ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

তুই হুজুর, তোকে প্রতিবাদ করার অধিকার কে দিসে?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 51
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমসহ সুশীল ব্যাক্তিদের সমালোচনা করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইরফান সাদিক এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “তুই হুজুর। তোকে প্রতিবাদ করার অধিকার কে দিসে?”

তার এ স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরো লিখেন, “তোকে যে হাসিনার মত দমন করতেসি না, এটাই তো বেশি। হুজুর হুজুরের মত থাকবি। ইমামতি করবি, মেজবান খাবি, কোরআন খতম দিবি। তুই কেন তসলিমা নাসরিন নিয়ে কথা বলতে আসবি? আমার অনুমতি ছাড়া বাকশালীদের বিরুদ্ধেও কেন কিছু বলবি?

তোরে ডাকবো, এসে রক্ত দিবি, আবার নিজের এলাকায় ফেরত যাবি। তোকে কে বলসে সমাজ রাজনীতি নিয়ে তোর ইচ্ছার কথা বলতে? এতো স্পর্ধা কেম্নে হইসে তোর?

এটাই হলো মাহফুজসহ যাবতীয় সুশীলদের কথার সামারি।”

তার এই বক্তব্যে স্পষ্টতই ধর্মীয় ব্যক্তিদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার অধিকার।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও, তা যেন বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যম না হয়, সে বিষয়ে সকলের সতর্ক থাকা জরুরি।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন, আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসেবে ট্রিট করা হবে। আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না। আপনাদের কাজ না আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।

তৌহিদি জনতার উদ্দেশে মাহফুজ আলম আরও বলেন, আপনারা দেড় দশক পর শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহমকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে।

‘জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন, নইলে আপনাদের ওপর জুলুম অবধারিত হবে। লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা- যুলুম করবেন না, যুলুমের শিকার ও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ!’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তুই হুজুর, তোকে প্রতিবাদ করার অধিকার কে দিসে?

আপডেট সময় : ০৭:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমসহ সুশীল ব্যাক্তিদের সমালোচনা করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইরফান সাদিক এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “তুই হুজুর। তোকে প্রতিবাদ করার অধিকার কে দিসে?”

তার এ স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরো লিখেন, “তোকে যে হাসিনার মত দমন করতেসি না, এটাই তো বেশি। হুজুর হুজুরের মত থাকবি। ইমামতি করবি, মেজবান খাবি, কোরআন খতম দিবি। তুই কেন তসলিমা নাসরিন নিয়ে কথা বলতে আসবি? আমার অনুমতি ছাড়া বাকশালীদের বিরুদ্ধেও কেন কিছু বলবি?

তোরে ডাকবো, এসে রক্ত দিবি, আবার নিজের এলাকায় ফেরত যাবি। তোকে কে বলসে সমাজ রাজনীতি নিয়ে তোর ইচ্ছার কথা বলতে? এতো স্পর্ধা কেম্নে হইসে তোর?

এটাই হলো মাহফুজসহ যাবতীয় সুশীলদের কথার সামারি।”

তার এই বক্তব্যে স্পষ্টতই ধর্মীয় ব্যক্তিদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার অধিকার।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও, তা যেন বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যম না হয়, সে বিষয়ে সকলের সতর্ক থাকা জরুরি।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন, আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসেবে ট্রিট করা হবে। আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না। আপনাদের কাজ না আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।

তৌহিদি জনতার উদ্দেশে মাহফুজ আলম আরও বলেন, আপনারা দেড় দশক পর শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহমকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে।

‘জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন, নইলে আপনাদের ওপর জুলুম অবধারিত হবে। লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা- যুলুম করবেন না, যুলুমের শিকার ও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ!’