ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা!

চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতীদের বিধিনিষেধ নিয়ে ইসলাম কী বলে?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 119
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ ঘিরে পৃথিবীর অনেক দেশেই নানারকম ধারণা প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতীদের জন্য অনেক বিধিনিষেধ প্রচলিত। যেগুলো সম্পূর্ণই কুসংস্কার। ইসলামে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণকে সাধারণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটা আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন। চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের বিশেষ কোনো সমস্যা হয় বা তারা কোনো ঝুঁকিতে থাকেন, এমন কিছুই বলা হয়নি ইসলামে। বরং চন্দ্রগ্রহণের সময় আল্লাহর প্রতি আরও বেশি নিবিষ্ট হওয়া, ইবাদত করা এবং তাঁর কুদরত নিয়ে চিন্তাভাবনা করাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ মহান আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি। এগুলো কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সংঘটিত হয় না। সুতরাং তোমরা যখন এদের দেখতে পাও, তখন নামাজ পড় এবং আল্লাহকে ডাকো। (বুখারি ১০৪৪, মুসলিম ৯০১)

এ হাদিসের মাধ্যমে বুঝা যায়, চন্দ্রগ্রহণ কোনো অশুভ বা বিপদের নিদর্শন নয়। নবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর সামনে সিজদাহ করতে ও দোয়া করতে বলেছেন। এটি শুদ্ধ চিন্তা, ধ্যান এবং দোয়ার সময় হিসেবে বিবেচিত হয়।

কোরআনে চন্দ্র ও সূর্যের নিদর্শন সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনিই (আল্লাহ) যিনি সূর্যকে করেছেন আলোদাতা এবং চন্দ্রকে করেছেন আলোপ্রাপ্ত এবং তিনি তার বিভিন্ন অবস্থান নির্ধারণ করেছেন যাতে তোমরা বছরের সংখ্যা ও হিসাব জানো। আল্লাহ এগুলো কেবলমাত্র যথার্থতা এবং সত্যের ভিত্তিতে সৃষ্টি করেছেন। (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫)

এ আয়াতে আল্লাহ চন্দ্র ও সূর্যের নিদর্শন উল্লেখ করে বলেছেন যে এগুলো সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর মহান কুদরতের একটি অংশ। এখানে কোনো অশুভ লক্ষণের কথা উল্লেখ নেই, বরং এগুলো একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা মানুষকে সৃষ্টিকর্তার দিকে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেয়।

 

ইসলামে চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ কোনো বিধি বা নিষেধাজ্ঞা নেই। এ ধরনের কোনো হাদিস বা কোরআনের আয়াতও পাওয়া যায় না যা থেকে বোঝা যায় যে চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতীদের কোনো বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে সবসময়ই ইসলামিক শিক্ষা হলো, কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং তার কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতীদের বিধিনিষেধ নিয়ে ইসলাম কী বলে?

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ ঘিরে পৃথিবীর অনেক দেশেই নানারকম ধারণা প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতীদের জন্য অনেক বিধিনিষেধ প্রচলিত। যেগুলো সম্পূর্ণই কুসংস্কার। ইসলামে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণকে সাধারণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটা আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন। চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের বিশেষ কোনো সমস্যা হয় বা তারা কোনো ঝুঁকিতে থাকেন, এমন কিছুই বলা হয়নি ইসলামে। বরং চন্দ্রগ্রহণের সময় আল্লাহর প্রতি আরও বেশি নিবিষ্ট হওয়া, ইবাদত করা এবং তাঁর কুদরত নিয়ে চিন্তাভাবনা করাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ মহান আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি। এগুলো কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সংঘটিত হয় না। সুতরাং তোমরা যখন এদের দেখতে পাও, তখন নামাজ পড় এবং আল্লাহকে ডাকো। (বুখারি ১০৪৪, মুসলিম ৯০১)

এ হাদিসের মাধ্যমে বুঝা যায়, চন্দ্রগ্রহণ কোনো অশুভ বা বিপদের নিদর্শন নয়। নবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর সামনে সিজদাহ করতে ও দোয়া করতে বলেছেন। এটি শুদ্ধ চিন্তা, ধ্যান এবং দোয়ার সময় হিসেবে বিবেচিত হয়।

কোরআনে চন্দ্র ও সূর্যের নিদর্শন সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনিই (আল্লাহ) যিনি সূর্যকে করেছেন আলোদাতা এবং চন্দ্রকে করেছেন আলোপ্রাপ্ত এবং তিনি তার বিভিন্ন অবস্থান নির্ধারণ করেছেন যাতে তোমরা বছরের সংখ্যা ও হিসাব জানো। আল্লাহ এগুলো কেবলমাত্র যথার্থতা এবং সত্যের ভিত্তিতে সৃষ্টি করেছেন। (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫)

এ আয়াতে আল্লাহ চন্দ্র ও সূর্যের নিদর্শন উল্লেখ করে বলেছেন যে এগুলো সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর মহান কুদরতের একটি অংশ। এখানে কোনো অশুভ লক্ষণের কথা উল্লেখ নেই, বরং এগুলো একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা মানুষকে সৃষ্টিকর্তার দিকে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেয়।

 

ইসলামে চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ কোনো বিধি বা নিষেধাজ্ঞা নেই। এ ধরনের কোনো হাদিস বা কোরআনের আয়াতও পাওয়া যায় না যা থেকে বোঝা যায় যে চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতীদের কোনো বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে সবসময়ই ইসলামিক শিক্ষা হলো, কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং তার কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।