ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 209
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফারাক ছিল বিস্তর। কিন্তু তারপরও অবহেলিত পূর্ব বাংলার মধ্যে থেকে উঠে আসেন এক উজ্জ্বল প্রতিভা—মুহাম্মদ হানিফউদ্দিন মিয়া।

সেসময় ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অ্যাডাম কার্লের অনুমান অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পঞ্চম শ্রেণীতে উঠতে সক্ষম শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এমন অবস্থায় ১৯৬৪ সালে এক বাঙালির মধ্যে কম্পিউটিং ও ট্যাবুলেটিং মেশিন পরিচালনার যোগ্যতা খুঁজে পাবে তা হয়ত কল্পনাতেই ছিল না পাকিস্তান সরকারের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (আইবিএম) পাকিস্তান সরকারের জন্য উপহার হিসেবে একটি ১৬২০ মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার পাঠায়। পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (পিএইসি) লাহোর অফিসে এটি স্থাপন করা হবে।
কিন্তু পিএইসির এই মেইনফ্রেম কম্পিউটার চালানোর জন্য পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে সেসময় কোনো কম্পিউটার অপারেটর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং পুরো পাকিস্তানে এটি চালানোর জন্য একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন ঢাকার হানিফউদ্দিন মিয়া।

তখন তরুণ হানিফউদ্দিন সোভিয়েত শাসিত চেকোস্লোভাকিয়া বিজ্ঞান একাডেমি থেকে অ্যানালগ কম্পিউটিং এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পিএইসি তাকে লাহোরে একটি আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দিলেও তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে যাব না’।

এটি ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ কারণেই পিএইসিকে কম্পিউটারটি ঢাকায় পাঠাতে হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মতে, এটি বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম পদার্পণের সূচনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে পিএইসির ঢাকার কার্যালয়ে (আণবিক কমিশন) আইবিএম ১৬২০ মডেলের মেইন ফ্রেম কম্পিউটারটি স্থাপন করে হানিফউদ্দিনকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই ছিল দ্বিতীয় কম্পিউটার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফারাক ছিল বিস্তর। কিন্তু তারপরও অবহেলিত পূর্ব বাংলার মধ্যে থেকে উঠে আসেন এক উজ্জ্বল প্রতিভা—মুহাম্মদ হানিফউদ্দিন মিয়া।

সেসময় ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অ্যাডাম কার্লের অনুমান অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পঞ্চম শ্রেণীতে উঠতে সক্ষম শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এমন অবস্থায় ১৯৬৪ সালে এক বাঙালির মধ্যে কম্পিউটিং ও ট্যাবুলেটিং মেশিন পরিচালনার যোগ্যতা খুঁজে পাবে তা হয়ত কল্পনাতেই ছিল না পাকিস্তান সরকারের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (আইবিএম) পাকিস্তান সরকারের জন্য উপহার হিসেবে একটি ১৬২০ মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার পাঠায়। পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (পিএইসি) লাহোর অফিসে এটি স্থাপন করা হবে।
কিন্তু পিএইসির এই মেইনফ্রেম কম্পিউটার চালানোর জন্য পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে সেসময় কোনো কম্পিউটার অপারেটর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং পুরো পাকিস্তানে এটি চালানোর জন্য একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন ঢাকার হানিফউদ্দিন মিয়া।

তখন তরুণ হানিফউদ্দিন সোভিয়েত শাসিত চেকোস্লোভাকিয়া বিজ্ঞান একাডেমি থেকে অ্যানালগ কম্পিউটিং এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পিএইসি তাকে লাহোরে একটি আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দিলেও তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে যাব না’।

এটি ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ কারণেই পিএইসিকে কম্পিউটারটি ঢাকায় পাঠাতে হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মতে, এটি বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম পদার্পণের সূচনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে পিএইসির ঢাকার কার্যালয়ে (আণবিক কমিশন) আইবিএম ১৬২০ মডেলের মেইন ফ্রেম কম্পিউটারটি স্থাপন করে হানিফউদ্দিনকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই ছিল দ্বিতীয় কম্পিউটার।