ঢাকাশুক্রবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইতিহাস ঐতিয্য
  3. ইসলাম
  4. কর্পোরেট
  5. খেলার মাঠে
  6. জাতীয়
  7. জীবনযাপন
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নারী কন্ঠ
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. ফার্মাসিস্ট কর্নার
  13. ফিচার
  14. ফ্যাশন
  15. বিনোদন

উপনির্বাচন কী বার্তা দিলো?

ডেস্ক নিউজ
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ ১২:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় আগে হয়ে গেল ৬টি আসনে উপনির্বাচন। নানা কারণে আলোচনায় ছিল এই নির্বাচন। বিএনপি’র এমপিদের ছেড়ে দেয়া এই আসনগুলোতে কেমন নির্বাচন হয় তা দেখতে উদগ্রীব ছিলেন অনেকে। কিন্তু ভোটের আগের নানা তৎপরতায় সেই আগ্রহ আগেই হারিয়ে ফেলেছিলেন কেউ কেউ। বুধবার ভোটের চিত্র আরও হতাশ করেছে অনেককে। তবে গুরুত্বহীন হলেও এই নির্বাচন কিছু বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ভোটে যে মানুষের আগ্রহ নেই তা এই নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। এ ছাড়া বগুড়া-৪ আসনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ভোটের ফল পাল্টানোর যে অভিযোগ করেছেন এটিও গুরুতর অভিযোগ বলে মনে করছেন অনেকে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি’র দলছুট উকিল আবদুস সাত্তারকে জিতিয়ে আনতে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়েও নানা আলোচনা হচ্ছে। অন্য প্রার্থীদের সরিয়ে দিয়ে এই আসনেরই ৫ বারের এমপি সাবেক বিএনপি নেতাকে সমর্থন দিয়ে এমপি করার দলীয় কৌশল সামনে জাতীয় নির্বাচনের সময় নতুন কোনো তরিকা হয়ে উঠে কি-না এ নিয়েও আছে কৌতুহল।

উপনির্বাচনে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ভোটার উপস্থিতি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচনে মাত্র ১৬ ভাগ ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার বার বার এমপি হয়েছেন। তার সঙ্গে ছিল আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলের সমর্থন। এমন অবস্থায় তার পক্ষে যে ভোট পড়েছে তা একেবারেই নগণ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এত অল্প ভোট পড়ায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে যাননি কেন। বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আগে থেকেই তারা নির্বাচন বর্জন করে আসছে। তাদের দাবি বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় বিএনপি’র দলছুট ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের সমর্থন। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরি। দলীয় প্রার্থীদের বসিয়ে দেয়া এবং ভোটের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এসব বিষয় বিরোধীদের দাবিকেই জোরালো করেছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।
এ ছাড়া ইভিএমের বিষয়ে বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগ ও আপত্তি জানিয়ে আসছে বগুড়া-৪ আসনে হিরো আলমের অভিযোগ তা আরও জোরালো করেছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সর্বশেষ বগুড়ায় যে অভিযোগ এসেছে তা তদন্তে সিইসি নির্দেশ দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার সকালে জানা গেলেও একই দিন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এটিকে স্বাভাবিক অভিযোগ হিসেবেই দেখছেন তিনি।
৬ আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়ার আসলে কিছু নেই। এর কারণ এটা কোনো নির্বাচনই না। এই নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো আগ্রহ ছিল না। এর কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই নির্বাচনের কোনো তাৎপর্য ছিল বলে আমি মনে করি না। একটি দল পদত্যাগ করে সিট খালি করেছে। সংবিধান মোতাবেক ভোট হয়েছে। কোথায় ১৫ শতাংশ, কোথাও ১৬ কিংবা ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে মানুষের কোনো আগ্রহ ছিল না বিধায় ভোট দিতে আসে নাই। এই নির্বাচনের মধ্যে নতুনত্ব কিছু দেখি না। একে জিতাবো, ওকে জিতাবো না, হারায় দেবোÑ এগুলোই তো হয়েছে। এসব নির্বাচনের কোনো মূল্য আছে বলে আমার মনে হয় না।
বিএনপি’র ছেড়ে দেয়া ৬টি আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এসব আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ২৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম।

এর আগে গত ৪ঠা জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৮ শতাংশের কিছু বেশি। গত বছরের নভেম্বরে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনেও ২৬ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে।
নির্বাচন হওয়া ৬ আসনের তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বাকি একটিতে জাতীয় পার্টি ও অন্যটিতে জাসদের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। একটি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অনেকটা নিয়ম রক্ষার এ নির্বাচনের আগে প্রার্থী দেয়া নিয়েও রাজনৈতিক কৌশল নেয়া হয়েছিল। এই কৌশলের কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের কেউ কেউ নাখোশ ছিলেন। ভোট কম পড়ার এটিও একটি কারণ।

বগুড়া-৪ আসনের পরাজিত প্রার্থী হিরো আলম ভোট চুরি হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি দাবি করেছেন ভোটের ফল চুরি হয়েছে। তিনি এও দাবি করেছেন বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুননেছা ভোট শেষে বলেছেন, মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে নীরব প্রতিবাদ করেছে। কারণ শুরু থেকে ভোটের পরিবেশ ছিল না। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভোট করার যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল তা মানুষ গ্রহণ করেনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো । বিডিসারাদিন২৪'এ প্রকাশিত নারীকন্ঠ,মতামত লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত বিডিসারাদিন২৪ 'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় বিডিসারাদিন২৪ কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। বিডিসারাদিন২৪ 'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।