অনূর্ধ্ব–১৯ নারী সাফ ফুটবলের উপভোগ্য ফাইনালটা শেষ পর্যন্ত রুপ নিলো হাস্যকর ফাইনালে। হাস্যকর টস কান্ড এবং সেটা প্রত্যাহার। সব শেষে উভয় দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা।
এগুলো মনে রাখতে চাই না। যে বিষয়টি মনে রাখতে চাই, সেটা হলো :
বাংলাদেশ ০–১ ভারত
ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ। অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিট চলছে। পুরো দমে শিরোপা উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। শুধু রেফারির শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা। কিন্তু খেলা তো তখনো বাকি।
জাদুকর কখন টুপি খুলবেন আর বেরিয়ে আসবে অত্যাশ্চর্য এক খরগোশ…থুড়ি খরগোশ নয়, অত্যাশ্চর্য এক গোল! এবং যথারীতি ‘জাদুকর’ টুপি খুললেন এবং বেরিয়ে আসলো দুর্দান্ত এক গোল।
বল বাতাসে ভাসছে। কমন বল, ভারতের সেণ্টারব্যাকের পায়ের ওপর থেকে ছোঁ মেরে বলটা নিজের দখলে নিলেন। দ্বিতীয় টাচে ভারতের রক্ষণভাগকে শুধু ছিটকেই ফেলে দিলেন না, দেখে নিলেন ভারতের গোলরক্ষকের পজিশন। স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে আসলেন ভারতের গোলরক্ষক অনিকা দেবি। তাঁর পাশে দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন সাগরিকা।
অথচ ম্যাচ শেষ হয়ে যাচ্ছে, কাছে এসেও শিরোপা জেতা হলো না –এমন সময়ে এমন কতো চাপ ও হতাশা মাথার ওপর ভর করে।
কিন্তু সে অন্তিম সময়ে কোন কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি আমাদের সাগরিকাকে। এই মেয়েটার মধ্যে আলাদা বিশেষ কিছু আছে। এই মেয়েকে নিয়ে একদিন গর্ব করবে বাংলাদেশ। দায়িত্ব নিয়ে বলছি,
গোলের হিসেব রাখতে শুরু করুন! সাগরিকা এসে গিয়েছেন …