ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব

ঢাকায় ‘র’ কর্মকর্তাদের গোপন সফর

জোলকারনাইন সায়েক
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 0
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’ এর দু’জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকায় আসেন, ভারতীয় হাইকমিশন তাদের এই সফরের ব্যবস্থা করে। উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের এনএসআই এবং ডিজিএফআই এই দুই সংস্থার সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়া সুসম্পর্ক পুনঃস্থাপন।

তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে জানা গেছে যে, ৬ নভেম্বর ২০২৪, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ২২৭ এ, র’এর এডভাইজর ও পরিচালক পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা; আশোক কুমার সিনহা এবং কনজক তাশি খামপা, ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় তাদের গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এই র’ কর্মকর্তারা মূলত ভারতের আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা। আইপিএস হতে ২০০৭ সালে আশোক এবং ২০১৩ সালে কনজক’কে ডেপুটেশনে র’তে পাঠানো হয়।

ইতোপূর্বে আশোক কুমার সিনহা দুইবার বাংলাদেশে আসে (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৩) কেবল ১ দিনের জন্যে।

মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে গোয়েন্দা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতেই এই দুই কর্মকর্তার ঢাকায় আসা, কিন্তু বিধিবাম, আওয়ামী সরকারের সময় যে ধরনের অভ্যর্থনা পেয়ে তারা অভ্যস্ত এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো, আগে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোন প্রটোকলের তোয়াক্কা না করলেও এবার তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এনএসআই এবং ডিজিএফআই’ এর পক্ষ হতে র’ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোন বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। বাংলাদেশে র’এর কভার ও ডিপ কভারে থাকা অপারেটরদের নিষ্ক্রিয় করতেও তাদের পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশ পক্ষের কাছ থেকে আশানরূপ সারা না পেয়ে এ কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ হন, যা পরবর্তীতে তারা যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন (হোটেল আমারী, গুলশান ২) ওই হোটেলের কর্মীদের সাথে অহেতুক দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়।

৮ই নভেম্বর ২০২৪ এই দুই র’ কর্মকর্তা ঢাকা ত্যাগ করেন।

বি.দ্র. র’তে যে সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় তাদের দায়িত্ব সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের মাধ্যমে ক্যবিনেট সেক্রেটারিয়েট দিল্লিতে ন্যাস্ত করা হয়েছে হিসেবে অনলাইনে প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকায় ‘র’ কর্মকর্তাদের গোপন সফর

আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’ এর দু’জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকায় আসেন, ভারতীয় হাইকমিশন তাদের এই সফরের ব্যবস্থা করে। উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের এনএসআই এবং ডিজিএফআই এই দুই সংস্থার সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়া সুসম্পর্ক পুনঃস্থাপন।

তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে জানা গেছে যে, ৬ নভেম্বর ২০২৪, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ২২৭ এ, র’এর এডভাইজর ও পরিচালক পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা; আশোক কুমার সিনহা এবং কনজক তাশি খামপা, ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় তাদের গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এই র’ কর্মকর্তারা মূলত ভারতের আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা। আইপিএস হতে ২০০৭ সালে আশোক এবং ২০১৩ সালে কনজক’কে ডেপুটেশনে র’তে পাঠানো হয়।

ইতোপূর্বে আশোক কুমার সিনহা দুইবার বাংলাদেশে আসে (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৩) কেবল ১ দিনের জন্যে।

মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে গোয়েন্দা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতেই এই দুই কর্মকর্তার ঢাকায় আসা, কিন্তু বিধিবাম, আওয়ামী সরকারের সময় যে ধরনের অভ্যর্থনা পেয়ে তারা অভ্যস্ত এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো, আগে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোন প্রটোকলের তোয়াক্কা না করলেও এবার তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এনএসআই এবং ডিজিএফআই’ এর পক্ষ হতে র’ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোন বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। বাংলাদেশে র’এর কভার ও ডিপ কভারে থাকা অপারেটরদের নিষ্ক্রিয় করতেও তাদের পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশ পক্ষের কাছ থেকে আশানরূপ সারা না পেয়ে এ কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ হন, যা পরবর্তীতে তারা যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন (হোটেল আমারী, গুলশান ২) ওই হোটেলের কর্মীদের সাথে অহেতুক দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়।

৮ই নভেম্বর ২০২৪ এই দুই র’ কর্মকর্তা ঢাকা ত্যাগ করেন।

বি.দ্র. র’তে যে সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় তাদের দায়িত্ব সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের মাধ্যমে ক্যবিনেট সেক্রেটারিয়েট দিল্লিতে ন্যাস্ত করা হয়েছে হিসেবে অনলাইনে প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ করা হয়।