‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’—আজহারির স্ট্যাটাস ভাইরাল
- আপডেট সময় : ০৬:২১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর পর ছাত্রশিবির প্রকাশ্য আসার পর শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। এই আলোচনায় নতুন করে যুক্ত হলেন ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারি। বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রসংগঠন দাবি করেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে ছাত্রশিবিরের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪২তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করা হয় বলে দাবি করেছেন তারা।
তবে শিবির এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, জাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা এলেও এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
এই আলোচনা নতুন রূপ নেয় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারির এক ফেসবুক পোস্টের পর।
সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।
এবার সেই সঙ্গে সুর মেলালেন ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারি। তিনি বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’। কমেন্ট বক্সেও একই লাইন লেখেন তিনি।
বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে তিনি স্ট্যাটাসটি দেন। পোস্টটি দেওয়ার পর নিমেষেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্বনাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম জানানো হয়। এতে দেখা যায়, জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব। হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী। মহিবুর রহমান মুহিব বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী।