ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা! শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ঘোষণা আসছে? টিউলিপকে দেশে ফেরত চান ড. ইউনূস? যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র হাসিনা যেভাবে সৌদিকে দমিয়ে রাখতো

বিয়েতে কাজির ফি লাগামছাড়া, দেখার কেউ নাই

সাইফুল সামিন ও মো. আব্দুল্লাহ আল হোসাইন
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২
  • / 98
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এই ফি বরপক্ষকে পরিশোধ করতে হয়। দেনমোহরের পরিমাণ ৪ লাখ টাকার বেশি হলে পরবর্তী প্রতি লাখ টাকা বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি আদায় করা যাবে। তবে দেনমোহরের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রার যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটারের জন্য ১০ টাকা করে নিতে পারবেন।

বিয়ে নিবন্ধনের জন্য সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ‘নিকাহ রেজিস্ট্রার’ নামে অভিহিত করা হয়। তবে তাঁরা সাধারণের কাছে ‘কাজি’ নামে পরিচিত।

২০০৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা হারে ‘লাইসেন্স ফি’ দিতে হয়। একই বিধিমালায় সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা আছে। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আছে।

ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে ঢাকা জেলায় ৫৮ হাজার ৬৬৪টি বিয়ে নিবন্ধিত হয়। ২০২০ সালে নিবন্ধিত হয় ৪২ হাজার ১২০টি বিয়ে। ঢাকা জেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বিয়ে নিবন্ধন ফি বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ১০০ টাকা। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিকাহ রেজিস্ট্রারকে বিবাহ নিবন্ধন ফি খাতে প্রতি অর্থবছরে ১০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।

নিকাহ রেজিস্ট্রাররা অনেক ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায় করেন বলে সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনায়ও উঠে আসে। গত ২১ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি বলে, সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায় করায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

কমিটির সদস্য রুমিন ফারহানা প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ ধরনের অভিযোগ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রাররা জোর করে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়কে নজরদারি বাড়াতে বলেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর বিধান অনুযায়ী, প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এ উদ্দেশ্যে সরকার নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স দেয়। তাঁরা সরকারি বিধি মোতাবেক নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিবাহ ও বিচ্ছেদের নিবন্ধন করেন।

অফিস খরচ ও হাদিয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা

তাসকিন আল আনাস গত জানুয়ারিতে ঢাকার বনশ্রী এলাকায় বিয়ে নিবন্ধন করেন। দেনমোহর ছিল ছয় লাখ টাকা। সরকার নির্ধারিত ফি অনুযায়ী খরচ আসে ৫ হাজার ২০০ টাকা। তবে তাঁকে কাজিকে সব মিলিয়ে দিতে হয়েছে ৮ হাজার টাকা। তাসকিন বলেন, কাজি বলেছিলেন, তাঁর সহযোগী লোকজন আছেন। বেশি টাকা দিতে হবে।

গুলশানের কাজি আবদুল জলিল মিয়াজি সরকার নির্ধারিত বিয়ে নিবন্ধন ফির বাইরে বিয়ে পড়ানো বাবদ দুই হাজার টাকা নেন বলে জানালেন। একই সঙ্গে তিনি নিকাহনামার বাংলা-ইংরেজি নকল ও বিয়ে সনদ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা নেন। বাসায় গিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করলে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা নেন তিনি।

‘প্যাকেজ’ হিসেবে বাংলা নকল, ইংরেজি নকল, বিয়ের ইংরেজি সনদ, নোটারি সনদ বাবদ রাজধানীর নিকাহ রেজিস্ট্রাররা আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।

উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু বকর সরকারি ফির বাইরে অফিস খরচ ও হাদিয়া বাবদ অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা নেন। সদরঘাটের নিকাহ রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন অফিস খরচ বাবদ অতিরিক্ত এক হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ফার্মগেটের নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ১০ লাখ টাকা দেনমোহরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করে নেন তিনি। তবে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখা যাবে।

ধানমন্ডির কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের কাজি অফিসে গত ডিসেম্বরে কথা হয় নিকাহ রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি নিবন্ধন ফির বাইরে তাঁরা অফিস খরচ হিসেবে ১ হাজার টাকা নেন। আর বিয়ে পড়ানোর জন্য তো হাদিয়া আছেই।

নিকাহ রেজিস্ট্রার তাঁর কাজে সহায়তার জন্য এক বা একাধিক সহকারী রাখেন। সহকারী থাকার অজুহাত দিয়ে কেউ কেউ অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন। তবে আইনে সহকারী রাখার বিষয়ে কিছু বলা নেই। বিয়ে নিবন্ধনের আইনগত এখতিয়ার শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিরই আছে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা।

২০০৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা হারে ‘লাইসেন্স ফি’ দিতে হয়। একই বিধিমালায় সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা আছে। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিয়েতে কাজির ফি লাগামছাড়া, দেখার কেউ নাই

আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

এই ফি বরপক্ষকে পরিশোধ করতে হয়। দেনমোহরের পরিমাণ ৪ লাখ টাকার বেশি হলে পরবর্তী প্রতি লাখ টাকা বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি আদায় করা যাবে। তবে দেনমোহরের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রার যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটারের জন্য ১০ টাকা করে নিতে পারবেন।

বিয়ে নিবন্ধনের জন্য সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ‘নিকাহ রেজিস্ট্রার’ নামে অভিহিত করা হয়। তবে তাঁরা সাধারণের কাছে ‘কাজি’ নামে পরিচিত।

২০০৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা হারে ‘লাইসেন্স ফি’ দিতে হয়। একই বিধিমালায় সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা আছে। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আছে।

ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে ঢাকা জেলায় ৫৮ হাজার ৬৬৪টি বিয়ে নিবন্ধিত হয়। ২০২০ সালে নিবন্ধিত হয় ৪২ হাজার ১২০টি বিয়ে। ঢাকা জেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বিয়ে নিবন্ধন ফি বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ১০০ টাকা। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিকাহ রেজিস্ট্রারকে বিবাহ নিবন্ধন ফি খাতে প্রতি অর্থবছরে ১০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।

নিকাহ রেজিস্ট্রাররা অনেক ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায় করেন বলে সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনায়ও উঠে আসে। গত ২১ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি বলে, সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায় করায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

কমিটির সদস্য রুমিন ফারহানা প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ ধরনের অভিযোগ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রাররা জোর করে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়কে নজরদারি বাড়াতে বলেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর বিধান অনুযায়ী, প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এ উদ্দেশ্যে সরকার নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স দেয়। তাঁরা সরকারি বিধি মোতাবেক নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিবাহ ও বিচ্ছেদের নিবন্ধন করেন।

অফিস খরচ ও হাদিয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা

তাসকিন আল আনাস গত জানুয়ারিতে ঢাকার বনশ্রী এলাকায় বিয়ে নিবন্ধন করেন। দেনমোহর ছিল ছয় লাখ টাকা। সরকার নির্ধারিত ফি অনুযায়ী খরচ আসে ৫ হাজার ২০০ টাকা। তবে তাঁকে কাজিকে সব মিলিয়ে দিতে হয়েছে ৮ হাজার টাকা। তাসকিন বলেন, কাজি বলেছিলেন, তাঁর সহযোগী লোকজন আছেন। বেশি টাকা দিতে হবে।

গুলশানের কাজি আবদুল জলিল মিয়াজি সরকার নির্ধারিত বিয়ে নিবন্ধন ফির বাইরে বিয়ে পড়ানো বাবদ দুই হাজার টাকা নেন বলে জানালেন। একই সঙ্গে তিনি নিকাহনামার বাংলা-ইংরেজি নকল ও বিয়ে সনদ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা নেন। বাসায় গিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করলে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা নেন তিনি।

‘প্যাকেজ’ হিসেবে বাংলা নকল, ইংরেজি নকল, বিয়ের ইংরেজি সনদ, নোটারি সনদ বাবদ রাজধানীর নিকাহ রেজিস্ট্রাররা আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।

উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু বকর সরকারি ফির বাইরে অফিস খরচ ও হাদিয়া বাবদ অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা নেন। সদরঘাটের নিকাহ রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন অফিস খরচ বাবদ অতিরিক্ত এক হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ফার্মগেটের নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ১০ লাখ টাকা দেনমোহরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করে নেন তিনি। তবে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখা যাবে।

ধানমন্ডির কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের কাজি অফিসে গত ডিসেম্বরে কথা হয় নিকাহ রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি নিবন্ধন ফির বাইরে তাঁরা অফিস খরচ হিসেবে ১ হাজার টাকা নেন। আর বিয়ে পড়ানোর জন্য তো হাদিয়া আছেই।

নিকাহ রেজিস্ট্রার তাঁর কাজে সহায়তার জন্য এক বা একাধিক সহকারী রাখেন। সহকারী থাকার অজুহাত দিয়ে কেউ কেউ অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন। তবে আইনে সহকারী রাখার বিষয়ে কিছু বলা নেই। বিয়ে নিবন্ধনের আইনগত এখতিয়ার শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিরই আছে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা।

২০০৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা হারে ‘লাইসেন্স ফি’ দিতে হয়। একই বিধিমালায় সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা আছে। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আছে।