ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

ঢাকায় ‘র’ কর্মকর্তাদের গোপন সফর

জোলকারনাইন সায়েক
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 88
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’ এর দু’জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকায় আসেন, ভারতীয় হাইকমিশন তাদের এই সফরের ব্যবস্থা করে। উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের এনএসআই এবং ডিজিএফআই এই দুই সংস্থার সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়া সুসম্পর্ক পুনঃস্থাপন।

তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে জানা গেছে যে, ৬ নভেম্বর ২০২৪, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ২২৭ এ, র’এর এডভাইজর ও পরিচালক পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা; আশোক কুমার সিনহা এবং কনজক তাশি খামপা, ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় তাদের গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এই র’ কর্মকর্তারা মূলত ভারতের আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা। আইপিএস হতে ২০০৭ সালে আশোক এবং ২০১৩ সালে কনজক’কে ডেপুটেশনে র’তে পাঠানো হয়।

ইতোপূর্বে আশোক কুমার সিনহা দুইবার বাংলাদেশে আসে (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৩) কেবল ১ দিনের জন্যে।

মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে গোয়েন্দা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতেই এই দুই কর্মকর্তার ঢাকায় আসা, কিন্তু বিধিবাম, আওয়ামী সরকারের সময় যে ধরনের অভ্যর্থনা পেয়ে তারা অভ্যস্ত এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো, আগে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোন প্রটোকলের তোয়াক্কা না করলেও এবার তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এনএসআই এবং ডিজিএফআই’ এর পক্ষ হতে র’ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোন বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। বাংলাদেশে র’এর কভার ও ডিপ কভারে থাকা অপারেটরদের নিষ্ক্রিয় করতেও তাদের পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশ পক্ষের কাছ থেকে আশানরূপ সারা না পেয়ে এ কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ হন, যা পরবর্তীতে তারা যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন (হোটেল আমারী, গুলশান ২) ওই হোটেলের কর্মীদের সাথে অহেতুক দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়।

৮ই নভেম্বর ২০২৪ এই দুই র’ কর্মকর্তা ঢাকা ত্যাগ করেন।

বি.দ্র. র’তে যে সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় তাদের দায়িত্ব সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের মাধ্যমে ক্যবিনেট সেক্রেটারিয়েট দিল্লিতে ন্যাস্ত করা হয়েছে হিসেবে অনলাইনে প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকায় ‘র’ কর্মকর্তাদের গোপন সফর

আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’ এর দু’জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকায় আসেন, ভারতীয় হাইকমিশন তাদের এই সফরের ব্যবস্থা করে। উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের এনএসআই এবং ডিজিএফআই এই দুই সংস্থার সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়া সুসম্পর্ক পুনঃস্থাপন।

তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে জানা গেছে যে, ৬ নভেম্বর ২০২৪, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ২২৭ এ, র’এর এডভাইজর ও পরিচালক পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা; আশোক কুমার সিনহা এবং কনজক তাশি খামপা, ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় তাদের গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এই র’ কর্মকর্তারা মূলত ভারতের আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা। আইপিএস হতে ২০০৭ সালে আশোক এবং ২০১৩ সালে কনজক’কে ডেপুটেশনে র’তে পাঠানো হয়।

ইতোপূর্বে আশোক কুমার সিনহা দুইবার বাংলাদেশে আসে (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৩) কেবল ১ দিনের জন্যে।

মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে গোয়েন্দা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতেই এই দুই কর্মকর্তার ঢাকায় আসা, কিন্তু বিধিবাম, আওয়ামী সরকারের সময় যে ধরনের অভ্যর্থনা পেয়ে তারা অভ্যস্ত এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো, আগে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোন প্রটোকলের তোয়াক্কা না করলেও এবার তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এনএসআই এবং ডিজিএফআই’ এর পক্ষ হতে র’ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোন বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। বাংলাদেশে র’এর কভার ও ডিপ কভারে থাকা অপারেটরদের নিষ্ক্রিয় করতেও তাদের পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশ পক্ষের কাছ থেকে আশানরূপ সারা না পেয়ে এ কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ হন, যা পরবর্তীতে তারা যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন (হোটেল আমারী, গুলশান ২) ওই হোটেলের কর্মীদের সাথে অহেতুক দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়।

৮ই নভেম্বর ২০২৪ এই দুই র’ কর্মকর্তা ঢাকা ত্যাগ করেন।

বি.দ্র. র’তে যে সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় তাদের দায়িত্ব সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের মাধ্যমে ক্যবিনেট সেক্রেটারিয়েট দিল্লিতে ন্যাস্ত করা হয়েছে হিসেবে অনলাইনে প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ করা হয়।