার নতুন রাজনীতি

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / 139
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল খুনিচক্র।প্রতিবছর জাতীয় জীবনে ৩ নভেম্বর ফিরে এলে জাতীয় চার নেতা সর্বজনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানের আত্মত্যাগ জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোয় সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।জাতীয় চার নেতাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তভুক্তি নিয়ে সোহেল তাজ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করলেও শেখ হাসিনা সরকার তা আমলে নেয় নি।উপরুন্ত পাঠ্যবইগুলো ছিল শেখ মুজিব আর শেখ হাসিনার গুণকীর্তনে ভরা।সর্বশেষ সোহেল তাজ এ জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুকের মাধ্যমে জানান,

রবিবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস। বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, শোক পালনের অধিকার নেই। পঁচাত্তরের পরেও কুচক্রিমহল একই পরিবেশ তৈরি করেছিল। আজ প্রশ্ন জাগে, মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল?’

আরও বলা হয়, আমাদের জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ৩ নভেম্বর। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাত্র তিন মাসের মধ্যে এইদিনে শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমি জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

তিনি বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ’৭৫-এর সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতদাতারা বিভিন্ন সময়ে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আত্মস্বীকৃত খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেও রক্ষা করতে পারেনি। হত্যাকারীদের বিচারের বদলে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে এবং রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বরাবরই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা করেছে। কিন্তু দিনশেষে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।

তার এই বক্তব্যের পরই দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া।জনগণ বলছেন এই খুনি হাসিনা জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছেন।হাসিনার আমলে এই জাতীয় চার নেতাকে কখনই গুরত্ব দেয় নি হাসিনা।তার আমলে কখনই গুরত্ব সহকারে পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায় নি জাতীয় এই চার নেতার অবদান।সর্বশেষ জাতীয় এই চার নেতাকে নিয়ে হাসিনার বিবৃতিকে মানুষ দেখছে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৪ নেতাকে নিয়ে হাসিনার নতুন রাজনীতি

আপডেট সময় : ১১:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

 

১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল খুনিচক্র।প্রতিবছর জাতীয় জীবনে ৩ নভেম্বর ফিরে এলে জাতীয় চার নেতা সর্বজনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানের আত্মত্যাগ জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোয় সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।জাতীয় চার নেতাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তভুক্তি নিয়ে সোহেল তাজ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করলেও শেখ হাসিনা সরকার তা আমলে নেয় নি।উপরুন্ত পাঠ্যবইগুলো ছিল শেখ মুজিব আর শেখ হাসিনার গুণকীর্তনে ভরা।সর্বশেষ সোহেল তাজ এ জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুকের মাধ্যমে জানান,

রবিবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস। বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, শোক পালনের অধিকার নেই। পঁচাত্তরের পরেও কুচক্রিমহল একই পরিবেশ তৈরি করেছিল। আজ প্রশ্ন জাগে, মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল?’

আরও বলা হয়, আমাদের জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ৩ নভেম্বর। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাত্র তিন মাসের মধ্যে এইদিনে শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমি জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

তিনি বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ’৭৫-এর সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতদাতারা বিভিন্ন সময়ে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আত্মস্বীকৃত খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেও রক্ষা করতে পারেনি। হত্যাকারীদের বিচারের বদলে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে এবং রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বরাবরই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা করেছে। কিন্তু দিনশেষে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।

তার এই বক্তব্যের পরই দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া।জনগণ বলছেন এই খুনি হাসিনা জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছেন।হাসিনার আমলে এই জাতীয় চার নেতাকে কখনই গুরত্ব দেয় নি হাসিনা।তার আমলে কখনই গুরত্ব সহকারে পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায় নি জাতীয় এই চার নেতার অবদান।সর্বশেষ জাতীয় এই চার নেতাকে নিয়ে হাসিনার বিবৃতিকে মানুষ দেখছে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে।