গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কেন্দুয়ায় লাভের আশায় কৃষক
- আপডেট সময় : ০১:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
 - / 137
 
হৃদয় চাঁদ,কেন্দুয়া,নেত্রকোনাঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের পাতারিয়া গ্রামের কৃষক মো. সুমন মিয়া মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে লাভের আশায় দিন গুনছেন ।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় তিনি এই প্রথম ৩৩/৪০ শতাংশ জমিতে সুপার কুইন তরমুজ চাষ করেছেন । প্রায় ৯০হাজার টাকা খরচে মোট ৬৫দিনে ফসল উৎপাদন করে বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি । ইতোমধ্যে নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারী ক্রতারা যোগাযোগ শুরু করেছেন ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালচিং ও মাচা পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে । গড় প্রতি এক একটি তরমুজের ওজন ২কেজি । ৫কেজি পর্যন্ত রয়েছে সর্বোচ্চ ওজন ।
কৃষক মো. সুমন মিয়া বলেন, মালচিং পদ্ধতির চাষে ঝুঁকি কম । তাছাড়া আমি উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ও পরিশ্রমে কেজি প্রতি ৫০টাকা করে হলেও ব্যয় বাদে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মতো লাভের আশা করছি । তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীতেও এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করবো ।
কৃষি উপসহকারী ইকবাল আকন্দ রনি বলেন, এই গ্রীষ্মকালীন ফলনটি উচ্চ মূল্যের লাভজনক ফসল । আমারা চেষ্টা করছি , আগামীতে আরো বেশী আকারে উৎপাদন বৃদ্ধি করার ।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার জানান, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এই তরমুজ চাষ করা হয়েছে । এই ফসল উৎপাদনে অল্প খরচে কৃষক বেশি লাভবান হয় । কৃষক সুমন মিয়া ছাড়াও অন্য কৃষকরাও ইতোমধ্যে এই তরমুজ চাষ শুরু করেছেন ।





