বৈধ পথে থাকতে গিয়েই মূলত পিছিয়ে পড়েছে বিপিএল
গত ১২ বছরেও হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতি চালু করতে না পারাটাই বড় অপ্রাপ্তি। বিপিএল কর্তারা যতই বলুক আইপিএলের পর বিপিএল, এসব কথা মেনে নেওয়ার কোন উপায় নেই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কিংবা রংপুর রাইডার্সের কথা বাদ দিলে বিপিএলকে তুলনা করতে পারবেন পাড়ার কোন লিগের সাথে। এমন অবস্থায় যাওয়ার মূল কারণ জু*য়াকে প্রমোট করতে না পারা। বাংলাদেশের আইনে নিষি দ্ধ বলেই বিসিবিরও করার কিছু থাকে না। যা অন্যান্য দেশ, ইভেন পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মত মুসলিম দেশগুলো সহজেই করতে পারে।
আইপিএল, বিগব্যাশ বাদ দিন। লক্ষ্য দিন পিএসএলের দিকে। তারা মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করেই পেয়েছে এবার ১২৬ কোটি রূপি। বে*টিং সাইট প্রোমোট করায় মূলত টাকা এসেছে উড়ে উড়ে। আইএল টি-টোয়েন্টি অথবা টি-টেন লিগ। যেখানেই চোখ রাখবেন সেখানেই জু*য়াকে প্রোমোট করা হয়েছে।
বলতে পারেন বিসিবির তো হাজার কোটি টাকা রয়েছে। আবার বলতে পারেন রংপুর-কুমিল্লা পেলে বাকিরা কেন পারেনা অথবা বিসিবি ভালো মালিক কেন খুঁজে না। আপনার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আবারও আইপিএলে ফিরি।
আইপিএলে প্রতিটি দলকেই দেখবেন বে*টিং সাইটকে প্রোমোট করছে। প্রতিটি দল কোটি কোটি টাকা খরচ করে। প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়লেও তাদের লোকসান হয়না। এরমূল কারণ জু*য়া সাইট থেকে আসা টাকা।
গুঞ্জন আছে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে ম্যাচ প্রতি ৪০ হাজার ডলার চেয়েছে ম্যাক্সওয়েল। তিন ম্যাচ খেললে অর্থটা কই দাঁড়াবে বুঝতে পারছেন। সেই টাকা হয়তো বসুন্ধরার আছে। তবে সেই টাকার অর্ধেক কি বিপিএল থেকে তুলতে পারবে দলটি।
বিপিএলে যদি জু*য়া প্রোমোট থাকতো। দলটি যদি ম্যাক্সওয়েলের জন্য যদি ৫০ হাজার ডলার কোন কোম্পানির কাছে যাইতো। তারা রাজি হতো, বিশ্বাস করেন রাজি হতো। কারন নামটা ম্যাক্সওয়েল। বৈধ পথে থাকতে গিয়েই মূলত পিছিয়ে পড়েছে বিপিএল। এখানে হতাশ হওয়ার কিছু না। দিনশেষে মানসিক শান্তির জায়গা আছে।
#BPL2024 ©b24times